প্রথমেই জানিয়ে রাখি আমার, বা আমার স্ত্রী কিরণের, দু’জনেরই দেশ ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কোনওদিন দেশ ছেড়ে যাইনি, ভবিষ্যতেও কোনওদিন দেশ ছেড়ে যেতে চাই না। যাঁরা উল্টো কথা বলছেন তাঁরা হয় আমার সাক্ষাত্কার শোনেননি, অথবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিন ভাবে আমার বক্তব্যকে বিকৃত করতে চাইছেন। ভারত আমার দেশ, আমি একে ভালবাসি, এ দেশে জন্মে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, এবং এখানেই আমি থাকবো।
দ্বিতীয়ত, সে দিনের সাক্ষাত্কারে যা যা বলেছিলাম এখনও তা পূর্ণ সমর্থন করি।

যাঁরা আমাকে দেশ-বিরোধী বলছেন তাঁদের জানিয়ে রাখি ভারতীয় হিসেবে আমি গর্বিত। তার জন্য আমার না কারও অনুমতির প্রয়োজন আছে, না কোনও প্রচারের।
আমার বক্তব্যকে যাঁরা বিকৃত করছেন, তাঁরা আসলে আমার বক্তব্যের যথার্থতা প্রমাণ করছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
যাঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। আমাদের দেশের সৌন্দর্য ও স্বতন্ত্রতা আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। এর বৈচিত্র, একাত্মতা, নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতি, ইতিহাস, সহিষ্ণুতা, ভালবাসা, সংবেদনশীতা ও আবেগ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা দিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করবো, এটাই আমার প্রার্থনা
হোয়্যার দ্য মাইন্ড ইজ উইদাউট ফিয়ার অ্যান্ড দ্য হেড হেল্ড হাই, হোয়্যার নলেজ ইজ ফ্রি, হোয়্যার দ্য ওয়ার্ল্ড হ্যাজ নট বিন ব্রোকেন আপ ইনটু ফ্র্যাগমেন্টস, বাই ন্যারো ডোমেস্টিক ওয়ালস, হোয়্যার ওয়ার্ডস কাম আউট ফ্রম দ্য ডেপথ অফ ট্রুথ, হোয়্যার টায়ারলেস স্ট্রাইভিং স্ট্রেচেস ইটস আর্মস, টুওয়ার্ডস পারফেকশন, হোয়্যার দ্য ক্লিয়ার স্ট্রিম অফ রিজন হ্যাজ নট লস্ট ইটস ওয়ে, ইনটু দ্য ড্রেয়ারি ডেসার্ট স্যান্ড অফ ডেড হ্যাবিট, হোয়্যার দ্য মাইন্ড ইজ লেড ফরওয়ার্ড বাই দি, ইনটু এভার-উইল্ডিং থট অ্যান্ড অ্যাকশন, ইনটু দ্যাট হেভেন অফ ফ্রিডম, মাই ফাদার, লেট মাই কান্ট্রি অ্যাওয়েক। 
জয় হিন্দ।
আমির খান।