পীরগাছা ভূমি অফিস জারীকারকের দৌরাত্ব চরমে
মোঃ হারুন- অর রশিদ পীরগাছা (রংপুর)
রংপুরের পীরগাছা উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত জারীকারকের দৌরাত্বে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন আগত জনসাধারন। তিনি ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী হলেও তার কথামত চলছে অফিসের নামজারী (খারিজ) কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে এই পরিস্থিতি বিরাজ করলেও অধিকাংশ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারী তার দাদন ব্যবসার জালে আটকে থাকায় প্রতিবাদের সাহস পায় না। এই সুবাদে এক সময়ের ভূমিহীন পরিবারের সন্তান ওই কর্মচারী বর্তমানে বিশাল বহুল বাড়ি, গাড়ি ও সম্পদের মালিক হয়ে যাওয়ায় এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত জারীকারক নিরঞ্জন চন্দ্র বর্ম্মন প্রায় একযুগ ধরে একই কর্মস্থলে অবস্থান করায় নিজস্ব একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। তিনি ওই অফিসে নামজারী (খারিজ) করতে আসা ভূমি মালিকদের নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভূমি অফিসের রেকর্ড রুম নিয়ন্ত্রন করেন। এক্ষেত্রে তিনি সরকারী নিয়মনীতি অমান্য করে গোপনে রেকর্ড রুম থেকে ভূমি মালিকদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের ফটোকপি সরবরাহ করেন। এতে করে রেকর্ড রুম থেকে ভূমি মালিকদের মূল্যবান নথিপত্র বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
নির্ভরযোগ্যে একাধিক সূত্রে জানা যায়, চাকুরীতে যোগদানের সময় তিনি তেমন কোন সম্পদের মালিক ছিলেন না। বর্তমানে উপজেলা সদরের রাজাবাড়ি (পাকারমাথা বাজার) এলাকায় তার একটি দৃষ্টি নন্দন পাকা বাড়ি ও ১০/১৫ বিঘা জমি রয়েছে এবং নিজের চলাফেরার জন্য একটি পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল কিনেছেন। যা তার পদবী ও আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। এছাড়াও তিনি দাদনের টাকা উত্তোলনের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নামে সরকারীভাবে বরাদ্দ দেয়া মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলিয়া ফেরদৌস জাহান বলেন, এধরনের কোন অভিযোগ তার নিকট নেই। অভিযোগ পেলে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন।
অভিযুক্ত জারীকারক নিরঞ্জন চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন