দিল্লিতে ‘এক পদ, এক পেনশন’ চালুর দাবিতে সাবেক সেনাদের সমাবেশ

দিল্লিতে ‘এক পদ, এক পেনশন’ চালুর দাবিতে সাবেক সেনাদের সমাবেশ

(রেডিও তেহরান): ‘এক পদ, এক পেনশন’ প্রকল্প চালু করার দাবিতে আজ ভারতের সাবেক সেনা কর্মীরা দিল্লিতে এক  প্রতিবাদ সভা করেন। দিল্লির যন্তর মন্তরে আজ (রোববার) সেনাদের এক সমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ হাজারের বেশি সাবেক সেনা জওয়ান উপস্থিত ছিলেন। ক্ষুব্ধ সেনারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে তাদের মেডেল ফিরিয়ে দেবেন।

  

সাবেক সেনা সদস্যদের দাবি, সরকারকে  ‘এক পদ, এক পেনশন’ চালুর নিশ্চিত তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তা না হলে আগামীকাল সোমবার থেকে তারা অনশন শুরু করবেন।

   

‘এক পদ, এক পেনশন’ চালু না হওয়ায় কেন্দ্র সরকারের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। এ নিয়ে তারা দিল্লিসহ দেশের ৫০ টির বেশি শহরে র‍্যালির আয়োজন করবেন।

সারা দেশে ২৫ লাখ সাবেক সেনা সদস্য রয়েছেন। ‘এক পদ, এক পেনশন’ চালু হলে এরা উপকৃত হবেন। বেশ কয়েকদিন ধরে তারা সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিং, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পাররিকার এবং অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করলেও বিষয়টি নিস্পত্তি হয়নি।

আজ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অনিল কাউল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে। যদিও এক বছর পার হয়ে গেলেও এ নিয়ে কিছুই হয়নি।’

সাবেক সেনা সদস্যরা আজ ‘ওয়ান র‍্যাঙ্ক, ওয়ান পেনশন' আমাদের হক, আমরা তা আদায় করেই ছাড়ব, প্লাকার্ড হাতে নিয়ে দিল্লির প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত হন।  

এর আগে ইন্ডিয়ান এক্স সার্ভিসমেন মুভমেন্ট (আইইএসএম)-এর  চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সতবীর সিং জানিয়েছিলেন, ‘আমরা গত ডিসেম্বর থেকে চারবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পাররিকারের  সঙ্গে দেখা করেছি। প্রতিবারই তিনি বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে যোজনা চালু হবে। যদিও তা হয়নি।’

গত ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘বিষয়টি জটিল, আমাকে একটু সময় দিন। আমরা একযোগে এই সমস্যার একটা সমাধান খুঁজে বের করতে পারব।’

গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিষয়টি বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারেও ছিল। এখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এক বছরের বেশি মেয়াদ পার হয়ে গেলেও এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

কংগ্রেস আগেই সাবেক সেনাদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী সাবেক সেনা সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। স্বভাবতই বিজেপি পরিচালিত সরকার এ নিয়ে চাপে পড়ে গেছে। #

রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/১৪