সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ পরলোকে: খালেদা জিয়ার শোক - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ পরলোকে: খালেদা জিয়ার শোক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ পরলোকে: খালেদা জিয়ার শোক


কাজী জাফর ও খালেদা জিয়া কাজী জাফর ও খালেদা জিয়া
 (রেডিও তেহরান): জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

 (বৃহস্পতিবার) সকাল সোয়া ৭টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।  মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী মমতাজ বেগম, তিন মেয়ে কাজী জয়া আহমেদ, কাজী সোনিয়া আহমেদ ও কাজী রুনা আহমেদসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও কর্মী রেখে গেছেন।

কাজী জাফরের ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোস্তফা জানান,  বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় গুলশানের নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর তাকে দ্রুত রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আনা হলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক সোয়া ৭টায় তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

গোলাম মোস্তফা আরো জানান, কাজী জাফর আহমেদের নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়ও তার আরেকটি জানাজা হতে পারে।
দাফনের বিষয়টি স্ত্রী ও মেয়েদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, কাজী জাফর আহমদের মৃত্যুতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও  ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেছেন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদও এক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন।


কাজী জাফর আহমদ ১৯৩৯ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেন। রাজশাহী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক এবং রাজশাহী কলেজ সাহিত্য মজলিশের মুখপাত্র, সাহিত্যিকীর সম্পাদক হিসেবে তার কর্মময় রাজনীতিতে পদচারণা শুরু করেন। কাজী জাফর আহমদ ১৯৫৯-১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৬২-১৯৬৩ সালে অবিভক্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (এপসু) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ছাত্র জীবন শেষে তিনি শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭২-১৯৭৪ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনাইটেড পিপলস্ পার্টির (ইউপিপি) প্রথমে সাধারণ সম্পাদক ও  পরে চেয়ারম্যান হিসেবে সক্রিয়ভাবে পার্টির সাংগঠনিক দায়িত্ব ও জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রী পরিষদের শিক্ষামন্ত্রী হন তিনি। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির জন্মলগ্ন থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬-১৯৯০ সালে তিনি জাতীয় পার্টির সরকারে পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বন্দর-জাহাজ ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক উপদেষ্টা, ১৯৮৯-১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

১৯৮৬-১৯৯৬ পর্যন্ত পরপর তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি এরশাদের সঙ্গ ছেড়ে নতুন দল গঠন করেন। কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ২০ দলীয় জোটে যোগ দেয়।#

রেডিও তেহরান/এআর/২৭

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here