ঠাকুরগাঁওয়ে সন্তান কে জিম্মি করে গৃহবধূকে গণধর্ষন-dinajpurnews

ঠাকুরগাঁওয়ে সন্তান কে জিম্মি করে গৃহবধূকে গণধর্ষন-dinajpurnews

 ঠাকুরগাঁও সংবাদাতাঃ ঠাকুরগাঁওয়ের ঢোলারহাট এলাকায় সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ফিল্মি স্টাইলে সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে ৪ নরপিচাস এক সুন্দরী গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে।এলাকাবাসি ধর্ষকদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

পুলিশ জানায় , ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান দিলিপ ঢাকায় একটি টোবাকো কোম্পানীতে চাকরি করে আসছেন। তার অনুপস্থিতিতে তার  স্ত্রী একমাত্র শিশুপুত্রকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছে। স্বামীর অনুপস্থিতি’র সুযোগে  একই গ্রামের আলমগীর, ইসমাইল,ইউসুফ ও শরিফ নামে কয়েক বখাটে যুবক প্রায় সময়ে ওই গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দিত। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে । এদিকে গত বুধবার দিবাগত রাতে ওই গ্রহবধূ তার ৪ বছর বযসের একমাত্র শিশু পুত্রকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে ৪ বখাটে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূর একমাত্র শিশু পুত্রকে অস্থ্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে এবং তাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।
বখাটেরা ওই গৃহবধূর একমাত্র শিশু পুত্রের গলায় ধারালো চাকু ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে গৃহবধূর মুখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং আলমগীর (২৫),ইসমাইল (২৭) শরিফ (২৫) ও ইউসুফ (৪০) পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ।দীর্ঘ ২ ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ শেষে ধর্ষকরা ঘটনা ফাঁস না করতে হুমকি দিয়ে দরজা খুলে পালিয়ে যায়।
শিশু সন্তানটির চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ধষির্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় মেম্বার ও চোকিদারের সহায়তায় এলাকাবাসী প্রথমে আলমগীরকে ও তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে ৪জনকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে রুহিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিত গৃহবধূ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে আলমগীর,জমসের আলীর ছেলে ইসমাইল , আমির উদ্দীনের ছেলে শরিফ ও উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত বারেক আলীর ছেলে ইউসুফ।পুলিশ আটককৃতদের গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
রুহিয়া থানার ওসি মনোজ কুমার রায় জানান,মামলা রুজুর পর বিএনপির থানা ও জেলা পযাৃয়ের অনেক নেতা তদ্বির করেন। তাতে বাঝা যায় ধর্ষকরা স্থানীয় বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা ।