পশ্চিমবঙ্গে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে গ্রেপ্তার বাংলাদেশী যুবক - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ২০ জুন, ২০১৫

পশ্চিমবঙ্গে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে গ্রেপ্তার বাংলাদেশী যুবক


পশ্চিমবঙ্গে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে গ্রেপ্তার বাংলাদেশী যুবক-BBC NEWS

পশ্চিমবঙ্গের কয়েক মাস আগে এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনায় এক বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের বাড়ি যশোরে আর নদীয়া জেলার রাণাঘাটে একটি মিশনারি স্কুলের ওই সন্ন্যাসিনীকে এই যুবকই ধর্ষণ করেছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পশ্চিমবঙ্গের সি আই ডি বলছে বুধবার রাতে গোপন সূত্রে তারা খবর পায় যে রাণাঘাট সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত নজরুল ওরফে নজু সীমান্ত শহর বনগাঁ থেকে ট্রেনে চেপেছেন।
শেয়ালদা স্টেশনে ট্রেন থেকে নামতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত আজ তাঁকে ১৫ দিনের পুলিশী হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
সি আই ডি-র স্পেশাল সুপারিন্টেনডেন্ট চিরন্তন নাগ এক সংবাদ সম্মেলনে দাবী করছিলেন, “এই ব্যক্তি রাণাঘাটের ঘটনায় তো জড়িত বটেই, এছাড়া তাঁর কাছে ভারতে প্রবেশের কোনও বৈধ নথি ছিল না, তাই বিদেশী আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত ১৫ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এবার আমরা তাকে আরও জেরা করব আর আমাদের কাছে যা তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।“

সি আই ডি-র সন্দেহ ৭১ বছর বয়সী সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করেছিল একজনই, এবং সেটা নজরুল-ই।
এর আগে ওই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করেও পুলিশ জানতে পেরেছে যে নজরুলই ধর্ষণ করেছিল ওই সন্ন্যাসিনীকে।
“নজরুল ধর্ষণ করেছিল কী না, তার প্রমাণ পেতে আমাদের আরও জেরা করতে হবে আর তথ্য প্রমাণের সঙ্গে জবানবন্দী মিলিয়ে দেখতে হবে। তারপরেই আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারব যে সে ডাকাতি ছাড়াও ধর্ষণে জড়িত ছিল কী না,” বলছিলেন চিরন্তন নাগ।
অপরাধের পরে দলের বেশীরভাগ সদস্যর মতোই নজরুলও বাংলাদেশ ফিরে গিয়েছিলেন বলে জানান মি. নাগ।
যশোরের কোতোয়ালি থানার অধীন বেজপাড়া টি বি ক্লিনিক এলাকায় নজরুলের বাড়ি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
১৪ই মার্চ নদীয়া জেলার রাণাঘাটে কনভেন্ট অফ জিসাস এন্ড মারিতে হানা দিয়েছিল ওই দুষ্কৃতি দলটি।
তারা স্কুলের অফিস থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা লুঠ করার পরে সন্ন্যাসিনীদের আবাসগৃহতেও হামলা চালায় আর সেখানেই ধর্ষণ করা হয় ওই সন্ন্যাসিনীকে।
পরের দিন সকাল থেকেই সি আই ডি তদন্ত শুরু করে, কিন্তু কোনও দিশা খুঁজে পাচ্ছিল না তারা।
স্থানীয় প্রতিবাদ তো চলছিলই রোজ, তার মধ্যে চার্চের তরফেও চাপ বাড়ানো হয় সরকারের ওপর।
তদন্তের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে দেওয়ার পরেই রাজ্য পুলিশের সি আই ডি নিজেরাই প্রথম সূত্রটি খুঁজে পায়।
এক অত্যাধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে ঘটনার সময়ে ওই অঞ্চলে যতগুলি মোবাইল ফোন চালু ছিল, প্রত্যেকটির নম্বর যোগাড় করে তারা।
সেই তথ্যের ভিত্তিতেই প্রথমে মুম্বাই থেকে এক সন্দেহভাজন দুষ্কৃতি গ্রেপ্তার হয়। তখনই সন্ধান পাওয়া যায় বাংলাদেশের এই দুষ্কৃতি দলের – এমনটাই দাবী সি আই ডি কর্মকর্তাদের।

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here