‘ধর্মনিরপেক্ষ শব্দের অপব্যবহার হচ্ছে' - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫

‘ধর্মনিরপেক্ষ শব্দের অপব্যবহার হচ্ছে'

‘ধর্মনিরপেক্ষ শব্দের অপব্যবহার হচ্ছে'   -sangbadpratidin.in

স্টাফ রিপোর্টার

নয়াদিল্লি, ২৭ নভেম্বর



‘অসহিষ্ণুতা' ইস্যুতে বাইরের ক্রমশ তপ্ত হয়ে ওঠা রাজনীতির আঁচ সংসদের ভিতরে অনিবার্য ছিল৷ তবে শুরুর দিনেই তা স্পষ্ট হবে এমনটা ভাবা যায়নি৷ প্রথম সংবিধান দিবস উপলক্ষে লোকসভার বিশেষ বৈঠকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটি নিয়ে সমুখ সমরে নামল বিজেপি ও কংগ্রেস৷ সাবধানী শব্দচয়নে আড়ালে থেকেও প্রাসঙ্গিকভাবেই উঠে এল অসহিষ্ণুতা৷ সংবিধান নিয়ে বিতর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটির ‘ভীষণভাবে অপব্যবহার' হচ্ছে৷ আর সংবিধান নিয়ে বিতর্ক করায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ক্ষমতাসীন দলকে বিদ্রূপ করতে ছাড়লেন না৷
আলোচনার শুরুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধন করে ‘সমাজতান্ত্রিক' ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটি প্রস্তাবনায় যুক্ত করা হয়৷ আমাদের কোনও অভিযোগ নেই৷ অতীত অতীতই৷ বি আর আম্বেদকর কোনওদিন মনে করেননি এই শব্দ দু'টি প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা দরকার আছে৷ কারণ এগুলি সংবিধানেরই অংশ৷ এগুলি ভারতীয় ব্যবস্থার সঙ্গেই গড়া৷" সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সেকুলার' 
শব্দটি আসলে পন্থ-নিরপেক্ষ বলেও দাবি করেন তিনি৷
এই সময়েই কংগ্রেসের সাংসদরা রাজনাথের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন৷ এর মধ্যেই তিনি বলতে থাকেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা' দেশে সব থেকে অপব্যবহার হওয়া শব্দ৷ এই অপব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত৷ কারণ ভীষণভাবে অপব্যবহার হওয়া এই শব্দ সমাজে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে৷ ‘ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটির অপব্যবহার হলে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করা কঠিন৷
ভরা সংসদে রাজনাথের এই ভাষণের সময় তাঁর পাশেই বসে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সংসদে তাঁর বক্তব্যে সংবিধান রচনার পুরো কৃতিত্বই  কংগ্রেসের বলে এদিন দাবি করেন৷ বিজেপির পক্ষ থেকে সোনিয়ার মন্তব্যকে আক্রমণের চেষ্টা করা হলে কংগ্রেস নেত্রী হাসিমুখে পাল্টা জানতে চান, "এটা তো ইতিহাস বলছে৷ কোনও আপত্তি আছে? আর সংবিধান রচনা নিয়ে আম্বেদকর তো নিজেই বলেছিলেন এটা কংগ্রেস পার্টির অনুশাসনের কামাল৷" সংবিধান প্রসঙ্গে বলার সময়ই সোনিয়া বিজেপির দিকে পাল্টা আক্রমণ করেন৷ তিনি বলেন, "আজ খুশির দিন আবার দুঃখেরও৷ কারণ, সংবিধানের. উপর বিপদ নেমে এসেছে৷ জেনেবুঝে তার উপর আঘাত করা হচেছ৷ বিগত কয়েক মাস ধরে আমরা যা দেখছি তা সংবিধানের সুনিশ্চিত করা সমস্ত মূল্যের বিপরীত৷" সংবিধান রচয়িতার ক্ষেত্রে বর্তমান শাসক দলের কোনও ভুমিকা নেই এবং তাঁরা এমনিই মাতামাতি করছে বলেও তিনি এদিন কটাক্ষ করেন৷ সেনিয়া বলেন, "সংবিধানের প্রতি যাঁদের কোনও আস্থা নেই৷ সংবিধান রচনায় যাঁদের পূর্বসূরিদের কোনও ভূমিকাই ছিল না৷ তাঁরাই আজ সংবিধানের নামে শপথ নিচেছন৷ সংবিধানের বিষয় নিয়েচর্চার নাম করে গোলমাল সৃষ্টি করতে চাইছেন৷ এর থেকে বড় হাস্যকর ব্যাপার আর কী হতে পারে?" 
সোনিয়া বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রভাব রয়েছে সংবিধানে৷ আর সেই স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বে ছিল কংগ্রেস৷ কাজেই সংবিধানে কংগ্রেসের ভূমিকা রয়েছে৷
কংগ্রেসের শশী থারুর অবশ্য ‘ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দ প্রসঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, সঠিক জায়গাটি ধরেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ সত্যই, এই ‘ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটি নিয়ে খেলা উচিত নয়৷ এদিন রাজ্যসভা আম্বেদকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর মুলতবি হয়ে যায়৷

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here