মুসলিমদের সরকারি সুযোগ বাড়ানোর দাবি সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের
(রেডিও তেহরান):
পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি করেছে ‘সারা বাংলা
সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’। (বুধবার) সংগঠনটির পক্ষ থেকে উত্তর ২৪ পরগণা
জেলার গাইঘাটা এবং স্বরূপনগর ব্লক সম্মেলনে এ দাবি তোলা হয়।
গাইঘাটা থানা এলাকার সুবিদপুর নেতাজি শিশু
তীর্থ প্রাঙ্গণে এক সমাবেশে ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ
কামরুজ্জামান বলেন, ‘৪৪ হাজার ইমাম-মুয়াজ্জিন অত্যন্ত দরিদ্রতার সঙ্গে দিন
কাটাচ্ছেন। ওয়াকফ বোর্ডের আয় থেকে তাদের জন্য আর্থিক সুবিধা দিতে হবে।
সংখ্যালঘু দরিদ্র মুসলিমদের অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা কর্মীতে অন্তর্ভুক্ত করে
তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে।’
কামরুজ্জামান বলেন, ‘যেসব ইমাম-মুয়াজ্জিন
সরকারি ভাতা পাচ্ছেন, তাদের হয়তো সবার স্কুল-কলেজের ডিগ্রি নেই। মাওলানা
আবুল কালাম আজাদও মাদ্রাসার ডিগ্রি নিয়েই জাতীয় কংগ্রেসের দুই বার সভাপতি
হয়েছিলেন। তিনি মুসলিম লীগেরও সভাপতি হয়েছিলেন। মাদ্রাসার ডিগ্রি নিয়েই
তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘শাসক শ্রেণির অন্যতম বৈশিষ্ট
হচ্ছে ‘তেলা মাথায় তেল দেয়া’। ফলে, স্বাধীনতার প্রায় ৭০ বছরেও সমাজের
দরিদ্র অংশের মানুষ সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকাংশ
মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করায় তারাও সরকারি নানা জনকল্যাণমুখী
প্রকল্পের অংশীদার হতে পারেনি। এ জন্য দরিদ্র সংখ্যালঘু মুসলিম
পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার
চেষ্টা চালাচ্ছে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন।’
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান অন্যান্য অনগ্রসর
শ্রেণি বা ‘ওবিসি’ সার্টিফিকেট পেতে যাতে ব্লক উন্নয়ন কার্যালয়গুলোতে কোনো
হয়রানির স্বীকার হতে সেজন্য সরকারকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি
ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করার ৪৫ দিনের মধ্যে হাতে পাওয়ার
জন্য ব্লক উন্নয়ন কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ নিতে হবে বলে দাবি করেন।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/৩০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন