কেন বিপজ্জনকভাবে অবৈধ অভিবাসন?-dw
বাংলাদেশের মানুষের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা মূলত উন্নত জীবনের আশায়৷ যাঁরা
বিদেশ যেতে চান, তাঁদের একটা বড় অংশ অল্প বা অর্ধশিক্ষিত৷ তাই সহায় সম্পদ
বিক্রি করে বাইরে যেতে চান তাঁরা৷ আর এই আগ্রহকেই পুঁজি করে মানব
পাচারকারীরা৷
বিদেশে চাকরির লোভ দেখিয়ে অবৈধভাবে তারা এ সব মানুষকে পাচার করে৷ কিন্তু বিপদসংকুল সমুদ্রপথে যাত্রার ফলে
অনেকেই প্রাণ হারান অথবা দূরের কোনো দেশে গিয়ে তাঁদের জায়গা হয়
বন্দিশিবিরে৷ আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম)-এর বাংলাদেশের মুখপাত্র
আসিফ মুনীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে সমুদ্রপথে
অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা আছে৷ এর প্রধান কারণ অর্থনৈতিক দুর্ভোগ ও
অসচেতনতা৷''
জাতিসংঘ বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ মে মাসের দিকে
থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার আর মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে অন্তত তিন হাজার
বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উদ্ধার করা হয়৷ এছাড়া আরো ছয় থেকে আট হাজার
অভিবাসনপ্রত্যাশী ঐ সময়ে সাগরে নৌকায় ভেসেছিল বলে খবর৷
এ বছরের প্রথমদিকে মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গণকবর আবিষ্কার হওয়ার পর, বাংলাদেশ থেকে অভৈধভাবে পাচার হয়ে যাওয়া মানুষের অবর্ণনীয় মানবেতর জীবনের কথা জানা যায়৷
এ সব তথ্য প্রকাশ পায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে৷ আইওএম বাংলাদেশের মুখপাত্র আসিফ মুনীর বলেন, ‘‘বাংলাদেশের, বিশেষ করে কক্সবাজার এলাকায় দালাল-চক্র দীর্ঘনি ধরেই এ সব মানুষকে পাচার করে আসছিল অবৈধভাবে৷ সাধারণত চাকরি এবং উন্নত জীবনের লোভের ফাঁদে ফেলে তাঁদের পাচার করা হয়৷''
আরো জানা যায় যে, ঐ সময়ে সাগর এবং জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বড় একটি অংশ এখনও দেশে ফিরতে পারেননি৷ আজও তাঁদের জীবন কাটছে বন্দিশিবিরে৷ আসিফ মুনীর বলেন, ‘‘আমরা এপ্রিল -মে মাসের পর থেকে প্রচুর আবেদন পাচ্ছি আটকে পড়াদের আত্মীয়-স্বজনের তরফ থেকে৷ কিন্তু তাঁদের ফেরত আনতে হলে বাংলাদেশ সরকারকেই মূল উদ্যোগটা নিতে হবে৷আমরা এই প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র সহযোগিতা করতে পারি৷''
বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৬ লাখ নাগরিক বিশ্বের মোট ১৬০টি দেশে অবস্থান করছেন৷ এরা মূলত বৈধ পথে কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন৷ তবে যাঁরা অবৈধভাবে বিদেশে গেছেন, তাঁদের সঠিক কোনো হিসাব নেই৷ আইওএম-এর এই মুখপাত্র বলেন, ‘‘যখন তাঁরা আটক হন বা উদ্ধার হন তখনই কেবল তাঁদের খবর জানা যায়৷ কিন্তু এর বাইরে যাঁরা আছেন তাঁদের খবর জানা সম্ভব নয়৷''
আসিফ মুনীর জানান, ‘‘অবৈধ এবং বিপজ্জনক অভিবাসন বন্ধ করতে প্রয়োজন ব্যাপক জন সচেতনতা৷ মানুষকে বুঝাতে হবে যে, বৈধভাবেও বিদেশে যাওয়া যায়৷ আর অবৈধভাবে গেলে কী কী বিপদ – তাও তাঁদের জানাতে হবে৷ এরসঙ্গে কার্যকর করতে হবে আইনগত ব্যবস্থাকে৷ একই সঙ্গে তাঁদের বুঝতে হবে, যে টাকা খরচ করে তাঁরা বিদেশে যাবেন, সেই টাকা উঠবে কিনা৷ আদতেই লাভ হবে কিনা৷''
এ বছরের প্রথমদিকে মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গণকবর আবিষ্কার হওয়ার পর, বাংলাদেশ থেকে অভৈধভাবে পাচার হয়ে যাওয়া মানুষের অবর্ণনীয় মানবেতর জীবনের কথা জানা যায়৷
এ সব তথ্য প্রকাশ পায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে৷ আইওএম বাংলাদেশের মুখপাত্র আসিফ মুনীর বলেন, ‘‘বাংলাদেশের, বিশেষ করে কক্সবাজার এলাকায় দালাল-চক্র দীর্ঘনি ধরেই এ সব মানুষকে পাচার করে আসছিল অবৈধভাবে৷ সাধারণত চাকরি এবং উন্নত জীবনের লোভের ফাঁদে ফেলে তাঁদের পাচার করা হয়৷''
আরো জানা যায় যে, ঐ সময়ে সাগর এবং জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বড় একটি অংশ এখনও দেশে ফিরতে পারেননি৷ আজও তাঁদের জীবন কাটছে বন্দিশিবিরে৷ আসিফ মুনীর বলেন, ‘‘আমরা এপ্রিল -মে মাসের পর থেকে প্রচুর আবেদন পাচ্ছি আটকে পড়াদের আত্মীয়-স্বজনের তরফ থেকে৷ কিন্তু তাঁদের ফেরত আনতে হলে বাংলাদেশ সরকারকেই মূল উদ্যোগটা নিতে হবে৷আমরা এই প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র সহযোগিতা করতে পারি৷''
বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৬ লাখ নাগরিক বিশ্বের মোট ১৬০টি দেশে অবস্থান করছেন৷ এরা মূলত বৈধ পথে কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন৷ তবে যাঁরা অবৈধভাবে বিদেশে গেছেন, তাঁদের সঠিক কোনো হিসাব নেই৷ আইওএম-এর এই মুখপাত্র বলেন, ‘‘যখন তাঁরা আটক হন বা উদ্ধার হন তখনই কেবল তাঁদের খবর জানা যায়৷ কিন্তু এর বাইরে যাঁরা আছেন তাঁদের খবর জানা সম্ভব নয়৷''
আসিফ মুনীর জানান, ‘‘অবৈধ এবং বিপজ্জনক অভিবাসন বন্ধ করতে প্রয়োজন ব্যাপক জন সচেতনতা৷ মানুষকে বুঝাতে হবে যে, বৈধভাবেও বিদেশে যাওয়া যায়৷ আর অবৈধভাবে গেলে কী কী বিপদ – তাও তাঁদের জানাতে হবে৷ এরসঙ্গে কার্যকর করতে হবে আইনগত ব্যবস্থাকে৷ একই সঙ্গে তাঁদের বুঝতে হবে, যে টাকা খরচ করে তাঁরা বিদেশে যাবেন, সেই টাকা উঠবে কিনা৷ আদতেই লাভ হবে কিনা৷''
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন