রাম মন্দির ছিল, থাকবে এবং তৈরি হবে: ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
(রেডিও তেহরান): এতদিন
সংসদের বাইরে নানাভাবে রাম মন্দির ইস্যু তোলা হচ্ছিল কিন্তু এবার সংসদ
কক্ষেই রাম মন্দির নিয়ে মন্তব্য করলেন ভারতের কেন্দ্রীয়মন্ত্রী থাওর চাঁদ
গেহলট। সংবিধান দিবস উপলক্ষে লোকসভার আলোচনা সভায় সংবিধান নির্মাতা ড. বি
আর আম্বেদকরকে স্মরণ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাম মন্দির ছিল, রাম মন্দির
থাকবে এবং রাম মন্দির তৈরি করা হবে।’
দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর দাবি করার
পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়েও
প্রশ্ন তোলেন তিনি। গেহলটের দাবি, সংবিধান রচয়িতা বি আর আম্বেদকর এর পক্ষে
ছিলেন না।
বাবরী মসজিদ ধ্বংসের সময়ের কথা উল্লেখ করে গেহলট বলেন, ‘সে সময় উত্তর প্রদেশ এবং অন্য বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারকে ভেঙে দেয়া হয়েছিল যা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী ছিল। সাংবিধানিক চেতনাকে ঠিকভাবে পালন করার জন্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হওয়া প্রয়োজন।’
সাবেক কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ওই সময় শাহবানু মামলায় সংবিধানের মূল ভাবনাকে লঙ্ঘন করা হয়েছিল।
সংবিধান রচয়িতা ড. বি আর আম্বেদকর জম্মু-কাশ্মিরে ৩৭০ ধারার পক্ষে ছিলেন না দাবি করে থাওর চাঁদ গেহলট বলেন, যদি জম্মু-কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয় তাহলে সংসদের সমস্ত আইন কেন ওই রাজ্যে প্রযোজ্য নয়? সংসদে পাস করা আইন প্রসঙ্গে কেন বলা হয় জম্মু-কাশ্মির বাদে সারা দেশে প্রযোজ্য হবে?’
বৃহস্পতিবার এসব কথা বলা ছাড়াও মন্ত্রী গেহলট সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর হত্যা প্রসঙ্গ টেনে নোংরা রাজনীতির কারণেই তারা খুন হয়েছিলেন বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এ নিয়ে তীব্র আপত্তির মুখে অবশ্য স্পিকার সুমিত্রা মহাজন অবশ্য গেহলটের আপত্তিকর মন্তব্য লোকসভার বিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেন।
(শুক্রবার) সংসদের কাজ শুরু হওয়া মাত্র গেহলটের বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে সরকার পক্ষকে চেপে ধরেন কংগ্রেস এমপি’রা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জ্যোতিরিদিত্য সিন্ধিয়া অবিলম্বে ওই মন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। সংশ্লিষ্ট ওই মন্ত্রী সভায় উপস্থিত না থাকায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কইয়া নাইডু কংগ্রেস এমপিদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
বেঙ্কইয়া নাইডু বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। তাদের সময়ের নীতি নিয়ে কথা বলা বা সমালোচনা করা যেতে পারে কিন্তু তাদের হত্যা এবং আত্মত্যাগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়।’
স্পিকার সুমিত্রা মহাজন বলেন, সংসদে ওই মন্ত্রী এলেই এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। কংগ্রেস সদস্যরা অবশ্য বেঙ্কইয়া নাইডু এবং স্পিকারের আবেদনে সাড়া না দিয়ে ‘মাফি মাঙ্গো, মাফি মাঙ্গো’ বলে শ্লোগান দিয়ে স্পিকারের আসনের সামনে চলে আসেন। সভায় কিছুক্ষণের জন্য অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে স্পিকার কার্যত অসহায় হয়ে পড়েন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ওই মন্ত্রী না আসা পর্যন্ত সভার কাজ ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই গেহলট সভায় উপস্থিত হন এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী সম্পর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনা করলে সভার কাজ স্বাভাবিক হয়।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/২৭
বাবরী মসজিদ ধ্বংসের সময়ের কথা উল্লেখ করে গেহলট বলেন, ‘সে সময় উত্তর প্রদেশ এবং অন্য বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারকে ভেঙে দেয়া হয়েছিল যা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী ছিল। সাংবিধানিক চেতনাকে ঠিকভাবে পালন করার জন্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হওয়া প্রয়োজন।’
সাবেক কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ওই সময় শাহবানু মামলায় সংবিধানের মূল ভাবনাকে লঙ্ঘন করা হয়েছিল।
সংবিধান রচয়িতা ড. বি আর আম্বেদকর জম্মু-কাশ্মিরে ৩৭০ ধারার পক্ষে ছিলেন না দাবি করে থাওর চাঁদ গেহলট বলেন, যদি জম্মু-কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয় তাহলে সংসদের সমস্ত আইন কেন ওই রাজ্যে প্রযোজ্য নয়? সংসদে পাস করা আইন প্রসঙ্গে কেন বলা হয় জম্মু-কাশ্মির বাদে সারা দেশে প্রযোজ্য হবে?’
বৃহস্পতিবার এসব কথা বলা ছাড়াও মন্ত্রী গেহলট সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর হত্যা প্রসঙ্গ টেনে নোংরা রাজনীতির কারণেই তারা খুন হয়েছিলেন বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এ নিয়ে তীব্র আপত্তির মুখে অবশ্য স্পিকার সুমিত্রা মহাজন অবশ্য গেহলটের আপত্তিকর মন্তব্য লোকসভার বিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেন।
(শুক্রবার) সংসদের কাজ শুরু হওয়া মাত্র গেহলটের বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে সরকার পক্ষকে চেপে ধরেন কংগ্রেস এমপি’রা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জ্যোতিরিদিত্য সিন্ধিয়া অবিলম্বে ওই মন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। সংশ্লিষ্ট ওই মন্ত্রী সভায় উপস্থিত না থাকায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কইয়া নাইডু কংগ্রেস এমপিদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
বেঙ্কইয়া নাইডু বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। তাদের সময়ের নীতি নিয়ে কথা বলা বা সমালোচনা করা যেতে পারে কিন্তু তাদের হত্যা এবং আত্মত্যাগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়।’
স্পিকার সুমিত্রা মহাজন বলেন, সংসদে ওই মন্ত্রী এলেই এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। কংগ্রেস সদস্যরা অবশ্য বেঙ্কইয়া নাইডু এবং স্পিকারের আবেদনে সাড়া না দিয়ে ‘মাফি মাঙ্গো, মাফি মাঙ্গো’ বলে শ্লোগান দিয়ে স্পিকারের আসনের সামনে চলে আসেন। সভায় কিছুক্ষণের জন্য অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে স্পিকার কার্যত অসহায় হয়ে পড়েন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ওই মন্ত্রী না আসা পর্যন্ত সভার কাজ ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই গেহলট সভায় উপস্থিত হন এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী সম্পর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনা করলে সভার কাজ স্বাভাবিক হয়।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/২৭
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন