বাংলা জুড়ে ‘দিলওয়ালে’ ঝড়
শাহরুখ
খানের ‘দিলওয়ালে’ ঝড়ে কাঁপছে বাংলা। সহিষ্ণুতা, অসহিষ্ণুতা নিয়ে যাবতীয়
বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে উৎসবে মেতেছেন শাহরুখ–ভক্তরা। মুক্তির দিনেই
শুক্রবার কলকাতা–সহ পশ্চিমবঙ্গের ২৮৭টি প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়ছেন শাহরুখ
অনুরাগীরা। বাজি পুড়ছে, বাজনা বাজছে, হোর্ডিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের
মালিকের গলায় ঝুলছে পেল্লাই মালা। এই ছবির সঙ্গে জুড়ে আছে কুড়ি বছর আগে
মুক্তি পাওয়া শাহরুখ–কাজল জুটির সুপার, ডুপার হিট ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে
যায়েঙ্গে’ ছবির গন্ধ। এখানেও জুটি সেই শাহরুখ আর কাজল। এখানেও তাঁরা রাজ আর
মীরা। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া ওই ছবির পরিচালক ছিলেন আদিত্য চোপড়া।
মুম্বইয়ের মারাঠা মন্দির হলে ২০ বছর টানা চলার পর ওই ছবির শেষ শো হয়েছে এ
বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি। নতুন ‘দিলওয়ালে’ ছবির পরিচালক রোহিত শেট্টি। দু’বছর
আগে শাহরুখকে নিয়েই তিনি তৈরি করেছিলেন আর এক সুপারহিট ‘চেন্নাই
এক্সপ্রেস’। তবে, সেই ছবিকে প্রথম দিনেই অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে ‘দিলওয়ালে’
— বলছিলেন প্রিয়া সিনেমার কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত। বললেন, এই ছবির জন্যে অন্য
উন্মাদনা তৈরি হয়েছে শাহরুখ–ভক্তদের ভেতর। তার আঁচ পাওয়া গেছে ‘প্রিয়া’র
চার–চারটি শোয়ে,
‘দিলওয়ালে’তে। এখানে অন্য দুটি শোয়ে চলছে অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘হর হর ব্যোমকেশ’। ‘দিলওয়ালে’র তুলনায় ‘হর হর ব্যোমকেশ’ ‘স্লো স্টার্ট’ করেছে বলে জানালেন অরিজিৎবাবু।
‘দিলওয়ালে’র সঙ্গে একই দিনে মুক্তি পেল আর এক তাবড় পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘বাজিরাও মস্তানি’। দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও ‘দিলওয়ালে’ বা ‘বাজিরাও’–এর বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু–বিক্ষোভ হলেও, পশ্চিমবঙ্গের কোথাও তার তিলমাত্র ছায়া ছিল না। রাজ্যের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে এদিনটা ছিল উৎসবের। সেখানে অবশ্যই এগিয়ে ‘দিলওয়ালে’। বেশ কিছুদিন ধরেই বলা হচ্ছিল, একই দিনে ‘দিলওয়ালে’ ও ‘বাজিরাও’ মুক্তি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুটো ছবিই। কিন্তু, দিনের শেষে শাহরুখ–কাজলকে কোনও লড়াই–ই দিতে পারেনি রণবীর সিং, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও দীপিকা পাড়ুকোনের বাজিরাও মস্তানি।
কলকাতা–সহ পশ্চিমবঙ্গের ২৮৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও মাল্টিপ্লেক্সের হিসেব নিয়ে ৩২৫টি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘দিলওয়ালে’। প্রিয়ায় যেমন সিঙ্গল স্ক্রিনে চারটে শো, আইনক্স ফোরামে একাধিক স্ক্রিন মিলিয়ে ১০টা শো। ‘দিলওয়ালে’র পরিবেশক ওম মুভিজের দেবাশিস দে জানালেন, সব মিলিয়ে প্রথম দিনে ‘দিলওয়ালে’র টিকিট বিক্রি ৯০ শতাংশের ওপর। ‘প্রাচী’র বিদিশা বসু জানালেন, তাদের দুটো শো–ই প্রথম দিনে হাউস ফুল। আগামী দু’দিনের অ্যাডভান্স বুকিংও দ্রুতগামী। ওখানে ‘হর হর ব্যোমকেশ’–এরও দুটো শো। বিদিশা বললেন, ব্যোমকেশে দর্শকদের চাপ অনেক কম। অন্যদিকে, ‘বাজিরাও মস্তানি’ কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি ‘দিলওয়ালে’র ওপর। নবীনা–র গৌতম সাঁপুই জানালেন, তাঁদের প্রেক্ষাগৃহে ‘বাজিরাও’–এর মোটামুটি সত্তর শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, মেনকা–য় ‘দিলওয়ালে’র প্রতিটা শো–ই হাউসফুল। সেখানে সকাল থেকেই শাহরুখ–ভক্তদের উল্লাস, মিছিল, বাজি ফাটানো অব্যাহত। প্রিয়ার সামনেও ভিড় শাহরুখ–ভক্তদের। প্যারাডাইস, রক্সি, অশোকা, মালঞ্চ, মিত্রা— সর্বত্র ‘দিলওয়ালে’ ঝড়। বিজলি সিনেমার সৌমেন গাঙ্গুলি জানালেন, তাঁদের হলে তিনটি ‘দিলওয়ালে’ শোয়েই দর্শকদের ভিড় অব্যাহত।
সারা দেশের বিচারেও ‘দিলওয়ালে’ অনেক এগিয়ে ‘বাজিরাও’–এর থেকে। ‘দিলওয়ালে’ সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে ছ হাজারের বেশি হলে, যা এ যাবৎকালের রেকর্ড। বাজিরাও সেখানে মুক্তি পেয়েছে ‘দিলওয়ালে’র অর্ধেক হলে। ‘দিনওয়ালে’ নিয়ে প্রথম দিনেই বাঙালিদের উল্লাসের মধ্যে এই তথ্যও অনেকের জানা, এ ছবির সঙ্গীত পরিচালক এক বাঙালি— প্রীতম চক্রবর্তী, গান লিখেছেন এক বাঙালি— অমিতাভ ভট্টাচার্য, আর গান গেয়েছেন দুই বাঙালি— অরিজিৎ সিং ও অন্তরা মিত্র।
‘দিলওয়ালে’র বাজেট ছিল ১৪০ কোটি। দেশ, বিদেশ মিলিয়ে প্রথম দিনে সেই টাকা তুলে ফেলেছে শাহরুখ–কাজলের ছবি। প্রথম দিনে ব্যবসার পরিমাণ ১৪৮ কোটি টাকা। ভারতে ব্যবসা ৪৮ কোটির। তবে, ছবি তৈরির টাকা নানান স্বত্ব বিক্রি করে মুক্তির আগেই তুলে ফেলেছে ‘দিলওয়ালে’। আর প্রথম দিনের এই উল্লাস এবং বাণিজ্যিক রিপোর্ট পেয়ে, সন্দেহ নেই, প্রযোজকের মুখের হাসি অবশ্যই বাঁধিয়ে রাখার মতোই হয়েছে। সেই প্রযোজক আর কেউ নন, শাহরুখ–পত্নী গৌরী খান। হঁ্যা, এ ছবির যৌথ প্রযোজক রোহিত শেট্টি প্রোডাকশন এবং শাহরুখ–গৌরীর রেড রিলিজ এন্টারটেনমেন্ট।
‘দিলওয়ালে’তে। এখানে অন্য দুটি শোয়ে চলছে অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘হর হর ব্যোমকেশ’। ‘দিলওয়ালে’র তুলনায় ‘হর হর ব্যোমকেশ’ ‘স্লো স্টার্ট’ করেছে বলে জানালেন অরিজিৎবাবু।
‘দিলওয়ালে’র সঙ্গে একই দিনে মুক্তি পেল আর এক তাবড় পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘বাজিরাও মস্তানি’। দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও ‘দিলওয়ালে’ বা ‘বাজিরাও’–এর বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু–বিক্ষোভ হলেও, পশ্চিমবঙ্গের কোথাও তার তিলমাত্র ছায়া ছিল না। রাজ্যের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে এদিনটা ছিল উৎসবের। সেখানে অবশ্যই এগিয়ে ‘দিলওয়ালে’। বেশ কিছুদিন ধরেই বলা হচ্ছিল, একই দিনে ‘দিলওয়ালে’ ও ‘বাজিরাও’ মুক্তি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুটো ছবিই। কিন্তু, দিনের শেষে শাহরুখ–কাজলকে কোনও লড়াই–ই দিতে পারেনি রণবীর সিং, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও দীপিকা পাড়ুকোনের বাজিরাও মস্তানি।
কলকাতা–সহ পশ্চিমবঙ্গের ২৮৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও মাল্টিপ্লেক্সের হিসেব নিয়ে ৩২৫টি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘দিলওয়ালে’। প্রিয়ায় যেমন সিঙ্গল স্ক্রিনে চারটে শো, আইনক্স ফোরামে একাধিক স্ক্রিন মিলিয়ে ১০টা শো। ‘দিলওয়ালে’র পরিবেশক ওম মুভিজের দেবাশিস দে জানালেন, সব মিলিয়ে প্রথম দিনে ‘দিলওয়ালে’র টিকিট বিক্রি ৯০ শতাংশের ওপর। ‘প্রাচী’র বিদিশা বসু জানালেন, তাদের দুটো শো–ই প্রথম দিনে হাউস ফুল। আগামী দু’দিনের অ্যাডভান্স বুকিংও দ্রুতগামী। ওখানে ‘হর হর ব্যোমকেশ’–এরও দুটো শো। বিদিশা বললেন, ব্যোমকেশে দর্শকদের চাপ অনেক কম। অন্যদিকে, ‘বাজিরাও মস্তানি’ কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি ‘দিলওয়ালে’র ওপর। নবীনা–র গৌতম সাঁপুই জানালেন, তাঁদের প্রেক্ষাগৃহে ‘বাজিরাও’–এর মোটামুটি সত্তর শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, মেনকা–য় ‘দিলওয়ালে’র প্রতিটা শো–ই হাউসফুল। সেখানে সকাল থেকেই শাহরুখ–ভক্তদের উল্লাস, মিছিল, বাজি ফাটানো অব্যাহত। প্রিয়ার সামনেও ভিড় শাহরুখ–ভক্তদের। প্যারাডাইস, রক্সি, অশোকা, মালঞ্চ, মিত্রা— সর্বত্র ‘দিলওয়ালে’ ঝড়। বিজলি সিনেমার সৌমেন গাঙ্গুলি জানালেন, তাঁদের হলে তিনটি ‘দিলওয়ালে’ শোয়েই দর্শকদের ভিড় অব্যাহত।
সারা দেশের বিচারেও ‘দিলওয়ালে’ অনেক এগিয়ে ‘বাজিরাও’–এর থেকে। ‘দিলওয়ালে’ সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে ছ হাজারের বেশি হলে, যা এ যাবৎকালের রেকর্ড। বাজিরাও সেখানে মুক্তি পেয়েছে ‘দিলওয়ালে’র অর্ধেক হলে। ‘দিনওয়ালে’ নিয়ে প্রথম দিনেই বাঙালিদের উল্লাসের মধ্যে এই তথ্যও অনেকের জানা, এ ছবির সঙ্গীত পরিচালক এক বাঙালি— প্রীতম চক্রবর্তী, গান লিখেছেন এক বাঙালি— অমিতাভ ভট্টাচার্য, আর গান গেয়েছেন দুই বাঙালি— অরিজিৎ সিং ও অন্তরা মিত্র।
‘দিলওয়ালে’র বাজেট ছিল ১৪০ কোটি। দেশ, বিদেশ মিলিয়ে প্রথম দিনে সেই টাকা তুলে ফেলেছে শাহরুখ–কাজলের ছবি। প্রথম দিনে ব্যবসার পরিমাণ ১৪৮ কোটি টাকা। ভারতে ব্যবসা ৪৮ কোটির। তবে, ছবি তৈরির টাকা নানান স্বত্ব বিক্রি করে মুক্তির আগেই তুলে ফেলেছে ‘দিলওয়ালে’। আর প্রথম দিনের এই উল্লাস এবং বাণিজ্যিক রিপোর্ট পেয়ে, সন্দেহ নেই, প্রযোজকের মুখের হাসি অবশ্যই বাঁধিয়ে রাখার মতোই হয়েছে। সেই প্রযোজক আর কেউ নন, শাহরুখ–পত্নী গৌরী খান। হঁ্যা, এ ছবির যৌথ প্রযোজক রোহিত শেট্টি প্রোডাকশন এবং শাহরুখ–গৌরীর রেড রিলিজ এন্টারটেনমেন্ট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন