রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের জন্য বিএনপির তালিকায় আছেন ৭৩ নেতা।

রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের জন্য বিএনপির তালিকায় আছেন ৭৩ নেতা।

মো:গোলাম আযম সরকার,রংপুর

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও আসন্ন একাদশ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে বিএনপি। এজন্য দলে চলছে জোর প্রস্তুতি। জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনে লড়তে এরই মধ্যে দলের ৯০০ প্রার্থীর প্রাথমিক একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের জন্য বিএনপির তালিকায় আছেন ৭৩ নেতা।

পঞ্চগড়-১ (পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া-আটোয়ারী উপজেলা): স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও পঞ্চগড় সদরের পৌর মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলাম। পঞ্চগড়-২ (বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা): ২০-দলীয় জোটের শরিক দল জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান এই আসনে একক প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুতে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন যুবনেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ। এ ছাড়া বিকল্প প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড় ১ ও ২ আসনে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের নাম রয়েছে। ঠাকুরগাঁও-১ (সদর): বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের একক প্রার্থী। ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর): বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নির্বাহী কমিটির সদস্য জেড এম মর্তুজা চৌধুরী তুলা ও ড্যাবের সহসভাপতি ডা. আব্দুস সালাম। ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকইল): পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুর রহমান জাহিদ, সহসভাপতি জামান চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল): বীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আলহাজ মঞ্জুরুল ইসলাম, কাহারোল উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সুমন। দিনাজপুর-২ (বিরল- বোচাগঞ্জ): স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান। দিনাজপুর-৩ (সদর): দিনাজপুর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও খালেদা জিয়ার বড় বোনের ছেলে তাহাসিন আখতার ডন । দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর): বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ আখতারুজ্জামান মিয়া। দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ি-পার্বতীপুর): বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রেজওয়ানুল হক ও ফুলবাড়ি উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি। দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর-হাকিমপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট): জেলা সাবেক সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান মিন্টু। নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা): বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও জেলার সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। নীলফামারী-২ (সদর) : জেলার সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান জামান, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক সোহেল পারভেজ, পৌরসভা শাখার সভাপতি জহুরুল ইসলাম । নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-আংশিক কিশোরগঞ্জ): জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান জামান এবং জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল গমেট চৌধুরী। নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-আংশিক কিশোরগঞ্জ): সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিসেস বিলকিস ইসলাম এবং কণ্ঠশিল্পী ও জাসাস নেত্রী বেবী নাজনীন । লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা): হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ও জেলা সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান। লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ): কালীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি সালে উদ্দিন মো. হেলাল, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। লালমনিরহাট-৩ (সদর): বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া): গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা ওয়াহেদুজ্জান মাবু, মোকাররম হোসেন সুজন ও কামরুজ্জামান লিপটন। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ): বদরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি পরিতোষ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শাহান ও বদরগঞ্জ পৌর সাধারণ সম্পাদক মো. কমল লোহানী। রংপুর-৩ (সদর): মহানগর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান সামু এবং সহসভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম। রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা): জেলা সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও পীরগাছা উপজেলা সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা এবং জেলা সদস্য আব্দুল বাতেন। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর): স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা সভাপতি প্রভাষক এ কে এম রুহুল উল্লাহ জুয়েল, ছাত্রদল উপজেলা সাবেক সভাপতি খাজা নুর খাজা। রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ): কেন্দ্রীয় সদস্য নুর মোহাম্মদ ম-ল ও জেলা সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী): জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, নাগেশ্বরী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাসেম সরকার। কুড়িগ্রাম-২ (কুড়িগ্রাম সদর-ফুলবাড়ি): বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, জেলা সহসভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, শফিকুল ইসলাম লেবু, জেলা যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ। কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর): জেলা বিএনপির সহসভাপতি তাজ ভির উল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল খালেক। কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী-রাজিবপুর-চিলমারী): রাজিবপুর উপজেলা সভাপতি মোখলেছুর রহমান, রৌমারী উপজেলা সভাপতি আজিজার রহমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিনু। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ): সাবেক পিপি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ। গাইবান্ধা-২ (সদর): জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আনিছুজ্জামান খান বাবু ও জিয়া পরিষদ নেতা খন্দকার আহাদ আহম্মেদ । গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী): জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মো. মইনুল হাসান সাদিক, সাবেক ছাত্রনেতা ড. মিজানুর রহমান মাসুম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা মো. রফিকুল ইসলাম রফিক। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ): উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. আবদুল মান্নান, উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক কবীর আহম্মেদ ও কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা): জেলা বিএনপি সদস্য মো. হাসান আলী, সাঘাটা উপজেলা বিএনপি সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও শিল্পপতি নাজমুল ইসলাম নয়ন।সূত্র :বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা