ফের
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কালো মেঘ ঘনাচ্ছে ভারতের আকাশে৷ ফের মাথা তুলছে
মন্দির-মসজিদ রাজনীতি৷ শিবসেনা যখন রামমন্দির তৈরির দিনক্ষণ ঘোষণা করতে
তৎপর হয়েছে, তখনই মন্দির তৈরির জন্য টন টন ওজনের বিশালাকায় বহু পাথর
অযোধ্যার করসেবকপুরমে এসে পৌঁছনোয় উত্তেজনার আঁচও বাড়তে শুরু করেছে৷ বুধবার
বিতর্কিত কাঠামোর খুব কাছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কাজিয়ানা এলাকায় বাবরি
মসজিদের একটি মডেল বসানোকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়৷ থার্মোকলের তৈরি ওই
বড়সড় মডেলটি বসানো হয় সেখানে৷ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ৷ পুলিশ
মডেলটি সরাতে গেলে প্রতিবাদ করে স্থানীয় কয়েকটি মুসলিম গোষ্ঠী৷ তাদের
বক্তব্য, মন্দির তৈরির জন্য পাথর আমদানি তো বন্ধ করতে পারছে না পুলিশ৷
তাহলে মডেল সরানো হবে কেন? পরে পুলিশ মডেলটি সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বাজেয়াপ্ত
করলে রামজন্মভূমি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মুসলিমরা৷ এই ঘটনার
জেরে অযোধ্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷ পুলিশ মোতায়েন করার
পাশাপাশি যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আধা সেনা তৈরি রাখা হয়েছে৷
গত
কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন্ প্রান্ত থেকে রামমন্দির তৈরির জন্য কয়েক
ট্রাক পাথর অযোধ্যায় এসে পৌঁছতে শুরু করেছে৷ এর মধ্যে রামমন্দির নির্মাণ
কার্যশালা প্রকল্পও আরও গতি পেয়েছে৷ এসব ঘটনার জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা
দিয়েছে অযোধ্যার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে৷ বিজেপি বিরোধী দলগুলির
অভিযোগ, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ
ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার৷ সে কথা মাথায়
রেখেই মন্দির তৈরির কাজে গতি আনা হয়েছে৷ যদিও বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু
পরিষদের বক্তব্য, বিরোধীরা এ নিয়ে অযথা হাওয়া গরম করতে চাইছে৷ মন্দিরের কাজ
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই হচ্ছে৷ অন্যদিকে, শিবসেনা তাদের মুখপত্র
সামনা'র সম্পাদকীয়তে জানিয়েছে, রামমন্দির তৈরি একটি জাতীয় কাজ এবং
রামমন্দির তৈরির দিনক্ষণ খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন