বিশ্ব গনমাধ্যমে তোলপাড়! ‘চাঁদে প্রথমবারের মতো অবতরণ করেননি যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারীরা’ !-somoyerkonthosor
সময়ের কণ্ঠস্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক- গত কয়েক বছর আগে থেকেই বেশ কয়েকটি সংস্থা বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমান দিয়ে অভিযোগ করে আসছিল, ‘ মার্কিনিরা আসলে চাঁদে যায়নি। গোপন একটি স্টুডিওতে কৃত্রিম আলোর সাহায্যে চিত্রায়িত করা হয়েছে চাঁদে অবতরণের দৃশ্য’ ।
অবশেষে অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে নানা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে চুলচেরা বিশ্লেষনে চুড়ান্ত পর্যায়ে আলোচিত সেই অভিযোগই সত্য প্রমাণিত হতে যাচ্ছে ! এই নিয়ে আবার নতুন করে সরব বিশ্ব গনমাধ্যম। অভিযোগ চুড়ান্তভাবেই প্রমাণিত করে দিতে পারবে এমনটাই দাবী অভিযোগকারীদের । তবে শংকার কথা হচ্ছে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে লজ্জায় পড়তে হবে মার্কিনীদের আবার বিড়ম্বনায় কম নয় বদলাতে হবে ইতিহাসও ।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের ইংরেজি প্রতিবেদনের অনুবাদ থেকে জানুন বিস্তারিত
মার্কিনিদের বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছিল ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদে অবতরণ নিয়ে।
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারীরা প্রথমবারের মতো পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদে অবতরণ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছিলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে । সে কারণে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে এবাত আট ঘাট বেধেই নামবে বলে ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
অভিযোগ অনুযায়ি , নভোচারীর হাতে থাকা পতাকার মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে। দৃষ্টকোণগত অসঙ্গতি রয়েছে এতে। চাঁদ থেকে সংগ্রহ করা পাথরেরও খোঁজ নেই।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মস্কো টাইমস বলছে, মার্কিনিদের চাঁদে অবতরণের মূল ভিডিও ফুটেজ উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়ে রাশিয়া তদন্ত করতে চায়। সে সময় (১৯৬৯) চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে যে পাথর সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলোরও আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, মানবজাতি ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণের যথার্থতার স্বার্থে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
অপরদিকে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদে অবতরণের দুইলাখ টেপের মূল চিত্র ২০০৯ সালে নাসা চিরতরে মুছে ফেলে। এ সময় নাসা থেকে জানানো হয়, খরচ বাঁচানোর কারণে তারা এই মূল চিত্র মুছে ফেলেছে।
তবে পরে নাসা সিবিএস নিউজের কাছে থাকা রেকর্ডিং থেকে চাঁদে অবতরণের দৃশ্য ফের সংগ্রহ করে। এ বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, সংগ্রহ করা ভিডিওচিত্র মূল ভিডিও চিত্র থেকে অনেক উন্নতমানের।
এ বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট রাশিয়ার সরকারি তদন্ত কমিটির মুখপাত্র ভ্লাদিমির মার্কিনের বরাত দিয়ে উল্লেখ করে, আমরা এই ভেবে তৃপ্ত থাকতে চাই না যে, তারা (মার্কিন নভোচারী) চাঁদে যায়নি। আমরা ভাবতে চাই না যে, এটা শুধুমাত্র কৃত্রিমভাবে চিত্র ধারণ করা হয়েছে। মানবজাতির জন্য কিংবা বৈজ্ঞানিক ভিত্তির জন্য এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
মার্কিনিদের বিরুদ্ধে চাঁদে অবতরণের ঘটনা সত্য নয় অভিযোগ করে যে কারণগুলো বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- চিত্র ধারণে অনেক ধরনের আলোর উৎস ব্যবহার করা হয়েছে; নভোচারীর হেলমেটে অজানা বস্তুর প্রতিফলন ঘটেছে, যার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি; গোপন তার (ক্যাবল) ব্যবহার করা হয়েছে; চাঁদে আগ্নেয়গিরি ও এর জ্বালামুখ এবং হৃদ আছে। কিন্তু ভিডিওতে কোনো ধরনের আগ্নেয়গিরি বা হৃদ দেখা যায়নি।
চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে সংগ্রহ করা পাথর ও মাটিকে অতীতে নাসা দাবি করেছিল, এগুলো পৃথিবীর নয়। নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের প্লানেটারি সায়েন্স অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশনের প্রধান বিজ্ঞানী ডেভিড ম্যাককে ২০০১ সালে নাসার ওয়েবসাইটে এই দাবি করেছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন