জামায়াতকে কলঙ্কিত করার জন্য বেগম জিয়াকে হত্যার চক্রান্ত
ষড়যন্ত্র ফাঁস-weeklysonarbangla.net
New
0 0
॥ জামশেদ মেহদী॥
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন হলো সুসংগঠিত প্রচারণা চলছে। প্রচারণার সেন্ট্রাল পয়েন্ট ছিল, বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের সৃষ্টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে দূরত্ব সৃষ্টি এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করে ২০ দলীয় জোটে ভাঙ্গন সৃষ্টির চেষ্টা। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের ভারতপ্রেমী মহল যথা আওয়ামী লীগ, হাসানুল হক ইনুর জাসদ, মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি, আওয়ামী ঘরানার তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এবং আওয়ামী অনুগত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া তাদের এই অশুভ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য দেশী-বিদেশী মহলকে সাক্ষী গোপাল বানিয়ে ডাহা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে মিথ্যার আবরণে সত্যকে চিরদিন ঢেকে রাখা যায় না। সত্য তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হচ্ছে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা করেছে যে, ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে সরিয়ে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা ২০ দলীয় জোটের নাই।
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন হলো সুসংগঠিত প্রচারণা চলছে। প্রচারণার সেন্ট্রাল পয়েন্ট ছিল, বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের সৃষ্টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে দূরত্ব সৃষ্টি এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করে ২০ দলীয় জোটে ভাঙ্গন সৃষ্টির চেষ্টা। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের ভারতপ্রেমী মহল যথা আওয়ামী লীগ, হাসানুল হক ইনুর জাসদ, মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি, আওয়ামী ঘরানার তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এবং আওয়ামী অনুগত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া তাদের এই অশুভ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য দেশী-বিদেশী মহলকে সাক্ষী গোপাল বানিয়ে ডাহা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে মিথ্যার আবরণে সত্যকে চিরদিন ঢেকে রাখা যায় না। সত্য তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হচ্ছে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা করেছে যে, ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে সরিয়ে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা ২০ দলীয় জোটের নাই।
২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট গণতান্ত্রিক ও ভোটের। এ জোট সম্পূর্ণ কৌশলগত। রিপন বলেন, আমাদের জোটে সাম্যবাদী দলও আছে। তার অর্থ কি আমরা সবাই সমাজতন্ত্রী হয়ে যাচ্ছি? জোটের দলগুলো তাদের নিজস্ব রাজনীতি করছে। আমরা আমাদের রাজনীতি করছি। এখানে ছেড়ে দেয়া, রাখা বা ধরার বিষয় নয়। গত ১৩ জুন শনিবার বিকেলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি জামায়াত নির্ভর বলে ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব। তিনি আরেকটি দল করলেও তার দর্শন জিয়াউর রহমানের আদর্শ। তার ওই মন্তব্য একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে বিএনপি জামায়াত নির্ভর দল নয়। বিএনপি জিয়াউর রহমানের দর্শন ও মূলনীতি দিয়ে পরিচালিত হয়।
জামায়াত ছাড়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চাপ আছে- এরকম প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন, আমি এরকম কথা শুনি নাই। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোটের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে দলের মুখপাত্র বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট হচ্ছে- গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের জন্য। আমাদের দলের রাজনীতি, জামায়াতের রাজনীতি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (আন্দালিব রহমান পার্থ) দলসহ বিভিন্ন দলের রাজনীতি ও দর্শন ভিন্ন। রিপন বলেন, আমাদের জোটে সাম্যবাদী দলও আছে। তার অর্থ কি আমরা সবাই সমাজতন্ত্রী হয়ে যাচ্ছি? জোটের দলগুলো নিজস্ব রাজনীতি করছে। আমরা আমাদের রাজনীতি করছি। এখানে ছেড়ে দেয়া, রাখা বা ধরার বিষয় নয়। সুতরাং বিএনপি একটি বৃহৎ জনপ্রিয় দল। আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি করি।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। বিএনপি অ্যাবসোলুটলি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দর্শনের ওপর পরিচালিত হচ্ছে। তার রাজনীতি হচ্ছে আমাদের দলের মূলনীতি। এই মূলনীতির ওপর ভর করে বিএনপি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের জন্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালন করেছে, করছে ও ভবিষ্যতেও করবে। বিএনপির মুখপাত্রের এই সাংবাদিক সম্মেলনের পর ২০ দলীয় জোটে জামায়াতকে কেন্দ্র করে আর কোনো অপপ্রচার হবেনা বলে দল নিরপেক্ষ মানুষ মনে করেন। তবে যারা গিবৎ গায়, তারা সেটা গাইতেই থাকে। তাদেরকে থামানো যায় না।
মোদিকে নিয়ে অপপ্রচার
নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ঐ মুখচেনা মহল বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিরামহীন বিরূপ প্রচারণা শুরু করে। সেই প্রচারণা ক্রমান্বয়ে জামায়াত পর্যন্ত গড়ায়। প্রথমে তারা প্রচার করতে শুরু করে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন অস্থির হয়ে পড়েছেন। এই জন্য ঢাকা এবং দিল্লির সংশ্লিষ্ট মহলগুলোতে তার দলের লোকেরা ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন প্রচারণাও চালানো হয় যে, বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়েছিল। তারা সেখানে সাউথ ব্লকের অর্থাৎ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হর্তা কর্তাদের সাথে দেখা করে এবং বেগম জিয়া ঢাকায় যেন মোদির একটি ইন্টারভিউ পান সেই অনুরোধ করে। একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত ওই রিপোর্টে আরও বলা হয় যে, বিএনপির ঐ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল দিল্লিতে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করেন। নরেন্দ্র মোদি যেন বেগম জিয়াকে একটি ইন্টারভিউ দেন সে জন্য সেখানেও তদবির করা হয়।
এরপর সংঘবদ্ধ প্রচারণা চালানো হয় যে, বিএনপির ঐ মিশন ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিএনপি নেতৃবৃন্দ এখন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে ইন্টারভিউ পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই সমস্ত প্রচারণার ভীড়ে নরেন্দ্র মোদির সফরের ঠিক আগের দিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেন যে, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক হচ্ছে না। বাংলাদেশের মানুষ তখন ধরে নিয়েছিল যে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কারো সাথে দেখা করবেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের ঠিক দুই ঘণ্টা পর দিল্লি থেকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জয় শঙ্কর আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা করেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠক হবে ৭ জুন। এবং দেখা গেল যে, মন্ত্রীর কথা নয়, মন্ত্রীর এক ধাপ নিচে যে সচিবের অবস্থান তার কথাই সত্য হলো। নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র বিএনপি প্রতিনিধি দলের সাথেই বৈঠক করলেন না, তাদের সাথে ৩০ মিনিট বৈঠকের পর বেগম খালেদা জিয়ার সাথে নরেন্দ্র মোদি ওয়ান টু ওয়ান একান্ত বৈঠক করেন ১৫ মিনিট। অর্থাৎ বিএনপির সাথে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন ৪৫ মিনিট। প্রশ্ন ওঠে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী কেন বলেছিলেন যে বেগম জিয়ার সাথে নরেন্দ্র মোদির কোনো বৈঠক হবে না? তাহলে কি তিনি বা তার সরকার চাচ্ছিলেন না যে, বিএনপির সাথে তথা বেগম জিয়ার সাথে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কোনো বৈঠক না হোক? নাকি তার সরকার তার মুখ দিয়ে ঘোষণা করিয়ে প্রস্তাবিত বৈঠকটি বাঞ্চাল করতে চেয়েছিল? জনাব, মাহমুদ আলী সেই পাকিস্তান আমলের একজন ক্যাডার সার্ভিস অফিসার। তিনি ফরেন সার্ভিসের অফিসার। তার মতো মানুষের এমন অসৎ ও কূটিল আচরণ প্রত্যাশিত নয়।
দঃখের সাথে বলতে হয় যে, এই সরকার শিষ্টাচারের কোনো ধার ধারে না। তা না হলে ইনু এবং মেননের মতো নাম গোত্রহীন দল এবং নেতার সাথেও সরকার বৈঠক ধার্য করে, কিন্তু বিএনপি তথা বেগম জিয়ার মতো দেশের বৃহত্তম দল এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর সাথে বৈঠক বানচাল করতে চায়।
মোদি যা বলেননি
বৈঠক তো হয়েই গেল। মোদি এবং খালেদা জিয়া ১৫ মিনিটের একান্ত বৈঠকে কি কথা বলেছেন সেটি, যতক্ষণ না তারা দু’জন বলছেন ততক্ষণ কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়। অনুরূপভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের একান্ত বৈঠকে কি কথা বলেছেন সেটি তারা দু’জন যতক্ষণ না প্রকাশ করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়। অথচ আওয়ামী ঘরানা থেকে পত্র পত্রিকা এবং টকশোতে, এমনকি অনেক সিনিয়র নেতাও জোর গলায় বলতে শুরু করেছেন যে, মোদি-খালেদা বৈঠকের সময় জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য নরেন্দ্র মোদি নাকি বেগম জিয়াকে বলেছেন। ওরা সে কথা জানলেন কিভাবে? নরেন্দ্র মোদি কি ওদেরকে সেটা বলেছেন? নাকি বেগম খালেদা জিয়া ওদেরকে বলেছেন? যদি দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে সেটি মোদি বলে থাকেন তাহলে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সেটি জানবেন। কিন্তু বেগম জিয়ার টিমের অন্যতম অভিজ্ঞ সদস্য সাবিহ উদ্দিন বলেছেন যে, এ রকম কোনো আলোচনা হয় নাই বা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এই রকম কোনো কথা বলেন নাই। পত্র-পত্রিকায় এই মর্মে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে সাবিহ উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কোথা থেকে যে এ ধরনের আজগুবি খবর ওরা পান সেটা ওরাই জানেন। আফসোস হয়, যখন দেখি যে, আমাদের অনেক দায়িত্বশীল মহল এমন মিথ্যার বেসাতি করেন।
বেগম জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র
গত প্রায় দুই সপ্তাহ হলো, এই মর্মে সংঘবদ্ধ প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদি প্রথমে বেগম জিয়ার সাথে দেখা করতে চাননি। কারণ ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী যখন ঢাকা সফর করেন তখন বেগম জিয়ার সাথে তার বৈঠক নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তিনি ভারতীয় প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করেননি। ফলে ভারতীয় প্রেসিডেন্ট অপমাণিত হয়েছেন। এ জন্য নরেন্দ্র মোদিও নাকি বেগম জিয়ার ওপর খুব রুষ্ট। বেগম জিয়া ভারত বিরোধী, এই কারণে তিনি প্রণব মুখার্জীর সাথে দেখা করেননি, এমন প্রচারণা বিগত ২ বছর ধরে চালিয়ে আসছে আওয়ামী ঘরানার নেতা এবং মিডিয়া। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা হওয়ার পর থলির বিড়াল বের করে দিয়েছেন স্বয়ং বেগম জিয়া। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দাবি করেছেন, তাকে হত্যা করে জামায়াতকে দায়ী করার পরিকল্পনা হয়েছিল বলেই ২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে তিনি সাক্ষাৎ করতে পারেননি। খালেদা জিয়া বলেন, ‘২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী সঙ্গে আমার বৈঠক বাতিল করতে হয়েছিল, কারণ আমি হত্যার হুমকি পেয়েছিলাম। যদি আমার কিছু হতো (বৈঠকে যাওয়ার পথে), তবে আমাদের বিরোধীরা তার জন্য জামায়াতকে দায়ী করার পরিকল্পনা করেছিল।’ দ্য সানডে গার্ডিয়ান’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ করেন বাংলাদেশের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। গত ১৩ জুন শনিবার ‘হাসিনা গভর্নমেন্ট ট্রাইড টু থয়ার্ট মাই মিটিং উইথ পিএম মোদি’ শিরোনামে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। ৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা পর খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎকারটি নেন সাংবাদিক সৌরভ স্যানাল। এতে খালেদা জিয়া মোদির সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তার দলকে ভারতবিরোধী বলে আখ্যায়িত করে যে প্রচারণা হয়, তার বিরুদ্ধেও কথা বলেন তিনি।
তাকে প্রশ্ন করা হয় : তাহলে আমি একটি প্রশ্ন সরাসরি করতে চাই; আপনি যেমনটি ইঙ্গিত করছেন, মোদির সাথে আপনার বৈঠক যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে সম্ভবত ক্ষমতাসীন সরকার কূটচাল চেলেছিল। কিন্তু আমরা যদি পেছনের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাব, ২০১৩ সালের মার্চে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন আপনি তার সাথে দেখা করেননি।
খালেদা জিয়া : আমি খুশি হয়েছি যে আপনি এই প্রশ্ন করেছেন। হ্যাঁ, এটা সত্য যে, প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশ সফরের সময় তার সাথে দেখা করতে পারিনি। জামায়াতে ইসলামী হরতাল ডেকেছিল একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাদের শীর্ষ তিনজন নেতাকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে। আমাকে রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকটি বাতিল করতে হয়েছিল, কারণ আমরা জানতে পেরেছিলাম, তার সাথে দেখা করতে গেলে আমার ওপর হামলা করা হবে। প্রকৃতপক্ষে তা জীবনের জন্য হুমকি হয়েও দাঁড়াতে পারে। আপনি যদি মনে করার চেষ্টা করেন তাহলে যে হোটেলটি পার হয়ে আমি যেতাম, তার পাশে পেট্রোলবোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল।
প্রশ্ন : কিন্তু জামায়াতে ইসলামী আপনার জোটের শরিক। কেন তারা আপনার ওপর হামলা করবে?
খালেদা জিয়া : স্পষ্ট করেই বলছি, সেটাই মূল বিষয়। আমার যে কোনো কিছু ঘটতে পারত, আর এর পুরো দায় গিয়ে পড়ত জামায়াতের ওপর এবং আমাদের বিরোধী পক্ষের এটাই ছিল পরিকল্পনা, যা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম এবং সে কারণে বৈঠক বাতিল করা হয়েছিল। আজ আমি আপনাকে প্রকৃত বিষয়টি জানালাম। বেগম জিয়া এবং জামায়াতের মধ্যে যারা অষ্ট প্রহর বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা করেন, বেগম জিয়ার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশের পর তাদের আর কি বলার আছে, সেটা জানার প্রতীক্ষায় থাকবেন দেশবাসী।
Email: jamshedmehdi15@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন