ইউরোজোনে গ্রিসের ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠক-dw.de
ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্ডলে একটি শব্দ গত কয়েকদিন ধরে বেশ উচ্চারিত হচ্ছে: ‘গ্রেক্সিট'৷ গ্রিস আর ‘এক্সিট'-এর সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে শব্দটি৷ জার্মানি অবশ্য ইউরোজোন থেকে গ্রিসের সম্ভাব্য বিদায়কে এখনও ‘‘ম্যানেজ'' করতে চায়৷
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল অবশ্য এ চুক্তির ব্যাপারে এখনও তাঁর আশার কথা শুনিয়েছেন৷ তবে এক্ষেত্রে গ্রিসকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে বলে জানান তিনি৷ বৃহস্পতিবার লুক্সেমবুর্গে ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে এই মন্তব্য করেন ম্যার্কেল৷
গ্রিসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইএমএফ এর বৈঠকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে মতানৈক্য চলছে৷ দাতারা চাইছেন গ্রিসের পেনশন ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে, অর্থাৎ পেনশনের অর্থ কমাতে৷ কিন্তু গ্রিস তাতে রাজি নয়৷ গ্রিক প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সে কথা৷ উলটো তিনি ইইউ নেতাদের সতর্কবাণী শুনিয়ে দিয়েছেন৷ বলেছেন, ইউরোপ যদি পেনশন কমানোর প্রস্তাব থেকে সরে না আসে তাহলে যে ঘটনা ঘটবে তাতে ইউরোপের কেউই লাভবান হবে না৷ অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন, দাতারা যদি পেনশন সংস্কারের প্রস্তাবে অটল থাকে তাহলে হয়ত কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে না৷ সেক্ষেত্রে গ্রিস ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যেতে পারে৷ এতে করে ইউরোপের কেউই লাভবান হবে না৷
গ্রিসের বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান বলেন, ‘‘এর ফলে হয়ত ইউরোজোনের বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসবে, কিন্তু এতে ইউরোজোন ধ্বংস হয়ে যাবে না৷''
উল্লেখ্য, চলতি মাসের মধ্যেই গ্রিসকে আইএমএফকে ১.৬ বিলিয়ন ইউরো ফেরত দিতে হবে৷ আর পরবর্তী দুই মাসে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিতে হবে ৬.৭ বিলিয়ন ইউরো৷ এই লক্ষ্যে দাতাদের কাছ থেকে বেইলআউট প্যাকেজের শেষ কিস্তি (৭.২ বিলিয়ন ইউরো) পেতে আলোচনা করছে গ্রিস৷ কিন্তু দাতাদের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছে না গ্রিস৷ লুক্সেমবুর্গের বৈঠকে অর্থমন্ত্রীরা আবারও সেই চেষ্টাই করবেন৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন