বিলওয়ালের প্রটোকলকে কেন্দ্র করে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ

বিলওয়ালের প্রটোকলকে কেন্দ্র করে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ

হতভাগ্য বিসমাকে কোলে করে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করছেন বাবা ফয়সাল হোসেইন

 (রেডিও তেহরান): পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচি শহরে বিসমাহ নামের একটি শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একটি ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন করার সময় পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি’র চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টোর প্রটোকল রক্ষা করতে গিয়ে ১০ মাসের শিশুটি মারা যায় বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার বাবা ছুটে যান করাচির সিভিল হাসপাতালে কিন্তু সেখানে বিলওয়াল ভুট্টো মায়ের নামে ‘বেনজির ভুট্টো ট্রমা সেন্টার’ উদ্বোধন করছিলেন বলে নিরাপত্তা কর্মীরা অসুস্থ শিশুর বাবাকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেয় নি। এর ফলে এক পর্যায়ে শিশুটি  মারা গেছে।

এ খবরের সঙ্গে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে- শিশুটিকে কোলে নিয়ে বাবা দৌঁড়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। মেয়ে শিশুটির মৃত্যুর পর তারা বাবা অভিযোগ করেন, বিলওয়ালকে হাসপাতালে ভিআইপি প্রটোকল ও নিরাপত্তা দেয়ার কারণেই তার মেয়ে মারা গেছে। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

আর এর পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ কাইম আলী শাহ করাচির পুলিশকে এ তদন্তের নির্দেশ দেন। অবশ্য ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন করার সময় বিলওয়ালের সঙ্গে তিনিও ছিলেন।

এদিকে, প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।

হামঘটিত জটিলতায় ভুগছিল বিসমাহ। হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় সে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন হতভাগ্য বিসমাহর বাবা ফয়সাল হোসেইন। কয়েক মিনিট আগে পৌঁছাতে পারলে বিসমাহকে হয়ত প্রাণে বাঁচানো যেত বলে তাকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এ তদন্তে তার বক্তব্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এরইমধ্যে পুলিশ তা গ্রহণ করেছে। করাচির লিয়ারি এলাকায় গাবোল পার্কে তার বাসভবনে এ বক্তব্য গ্রহণ করেন পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা।

কোনো কোনো সূত্র বলেছে, তদন্তে জড়িত পুলিশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পেয়েছে এবং চিকিৎসকদের বক্তব্যও গ্রহণ করেছে। আজ আরো পরে এ সংক্রান্ত তদন্তে প্রতিবেদন সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।#

রেডিও তেহরান/সমর/২৫