প্রাণ বাজি রেখেই খোরাক জোটায় ওঁরা - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

প্রাণ বাজি রেখেই খোরাক জোটায় ওঁরা

প্রাণ বাজি রেখেই খোরাক জোটায় ওঁরা -aajkaal.in

ছবি— গৌতম চক্রবর্তী
ছবি— গৌতম চক্রবর্তী
হেমন্ত জানা: বছরের মাত্র দুটি উৎসব৷‌ সবেবরাত ও দীপাবলি৷‌ বাঙালির এই দুটি উৎসবই সম্বৎসরের খোরাক জোটায় গ্রামের বাজিকরদের৷‌ আর এর জন্য বছরভর দৌড়ঝাঁপ৷‌ দুটি উৎসব ঘিরে সপ্তাহ খানেক করে বাজির বাজার৷‌ তার মধ্যেই ঘরে তুলতে হবে সারা বছরের ভাত-কাপড়ের রসদ৷‌ হাওড়ার উলুবেড়িয়ার মাল পাড়ার প্রায় ৩০০ পরিবারের ভাত-ভৃত্তির উপায় বাজি তৈরি৷‌ ঘর ঘর বাজি তৈরি৷‌ বাজি এখানের কুটির শিল্প৷‌ উৎসবের মরশুমে নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না বাজির কারিগরদের৷‌ হাত লাগাতে হয় বাড়ির ছেলে মেয়েদেরও৷‌ সংসারের কাজ সেরে বাড়ির বউয়েরা বসে পড়েন রংমশলা, হাউস বাজি, দোদমার খোল বানাতে৷‌ মশলা তৈরি, বাজার থেকে রঙিন কাগজ কিনে নানা, বাজি পাইকারের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসা এ সব কাজ বাড়ির কর্তারা৷‌ তবে বাজি তৈরি
করে এ বাজারের সংসার চলে না৷‌ যদিও আগে পরিস্হিতি এমনটা ছিল না৷‌ এখন বাজি তৈরির ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে৷‌ আতশ বাজি থেকে শব্দবাজির চাহিদা বেশি৷‌ কিন্তু সেখানে কারিগরের হাত-পা বাধা৷‌ আতশবাজির ধরনও দিন দিন বদলে যাচ্ছে৷‌ নতুন নতুন আতস বাজি তৈরির মতো প্রশিক্ষণ তাঁদের নেই৷‌ ফলে বাজারের অন্য বস বাজির কাছে মার খাচ্ছে হাওড়ার এই প্রত্যন্ত গ্রামের বাজিকররা৷‌ বাজির কারিগর জাকির মাল রহমান মাল বাপি মালেদের সংসার চালাতে মরশুম ফুরলে অন্য কাজ করতে হয়৷‌ তাঁদের কথায়, দিন দিন বাড়ছে মশলাপাতির দাম৷‌ সেই তুলনায় বাড়ানো যাচ্ছে না বাজির দাম৷‌ তবুও কেমন লাভ? কারিগররা জানালেন, দু’হাজার রঙমশলা বিক্রি হবে ৪ হাজার টাকায়৷‌ মশলা, কাগজ, প্যাকেট সব কিছু খরচ ধরে লাভ মোটামুটি দেড় হাজার৷‌ মরশুমে একজন কারিগর ১৫-১৬ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন৷‌ এই বাজি ব্যবসাই চিনিয়েছে মাল সম্প্রদায়কে৷‌ আগে এঁরা যাযাবরের মতো ঘুরে ঘুরে জড়ি-বুটি বিক্রি করতেন বেড়াতেন৷‌ এখনও স্হায়ী ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করেছেন৷‌ স্হানীয় তৃণমূল নেতা আসুদুর রহমান জানালেন, বিপজ্জনক এই পেশা থেকে ধীরে ধীরে ওঁদের সরিয়ে নানার চেষ্টা চলছে৷‌ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির তরফে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷‌ শব্দবাজি যাতে ওরা না বানান৷‌ সচেতন করার চেষ্টা চলছে৷‌ বাজির পাড়ার কারিগররাও বলছেন স্বচ্ছলভাবে সংসার চালানোর মতো কোনও কাজ পেলে তাঁরা অনায়াসেই ছাড়তে পারেন এমন বিপজ্জনক পেশা৷‌

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here