আমি ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি ড্যানিয়েলে লোডুকা - - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০১৫

আমি ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি ড্যানিয়েলে লোডুকা -

 আমি ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি  ড্যানিয়েলে লোডুকা -dailynayadiganta

আমি কখনোই আল্লাহকে খােঁজার গরজ অনুভব করনি।ি যখন কছিুই করার থাকত না, তখন কোনো পুরনো বই বা ভবন দখেে সময় কাটাতাম। কখনো কল্পনাও করনিি আমি মুসলমান হব। আমি খ্রস্টিানও হতে চাইন।ি
যকেোনো প্রাতষ্ঠিানকি র্ধমরে প্রতইি আমার তীব্র বতিৃষ্ণা ছলি। প্রাচীন কোনো গ্রন্থ আমার জীবনযাপনরে পথ-নর্দিশে করব,ে তা নয়িে ভাবইিন।ি
এমনকি কউে যদি আমাকে কয়কে কোটি ডলার দয়িওে কোনো র্ধম গ্রহণ করতে বলত, আমি সরাসরি অস্বীকার করতাম।
আমার প্রয়ি লখেকদরে অন্যতম ছলিনে র্বাটান্ড রাসলে। তার মত,ে র্ধম হলো কুসংস্কাররে চয়েে একটু ভালো, সাধারণভাবে লোকজনরে জন্য ক্ষতকির, যদওি এর ইতবিাচক কছিু বষিয়ও আছ।ে তনিি বশ্বিাস করতনে, র্ধম ও র্ধমীয় দৃষ্টভিঙ্গি জ্ঞানরে পথ বন্ধ করে দয়ে, ভীতি আর নর্ভিরতা বাড়য়িে দয়ে। তাছাড়া আমাদরে বশ্বিরে যুদ্ধ, নর্যিাতন আর র্দুদশার জন্য অনকোংশে দায়ী র্ধম।
আমার মনে হতো, র্ধম ছাড়াই তো ভালো আছ।ি আমি প্রমাণ করতে চাইতাম, র্ধম আসলে একটা জোচ্চুর।ি র্ধমকে হয়ে করতে আমি পরকিল্পতি কাজ করার কথা ভাবতাম।
হ্যাঁ, সইে আমইি এখন মুসলমান।
আমি ঘোষণা দয়িইে ইসলাম গ্রহণ করছে।ি আর সটো না করে উপায়ও ছলি না। আমি অনুগত হয়ছে,ি ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়ছে।ি
মজার ব্যাপার হলো, যখন র্ধমাবলম্বনকারীদরে সাথে বশিষে করে মুসলমান হসিবেে পরচিয়দানকারীদরে সাথে কথা বলতাম, আমি প্রায়ই লক্ষ করতাম, তারা বশ্বিাস করার আকাঙ্ক্ষা পোষণ কর।ে তাদরে র্ধমগ্রন্থে যতই সাংর্ঘষকি বষিয় থাকুক, ভুল থাকুক, তারা সবকছিু এড়য়িে দ্বধিাহীনভাবে র্ধমকে আঁকড়ে ধর।ে তারা জান,ে তারা কী বশ্বিাস কর।ে


ব্যক্তগিতভাবে আমি কখনো আল্লাহকে খুঁজকে চাইন,ি সইে ইচ্ছাও আমার কখনো হয়ন।ি একদনি আমার এক বন্ধু ইসলামে আল্লাহর অস্তত্বি সর্ম্পকে বোঝাতে চাইল, আমি ক্ষুব্ধ হলাম।
কোনো মানুষ যখন কছিু বশ্বিাস করতে চায়, তখন তার মধ্যে অনকে সময়ই এমন একটা বোধ সৃষ্টি হয়, যার ফলে সটো গ্রহণ করার ব্যাপারে আগ্রহ তার মধ্যে তরৈি হয়। র্ধমরে ব্যাপারওে আমার মধ্যে তমেন একটা ধারণার সৃষ্টি হয়ছেলি। আমি র্ধমকে স্রফে একটা বাজে জনিসি হসিবেে বশ্বিাস করতে চাইতাম।
এমন বশ্বিাস কন্তিু কোনো দৃঢ় প্রমাণরে ভত্তিতিে হয়, এমন নয়। স্রফে অনুমানরে ওপর গড়ে ওঠে এ ধরনরে বশ্বিাস। আমি যখন কোনো র্ধমীয় বই পড়তাম, তখন সগেুলোর প্রতি আমার কোনো পক্ষপাতত্বি থাকত না, তবে আমার উদ্দশ্যে থাকত তা থকেে ভুল-ত্রুটি বরে করা। এর ফলে আমি আমার উদ্দশ্যেরে প্রতি অটল থাকতে পারতাম।
আমার কোরআনরে পপোরব্যাক অনুবাদটি পয়েছেলিাম বনিা মূল্য।ে একদনি দখেলাম, এমবএি’র কছিু ছলেে কোরআন বলিি করছ।ে আমি জানতে চাইলাম, এগুলো কি ফ্র?ি তারা হ্যাঁ সূচক জবাব দলিে আমি একটা নয়িে রওনা দলিাম। এসব বইয়রে প্রতি আমার বন্দিুমাত্র আগ্রহ ছলি না। কবেল ফ্রি পয়েছেলিাম বলে নয়িছেলিাম। তবে আমার উদ্দশ্যে ছলি, বইটা পড়ে আরো কছিু খুঁত যদি পাওয়া যায়, তবে র্ধমটরি বরিুদ্ধে ব্যবহার করা যাব।ে
আমি যে কপটিা পয়েছেলিাম, সটেরি পাতাগুলো মলনি হয়ে গয়িছেলি, অনকে পুরনো ছলি সটে।ি কন্তিু আমি যতই পড়তে থাকলাম, ততই বশীভূত হতে লাগলাম। আমি আগে যসেব র্ধমীয় গ্রন্থ পড়ছে,ি তা থকেে এটা সর্ম্পূণ ভন্নি। আমি র্অথ সহজইে বুঝতে পারছলিাম। সবকছিুই ছলি স্পষ্ট।
আমার মনে পড়ল, আমার এক বন্ধু যখন আমাকে ইসলামে আল্লাহ কমেন তা বোঝাচ্ছলি, আমি রগেে গয়িছেলিাম, কন্তিু এবার পাতার পর পাতা উল্টে অনকে জায়গায় দখেতে পলোম তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়ছে,ে ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়।’
মনে হলো, পবত্রি কোরআন সরাসরি আমার সাথে কথা বলছ,ে আমার জীবনরে সাথে জড়য়িে আছ।ে এটা একটা ‘পুরনো গ্রন্থ’ কন্তিু পুরোপুরি প্রাসঙ্গকি। এর কাব্যকিতা, কল্পনাশক্তি এবং যভোবে র্বাতা পৗেঁছে দয়ে, তা আমাকে অন্তর থকেে নাড়া দলি। এর অভূতর্পূব সৌর্ন্দয আমি আগে কখনো টরে পাইন।ি মরুভূমরি দমকা হাওয়া যনে সবকছিু উল্টে দলি। মনে হলো আমি যনে কছিু একটার জন্য দৌড়াচ্ছ।ি
কোরআন আমার বোধশক্ততিে প্রতক্রিয়িা সৃষ্টি করল। নদির্শেনাবলী দখেে তারপর আমাকে চন্তিা করত,ে ভাবত,ে ববিচেনা করতে বলল। এটা অন্ধ বশ্বিাস প্রত্যাখ্যান কর,ে কন্তিু যুক্তি ও বুদ্ধবিৃত্তকিে উৎসাহতি কর।ে কোরআন মানুষকে কল্যাণরে দকিে আহ্বান কর,ে স্রষ্টাকে স্বীকার করে নতিে বল,ে সইেসাথে আধুনকিতা, মানবকিতা, সহর্মমতিার কথা বল।ে
অল্প সময়রে মধ্যইে আমার জীবনকে বদলে দয়োর আগ্রহ তীব্র হয়। আমি ইসলাম সর্ম্পকে অন্যান্য বই পড়তে শুরু করলাম। আমি দখেতে পলোম, কোরআনে অনকে ভবষ্যিদ্বাণী রয়ছে,ে অনকে হাদসিওে তমেনটা আছ।ে আমি দখেলাম, পবত্রি কোরআনে অনকে স্থানে নবী মোহাম্মদকে সংশোধন করা হয়ছে।ে আমার কাছে অদ্ভূত লাগল। এতইে বোঝা যায়, তনিি গ্রন্থটরি লখেক নন।
আমি নতুন পথে হাঁটতে শুরু করলাম, পবত্রি কোরআনরে জ্যোতি আর নবী মোহাম্মদরে দখোনো রাস্তায়। এই লোকটরি মধ্যে মথ্যিাবাদরি কোনো আলামত দখো যায়ন।ি তনিি সারা রাত নামাজ পড়তনে, তাঁকে নর্যিাতনকারীদরে ক্ষমা করে দতিে বলতনে, দয়া প্রর্দশনকে উৎসাহতি করতনে। সম্পদ আর ক্ষমতা তনিি প্রত্যাখান করতনে, কবেল আল্লাহর দকিইে নবিদেনরে বশিুদ্ধ র্বাতাই প্রচার করতনে। আর তা করতে গয়িে নর্মিম নর্যিাতন সহ্য করছেনে।
সব কছিুই সরল, সহজইে বোঝা যায়। আমাদরে সৃষ্টি করা হয়ছে।ে এই মহাবশ্বিরে জটলি আর বচৈত্র্যিময় কোনো কছিুই ঘটনাক্রমে ঘটনে।ি তা-ই সাধারণ বষিয় হলো, সইে একজন- যনিি আমাদরে সৃষ্টি করছেনে, তাকে অনুসরণ করতে হব।ে
আমার অ্যার্পাটমন্টেরে কৃত্রমি লাইটংি এবং বাতাসরে ওজন নয়িে ভাবতে ভাবতে পবত্রি কোরআনরে এই আয়াতটি পড়লাম :
কাফরেরা কি ভবেে দখেে না য,ে আকাশমণ্ডলীর ও পৃথবিীর মুখ বন্ধ ছলি, এরপর আমি উভয়কে খুলে দলিাম এবং প্রাণবন্ত সবকছিু আমি পানি থকেে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বশ্বিাস স্থাপন করবে না? (কোরআন ২১:৩০)
এই আয়াত পড়ে আমার মাথা যনে দুই ভাগ হয়ে গলে। এটাই তো বগি ব্যাং তত্ত্ব (এটা স্রফে একটা তত্ত্ব নয়)... সব জীবন্ত সত্তাই পানি থকেে সৃষ্টি হয়ছে,ে বজ্ঞিানীরা মাত্র এটা আবষ্কিার করছে।ে এটা ছলি অবাক করা বষিয়। এটা ছলি আমার জীবনরে সবচয়েে উত্তজেনাকর এবং সবচয়েে ভীতকির সময়।
আমি বইয়রে পর বই অধ্যায়ন করতে লাগলাম, তথ্যগুলো যাচাই করতে থাকলাম। এক রাতে আমি প্র্যাট ইনস্টটিউিট লাইব্ররেতিে বসে খোলা বইগুলোর দকিে তাকয়িে ছলিাম। আমার মুখটা হয়তো কছিুটা ফাঁক হয়ে গয়িছেলি। কী ঘটতে যাচ্ছ,ে আমি বুঝতে পারছলিাম না। তবে এটুকু অনুভব করলাম, আমার সামনে যা রয়ছে,ে তা হলো সত্য। আগে আমি যটোকে সত্য ভাবতাম, সটোর আর কোনা অস্তত্বি ছলি না।
এখন কীআমার সামনে দুটি বকিল্প ছলি। একটা আসলে কোনো বকিল্পই ছলি না। আমি যা আবষ্কিার করছেলিাম, তা অস্বীকার করতে পারছলিাম না, অগ্রাহ্য করতে পারছলিাম না। আগরে মতোই চলব, এমনটাও ভাবছলিাম সামান্য সময়রে জন্য। সটোও সম্ভব ছলি না। আমার কাছে পথ খোলা ছলি কবেল একটাই।
ইসলাম গ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছলি না আমার সামন।ে অন্য কছিু করা মানইে ছলি সত্যকে অস্বীকার করা।
(লখেকিা ড্যানয়িলেে লোডুকা ইউরোপয়িান বংশোদ্ভূত আমরেকিান। ক্যাথলকি পরবিারে জন্মগ্রহণ করছেলিনে তনি।ি ২০০২ সালে তনিি ইসলাম গ্রহণ করনে। পশোয় তনিি শল্পিী। ব্যক্তজিীবনে পাঁচ সন্তানরে মা। ইসলাম নয়িে নয়িমতি লখোলখেি করনে।)

অনুবাদ : আসফি হাসান
 

আমি কখনোই আল্লাহকে খোঁজার গরজ অনুভব করিনি। যখন কিছুই করার থাকত না, তখন কোনো পুরনো বই বা ভবন দেখে সময় কাটাতাম। কখনো কল্পনাও করিনি আমি মুসলমান হব। আমি খ্রিস্টানও হতে চাইনি।
যেকোনো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রতিই আমার তীব্র বিতৃষ্ণা ছিল। প্রাচীন কোনো গ্রন্থ আমার জীবনযাপনের পথ-নির্দেশ করবে, তা নিয়ে ভাবিইনি।
এমনকি কেউ যদি আমাকে কয়েক কোটি ডলার দিয়েও কোনো ধর্ম গ্রহণ করতে বলত, আমি সরাসরি অস্বীকার করতাম।
আমার প্রিয় লেখকদের অন্যতম ছিলেন বার্টান্ড রাসেল। তার মতে, ধর্ম হলো কুসংস্কারের চেয়ে একটু ভালো, সাধারণভাবে লোকজনের জন্য ক্ষতিকর, যদিও এর ইতিবাচক কিছু বিষয়ও আছে। তিনি বিশ্বাস করতেন, ধর্ম ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি জ্ঞানের পথ বন্ধ করে দেয়, ভীতি আর নির্ভরতা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া আমাদের বিশ্বের যুদ্ধ, নির্যাতন আর দুর্দশার জন্য অনেকাংশে দায়ী ধর্ম।
আমার মনে হতো, ধর্ম ছাড়াই তো ভালো আছি। আমি প্রমাণ করতে চাইতাম, ধর্ম আসলে একটা জোচ্চুরি। ধর্মকে হেয় করতে আমি পরিকল্পিত কাজ করার কথা ভাবতাম।
হ্যাঁ, সেই আমিই এখন মুসলমান।
আমি ঘোষণা দিয়েই ইসলাম গ্রহণ করেছি। আর সেটা না করে উপায়ও ছিল না। আমি অনুগত হয়েছি, ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি।
মজার ব্যাপার হলো, যখন ধর্মাবলম্বনকারীদের সাথে বিশেষ করে মুসলমান হিসেবে পরিচয়দানকারীদের সাথে কথা বলতাম, আমি প্রায়ই লক্ষ করতাম, তারা বিশ্বাস করার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে। তাদের ধর্মগ্রন্থে যতই সাংঘর্ষিক বিষয় থাকুক, ভুল থাকুক, তারা সবকিছু এড়িয়ে দ্বিধাহীনভাবে ধর্মকে আঁকড়ে ধরে। তারা জানে, তারা কী বিশ্বাস করে।

ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনো আল্লাহকে খুঁজকে চাইনি, সেই ইচ্ছাও আমার কখনো হয়নি। একদিন আমার এক বন্ধু ইসলামে আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে বোঝাতে চাইল, আমি ক্ষুব্ধ হলাম।
কোনো মানুষ যখন কিছু বিশ্বাস করতে চায়, তখন তার মধ্যে অনেক সময়ই এমন একটা বোধ সৃষ্টি হয়, যার ফলে সেটা গ্রহণ করার ব্যাপারে আগ্রহ তার মধ্যে তৈরি হয়। ধর্মের ব্যাপারেও আমার মধ্যে তেমন একটা ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল। আমি ধর্মকে স্রেফ একটা বাজে জিনিস হিসেবে বিশ্বাস করতে চাইতাম।
এমন বিশ্বাস কিন্তু কোনো দৃঢ় প্রমাণের ভিত্তিতে হয়, এমন নয়। স্রেফ অনুমানের ওপর গড়ে ওঠে এ ধরনের বিশ্বাস। আমি যখন কোনো ধর্মীয় বই পড়তাম, তখন সেগুলোর প্রতি আমার কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকত না, তবে আমার উদ্দেশ্য থাকত তা থেকে ভুল-ত্রুটি বের করা। এর ফলে আমি আমার উদ্দেশ্যের প্রতি অটল থাকতে পারতাম।
আমার কোরআনের পেপারব্যাক অনুবাদটি পেয়েছিলাম বিনা মূল্যে। একদিন দেখলাম, এমবিএ’র কিছু ছেলে কোরআন বিলি করছে। আমি জানতে চাইলাম, এগুলো কি ফ্রি? তারা হ্যাঁ সূচক জবাব দিলে আমি একটা নিয়ে রওনা দিলাম। এসব বইয়ের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। কেবল ফ্রি পেয়েছিলাম বলে নিয়েছিলাম। তবে আমার উদ্দেশ্য ছিল, বইটা পড়ে আরো কিছু খুঁত যদি পাওয়া যায়, তবে ধর্মটির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে।
আমি যে কপিটা পেয়েছিলাম, সেটির পাতাগুলো মলিন হয়ে গিয়েছিল, অনেক পুরনো ছিল সেটি। কিন্তু আমি যতই পড়তে থাকলাম, ততই বশীভূত হতে লাগলাম। আমি আগে যেসব ধর্মীয় গ্রন্থ পড়েছি, তা থেকে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি অর্থ সহজেই বুঝতে পারছিলাম। সবকিছুই ছিল স্পষ্ট।
আমার মনে পড়ল, আমার এক বন্ধু যখন আমাকে ইসলামে আল্লাহ কেমন তা বোঝাচ্ছিল, আমি রেগে গিয়েছিলাম, কিন্তু এবার পাতার পর পাতা উল্টে অনেক জায়গায় দেখতে পেলাম তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়।’
মনে হলো, পবিত্র কোরআন সরাসরি আমার সাথে কথা বলছে, আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে। এটা একটা ‘পুরনো গ্রন্থ’ কিন্তু পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক। এর কাব্যিকতা, কল্পনাশক্তি এবং যেভাবে বার্তা পৌঁছে দেয়, তা আমাকে অন্তর থেকে নাড়া দিল। এর অভূতপূর্ব সৌন্দর্য আমি আগে কখনো টের পাইনি। মরুভূমির দমকা হাওয়া যেন সবকিছু উল্টে দিল। মনে হলো আমি যেন কিছু একটার জন্য দৌড়াচ্ছি।
কোরআন আমার বোধশক্তিতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করল। নিদের্শনাবলী দেখে তারপর আমাকে চিন্তা করতে, ভাবতে, বিবেচনা করতে বলল। এটা অন্ধ বিশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে, কিন্তু যুক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে উৎসাহিত করে। কোরআন মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করে, স্রষ্টাকে স্বীকার করে নিতে বলে, সেইসাথে আধুনিকতা, মানবিকতা, সহমর্মিতার কথা বলে।
অল্প সময়ের মধ্যেই আমার জীবনকে বদলে দেয়ার আগ্রহ তীব্র হয়। আমি ইসলাম সম্পর্কে অন্যান্য বই পড়তে শুরু করলাম। আমি দেখতে পেলাম, কোরআনে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে, অনেক হাদিসেও তেমনটা আছে। আমি দেখলাম, পবিত্র কোরআনে অনেক স্থানে নবী মোহাম্মদকে সংশোধন করা হয়েছে। আমার কাছে অদ্ভূত লাগল। এতেই বোঝা যায়, তিনি গ্রন্থটির লেখক নন।
আমি নতুন পথে হাঁটতে শুরু করলাম, পবিত্র কোরআনের জ্যোতি আর নবী মোহাম্মদের দেখানো রাস্তায়। এই লোকটির মধ্যে মিথ্যাবাদির কোনো আলামত দেখা যায়নি। তিনি সারা রাত নামাজ পড়তেন, তাঁকে নির্যাতনকারীদের ক্ষমা করে দিতে বলতেন, দয়া প্রদর্শনকে উৎসাহিত করতেন। সম্পদ আর ক্ষমতা তিনি প্রত্যাখান করতেন, কেবল আল্লাহর দিকেই নিবেদনের বিশুদ্ধ বার্তাই প্রচার করতেন। আর তা করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতন সহ্য করেছেন।
সব কিছুই সরল, সহজেই বোঝা যায়। আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। এই মহাবিশ্বের জটিল আর বৈচিত্র্যময় কোনো কিছুই ঘটনাক্রমে ঘটেনি। তা-ই সাধারণ বিষয় হলো, সেই একজন- যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তাকে অনুসরণ করতে হবে।
আমার অ্যাপার্টমেন্টের কৃত্রিম লাইটিং এবং বাতাসের ওজন নিয়ে ভাবতে ভাবতে পবিত্র কোরআনের এই আয়াতটি পড়লাম :
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমণ্ডলীর ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, এরপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (কোরআন ২১:৩০)
এই আয়াত পড়ে আমার মাথা যেন দুই ভাগ হয়ে গেল। এটাই তো বিগ ব্যাং তত্ত্ব (এটা স্রেফ একটা তত্ত্ব নয়)... সব জীবন্ত সত্তাই পানি থেকে সৃষ্টি হয়েছে, বিজ্ঞানীরা মাত্র এটা আবিষ্কার করেছে। এটা ছিল অবাক করা বিষয়। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাকর এবং সবচেয়ে ভীতিকর সময়।
আমি বইয়ের পর বই অধ্যায়ন করতে লাগলাম, তথ্যগুলো যাচাই করতে থাকলাম। এক রাতে আমি প্র্যাট ইনস্টিটিউট লাইব্রেরিতে বসে খোলা বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমার মুখটা হয়তো কিছুটা ফাঁক হয়ে গিয়েছিল। কী ঘটতে যাচ্ছে, আমি বুঝতে পারছিলাম না। তবে এটুকু অনুভব করলাম, আমার সামনে যা রয়েছে, তা হলো সত্য। আগে আমি যেটাকে সত্য ভাবতাম, সেটার আর কোনা অস্তিত্ব ছিল না।
এখন কীআমার সামনে দুটি বিকল্প ছিল। একটা আসলে কোনো বিকল্পই ছিল না। আমি যা আবিষ্কার করেছিলাম, তা অস্বীকার করতে পারছিলাম না, অগ্রাহ্য করতে পারছিলাম না। আগের মতোই চলব, এমনটাও ভাবছিলাম সামান্য সময়ের জন্য। সেটাও সম্ভব ছিল না। আমার কাছে পথ খোলা ছিল কেবল একটাই।
ইসলাম গ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না আমার সামনে। অন্য কিছু করা মানেই ছিল সত্যকে অস্বীকার করা।
(লেখিকা ড্যানিয়েলে লোডুকা ইউরোপিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান। ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। পেশায় তিনি শিল্পী। ব্যক্তিজীবনে পাঁচ সন্তানের মা। ইসলাম নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন।)
অনুবাদ : আসিফ হাসান
- See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/32230#sthash.VmqAQBKN.dpuf

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here