থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান না করতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ

থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান না করতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ

 (রেডিও তেহরান): নিরাপত্তাজনিত আশংকা থেকে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান না করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

(সোমবার) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে থার্টি ফার্স্ট নাইট সতর্কতার সাথে উদযাপন করতে বলেছেন। যেকোনো আনন্দ উৎসব পালনের আগে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রীপরিষদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আন্তর্জাতিক পর্যটন বর্ষ উপলক্ষে আতশবাজিসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

এ আলোচনার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অভাব নেই। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান করা ঠিক হবে না।

রাশেদ খান মেনন জানান, পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যটন বর্ষ উপলক্ষে কক্সবাজারে আয়োজিত আতশবাজি অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। তবে অন্যান্য কর্মসূচি বহাল থাকবে।

বড় বড় উৎসবের দিনে নিরাপত্তাবিষয়ক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ছাত্রী লাঞ্ছনার প্রসঙ্গ ওঠে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, এ ঘটনায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। কেউ এ ঘটনায় সাক্ষী দেয়নি। এমনকি নির্যাতিত ছাত্রীও কোনো বক্তব্য দেয়নি। কোনোরকম সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। এই প্রতিবেদন নিয়ে এখন আবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া থার্টি ফার্স্টে রাত আটটার মধ্যে সবাইকে বাসায় ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে খোলা জায়গায় কোনো ধরণের উৎসবের আয়োজন করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকার আবাসিক লোকজনের ওপর এই কড়াকড়ি বহাল থাকবে।

  সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইটে এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানানো হয়। #

রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/২৮