প্রাণ বাজি রেখেই খোরাক জোটায় ওঁরা -aajkaal.in
হেমন্ত জানা: বছরের মাত্র দুটি উৎসব৷ সবেবরাত ও
দীপাবলি৷ বাঙালির এই দুটি উৎসবই সম্বৎসরের খোরাক জোটায় গ্রামের
বাজিকরদের৷ আর এর জন্য বছরভর দৌড়ঝাঁপ৷ দুটি উৎসব ঘিরে সপ্তাহ খানেক করে
বাজির বাজার৷ তার মধ্যেই ঘরে তুলতে হবে সারা বছরের ভাত-কাপড়ের রসদ৷
হাওড়ার উলুবেড়িয়ার মাল পাড়ার প্রায় ৩০০ পরিবারের ভাত-ভৃত্তির উপায় বাজি
তৈরি৷ ঘর ঘর বাজি তৈরি৷ বাজি এখানের কুটির শিল্প৷ উৎসবের মরশুমে
নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না বাজির কারিগরদের৷ হাত লাগাতে হয় বাড়ির ছেলে
মেয়েদেরও৷ সংসারের কাজ সেরে বাড়ির বউয়েরা বসে পড়েন রংমশলা, হাউস বাজি,
দোদমার খোল বানাতে৷ মশলা তৈরি, বাজার থেকে রঙিন কাগজ কিনে নানা, বাজি
পাইকারের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসা এ সব কাজ বাড়ির কর্তারা৷ তবে বাজি তৈরি
করে এ বাজারের সংসার চলে না৷ যদিও আগে পরিস্হিতি এমনটা ছিল না৷ এখন বাজি তৈরির ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে৷ আতশ বাজি থেকে শব্দবাজির চাহিদা বেশি৷ কিন্তু সেখানে কারিগরের হাত-পা বাধা৷ আতশবাজির ধরনও দিন দিন বদলে যাচ্ছে৷ নতুন নতুন আতস বাজি তৈরির মতো প্রশিক্ষণ তাঁদের নেই৷ ফলে বাজারের অন্য বস বাজির কাছে মার খাচ্ছে হাওড়ার এই প্রত্যন্ত গ্রামের বাজিকররা৷ বাজির কারিগর জাকির মাল রহমান মাল বাপি মালেদের সংসার চালাতে মরশুম ফুরলে অন্য কাজ করতে হয়৷ তাঁদের কথায়, দিন দিন বাড়ছে মশলাপাতির দাম৷ সেই তুলনায় বাড়ানো যাচ্ছে না বাজির দাম৷ তবুও কেমন লাভ? কারিগররা জানালেন, দু’হাজার রঙমশলা বিক্রি হবে ৪ হাজার টাকায়৷ মশলা, কাগজ, প্যাকেট সব কিছু খরচ ধরে লাভ মোটামুটি দেড় হাজার৷ মরশুমে একজন কারিগর ১৫-১৬ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন৷ এই বাজি ব্যবসাই চিনিয়েছে মাল সম্প্রদায়কে৷ আগে এঁরা যাযাবরের মতো ঘুরে ঘুরে জড়ি-বুটি বিক্রি করতেন বেড়াতেন৷ এখনও স্হায়ী ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করেছেন৷ স্হানীয় তৃণমূল নেতা আসুদুর রহমান জানালেন, বিপজ্জনক এই পেশা থেকে ধীরে ধীরে ওঁদের সরিয়ে নানার চেষ্টা চলছে৷ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির তরফে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ শব্দবাজি যাতে ওরা না বানান৷ সচেতন করার চেষ্টা চলছে৷ বাজির পাড়ার কারিগররাও বলছেন স্বচ্ছলভাবে সংসার চালানোর মতো কোনও কাজ পেলে তাঁরা অনায়াসেই ছাড়তে পারেন এমন বিপজ্জনক পেশা৷
করে এ বাজারের সংসার চলে না৷ যদিও আগে পরিস্হিতি এমনটা ছিল না৷ এখন বাজি তৈরির ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে৷ আতশ বাজি থেকে শব্দবাজির চাহিদা বেশি৷ কিন্তু সেখানে কারিগরের হাত-পা বাধা৷ আতশবাজির ধরনও দিন দিন বদলে যাচ্ছে৷ নতুন নতুন আতস বাজি তৈরির মতো প্রশিক্ষণ তাঁদের নেই৷ ফলে বাজারের অন্য বস বাজির কাছে মার খাচ্ছে হাওড়ার এই প্রত্যন্ত গ্রামের বাজিকররা৷ বাজির কারিগর জাকির মাল রহমান মাল বাপি মালেদের সংসার চালাতে মরশুম ফুরলে অন্য কাজ করতে হয়৷ তাঁদের কথায়, দিন দিন বাড়ছে মশলাপাতির দাম৷ সেই তুলনায় বাড়ানো যাচ্ছে না বাজির দাম৷ তবুও কেমন লাভ? কারিগররা জানালেন, দু’হাজার রঙমশলা বিক্রি হবে ৪ হাজার টাকায়৷ মশলা, কাগজ, প্যাকেট সব কিছু খরচ ধরে লাভ মোটামুটি দেড় হাজার৷ মরশুমে একজন কারিগর ১৫-১৬ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন৷ এই বাজি ব্যবসাই চিনিয়েছে মাল সম্প্রদায়কে৷ আগে এঁরা যাযাবরের মতো ঘুরে ঘুরে জড়ি-বুটি বিক্রি করতেন বেড়াতেন৷ এখনও স্হায়ী ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করেছেন৷ স্হানীয় তৃণমূল নেতা আসুদুর রহমান জানালেন, বিপজ্জনক এই পেশা থেকে ধীরে ধীরে ওঁদের সরিয়ে নানার চেষ্টা চলছে৷ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির তরফে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ শব্দবাজি যাতে ওরা না বানান৷ সচেতন করার চেষ্টা চলছে৷ বাজির পাড়ার কারিগররাও বলছেন স্বচ্ছলভাবে সংসার চালানোর মতো কোনও কাজ পেলে তাঁরা অনায়াসেই ছাড়তে পারেন এমন বিপজ্জনক পেশা৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন