দিদিকে চাই -aajkaal.in
হাঁক পেড়েছেন মীর। দিদিকে এবার মীরাক্কেল-এ চাই-ই চাই। দিদি তো রেগুলার টিভি শো দেখেন, তাহলে মীরাক্কেলে দিদি আসবেন না কেন? এমনটাই মীর-দর্শন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই শো। তার আগে খেকুরে জেঠু থেকে ঝিঙ্কু
বৌদিকে নিয়ে তৈরি একেবারে অন্যরকম হয়ে ওঠা মীরাক্কেল মহল্লা থেকে ঘুরে এলেন
সঙ্কর্ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
থমে ঢুকেই চমক। এটা কি সেট, নাকি আস্ত একটা পাড়া? চমকটা বোধহয় লক্ষ্য করেছিলেন মীর। বললেন, ‘মীরাক্কেল মানেই তো পাগলামি। আর এই পাগলামির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গুরুজনেরা তাড়িয়ে দিয়েছেন আমাদের। তাই নিজেদের মতো করেই এই পাড়াটা তৈরি করে নিয়েছি আমরা। কারণ এবার আমাদের সাউন্ড লেভেলটা নব্বই ডেসিবেল ছাড়িয়ে যেতে পারে। কাজেই আমাদের সেই হইহুল্লোড়ে যাতে কেউ বাধ সাধতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা।’ তবে পাড়াটা সাজিয়েছেন বটে মীর। নিজেই বললেন, ‘এই পাড়ায় নানান কিসিমের বাসিন্দা আছেন। এক খেকুরে জেঠু আছেন, এক দিদা আছেন, এক ঝিঙ্কু বৌদি আছেন, কচি মেয়ে আছে। এই পাড়ারই তিন ভাড়াটে পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত আর শ্রীলেখা মিত্র। প্রতিদিন রাতের খাওয়া সেরে ওঁরা এসে বসবেন ব্যালকনিতে।
আর ওয়াচ করবেন পাড়ার নানা ঘটনা। সেই নিয়ে মন্তব্যও ছুঁড়ে দেবেন ওঁরা। আর এই পাড়ার রোয়াকে ব্যান্ডেজকে নিয়ে আড্ডা মারি আমরা। গান গাই, অন্যের পেছনে লাগি আর তাই দেখে খেপে ওঠেন খেকুরে জেঠু। তাঁর কথায় আবার টিপ্পনী ছুঁড়ে দেন ওই ব্যালকনিতে বসা তিন ভাড়াটে।’ বাসিন্দাদের তো চেনা গেল। এবার পাড়াটার দিকে আর একবার চোখ ফেরানো। কী নেই সেখানে, মেকানিকের দোকান ‘কার-ফু গ্যারেজ’ আছে, রোলের দোকান ‘রোল ক্যামেরা অ্যাকশন’ আছে আবার ডাক্তারের চেম্বার ‘বলো হরি ক্লিনিক’–ও আছে। শুধু তাই নয়, পাশ থেকে মীর ফিসফিসিয়ে বললেন, ‘প্রতি শনিবার এই চেম্বারে একজন নার্স আসেন। তখন ভিড়ে ভেঙে পড়ে এই চেম্বার।’
আর এই সব নতুনত্ব নিয়েই ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মীরাক্কেল ৯-এর আসর। পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘পুরো ফরম্যাটটাই পাল্টে ফেলেছি। এবার গোটা একটা পাড়াই মেতে উঠবে মীরাক্কেলের মজায়। বিচারক, সঞ্চালক, প্রতিযোগী, ব্যান্ডেজ সবার সঙ্গে সবার একটা সম্পর্ক আছে এই পাড়ায়। আর সেভাবেই গল্পের ছলে এগোবে এবারের মীরাক্কেল।’ তার একটা উদাহরণও কিঞ্চিৎ পাওয়া গেল এদিনের শুটিংয়ে। পাড়ার এক কোণে বসানো টিউবওয়েল থেকে জল আনতে গেছে পাড়ার কচি মেয়েটা। আর তাকে দেখেই সেখানে হাজির ব্যান্ডেজের সদস্যরা। তারপর যা হয়, কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা হয়ত সকলেরই আছে। একটু কথা, একটু সাহায্য, একটু গান, আর তারপরেই…। না তারপরেরটা ঘটার আগেই চিৎকার করে উঠলেন সেই খেকুরে জেঠু। তাঁর ভাইঝিকে একা পেয়ে কী সব অশ্লীল কাণ্ড!
জেঠুর কাছে অবশ্য যেটা অশ্লীল লাগে, সেটা আবার কারও কাছে নিরামিষ মজাও হতে পারে। মীরের কথাও সেটাই। মীরের মন্তব্য ‘শ্লীল আর অশ্লীলের সীমারেখাটা ঠিক করবে কে? অনেকেই হয়ত বলেন, মীরাক্কেলের ননভেজ জোকসগুলো নাকি একটু বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। আমার কাছে কিন্তু অন্য খবরও আছে। কেউ কেউ অতি গোপনে জানিয়েছেন ননভেজগুলো খারাপ লাগে না। তবে এই ননভেজগুলো এলেই একটু অন্যমনস্ক বা ভাবুক হয়ে ওঠার ভান করতে হয়।’
প্রত্যেক মীরাক্কেলেরই এক একটা চরিত্র থাকে। কোনও একজনকে নিয়ে সেখানেই বেশি মজা করা হয়। এই যেমন গত মীরাক্কেলে অধিকাংশ জোকেই উঠে এসেছিল ‘হিরো হিরণ’-এর কথা। এবার কে হচ্ছেন যাবতীয় মজার কেন্দ্র? মীরের মন্তব্য, ‘এবার আমরা ‘মোদিখানা’ বসাব এই পাড়াতে। আর চেষ্টা করব দিদি মমতা ব্যানার্জিকে এই পাড়ায় আনতে। খবর পেয়েছি, দিদি নিয়মিত টেলিভিশন দেখেন। তাহলে মীরাক্কেল-এ আসবেন না কেন? সঙ্গে অবশ্য দেব আর শুভশ্রীকেও আমরা চাইছি। তবে যেই আসুন না কেন, এই পাড়ায় ভাড়ার ঘর নেওয়ার বাহানায় আসতে হবে তাঁদের।’
এবারের মীরাক্কেল-এ এখনও পর্যন্ত আছেন ৩৩ প্রতিযোগী, যার মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশের। এখনও পর্যন্ত, কারণ অডিশন চলছে এখনও। কাজেই শেষদিকে এই শোয়ে অংশ নিতে পারেন আরও কিছু প্রতিযোগী। এবারে প্রতি পর্বের সেরা প্রতিযোগী পাবেন ২০ হাজার টাকা এবং সপ্তাহের সেরা প্রতিযোগী পাবেন ১৫ হাজার টাকা। তবে হ্যাঁ, এই পাড়ায় রোজ যে ঘটনাগুলো নিয়ে মজা আর ইয়ার্কির ফোয়ারা ছুটবে তার মধ্যে কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোও থাকছে। কাজেই সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা-অসহিষ্ণুতা থেকে পর্দায় জেমস বন্ডের চুমু খাওয়া—সব কিছুর জন্যই তৈরি থাকুন দর্শক।
থমে ঢুকেই চমক। এটা কি সেট, নাকি আস্ত একটা পাড়া? চমকটা বোধহয় লক্ষ্য করেছিলেন মীর। বললেন, ‘মীরাক্কেল মানেই তো পাগলামি। আর এই পাগলামির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গুরুজনেরা তাড়িয়ে দিয়েছেন আমাদের। তাই নিজেদের মতো করেই এই পাড়াটা তৈরি করে নিয়েছি আমরা। কারণ এবার আমাদের সাউন্ড লেভেলটা নব্বই ডেসিবেল ছাড়িয়ে যেতে পারে। কাজেই আমাদের সেই হইহুল্লোড়ে যাতে কেউ বাধ সাধতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা।’ তবে পাড়াটা সাজিয়েছেন বটে মীর। নিজেই বললেন, ‘এই পাড়ায় নানান কিসিমের বাসিন্দা আছেন। এক খেকুরে জেঠু আছেন, এক দিদা আছেন, এক ঝিঙ্কু বৌদি আছেন, কচি মেয়ে আছে। এই পাড়ারই তিন ভাড়াটে পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত আর শ্রীলেখা মিত্র। প্রতিদিন রাতের খাওয়া সেরে ওঁরা এসে বসবেন ব্যালকনিতে।
আর ওয়াচ করবেন পাড়ার নানা ঘটনা। সেই নিয়ে মন্তব্যও ছুঁড়ে দেবেন ওঁরা। আর এই পাড়ার রোয়াকে ব্যান্ডেজকে নিয়ে আড্ডা মারি আমরা। গান গাই, অন্যের পেছনে লাগি আর তাই দেখে খেপে ওঠেন খেকুরে জেঠু। তাঁর কথায় আবার টিপ্পনী ছুঁড়ে দেন ওই ব্যালকনিতে বসা তিন ভাড়াটে।’ বাসিন্দাদের তো চেনা গেল। এবার পাড়াটার দিকে আর একবার চোখ ফেরানো। কী নেই সেখানে, মেকানিকের দোকান ‘কার-ফু গ্যারেজ’ আছে, রোলের দোকান ‘রোল ক্যামেরা অ্যাকশন’ আছে আবার ডাক্তারের চেম্বার ‘বলো হরি ক্লিনিক’–ও আছে। শুধু তাই নয়, পাশ থেকে মীর ফিসফিসিয়ে বললেন, ‘প্রতি শনিবার এই চেম্বারে একজন নার্স আসেন। তখন ভিড়ে ভেঙে পড়ে এই চেম্বার।’
আর এই সব নতুনত্ব নিয়েই ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মীরাক্কেল ৯-এর আসর। পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘পুরো ফরম্যাটটাই পাল্টে ফেলেছি। এবার গোটা একটা পাড়াই মেতে উঠবে মীরাক্কেলের মজায়। বিচারক, সঞ্চালক, প্রতিযোগী, ব্যান্ডেজ সবার সঙ্গে সবার একটা সম্পর্ক আছে এই পাড়ায়। আর সেভাবেই গল্পের ছলে এগোবে এবারের মীরাক্কেল।’ তার একটা উদাহরণও কিঞ্চিৎ পাওয়া গেল এদিনের শুটিংয়ে। পাড়ার এক কোণে বসানো টিউবওয়েল থেকে জল আনতে গেছে পাড়ার কচি মেয়েটা। আর তাকে দেখেই সেখানে হাজির ব্যান্ডেজের সদস্যরা। তারপর যা হয়, কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা হয়ত সকলেরই আছে। একটু কথা, একটু সাহায্য, একটু গান, আর তারপরেই…। না তারপরেরটা ঘটার আগেই চিৎকার করে উঠলেন সেই খেকুরে জেঠু। তাঁর ভাইঝিকে একা পেয়ে কী সব অশ্লীল কাণ্ড!
জেঠুর কাছে অবশ্য যেটা অশ্লীল লাগে, সেটা আবার কারও কাছে নিরামিষ মজাও হতে পারে। মীরের কথাও সেটাই। মীরের মন্তব্য ‘শ্লীল আর অশ্লীলের সীমারেখাটা ঠিক করবে কে? অনেকেই হয়ত বলেন, মীরাক্কেলের ননভেজ জোকসগুলো নাকি একটু বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। আমার কাছে কিন্তু অন্য খবরও আছে। কেউ কেউ অতি গোপনে জানিয়েছেন ননভেজগুলো খারাপ লাগে না। তবে এই ননভেজগুলো এলেই একটু অন্যমনস্ক বা ভাবুক হয়ে ওঠার ভান করতে হয়।’
প্রত্যেক মীরাক্কেলেরই এক একটা চরিত্র থাকে। কোনও একজনকে নিয়ে সেখানেই বেশি মজা করা হয়। এই যেমন গত মীরাক্কেলে অধিকাংশ জোকেই উঠে এসেছিল ‘হিরো হিরণ’-এর কথা। এবার কে হচ্ছেন যাবতীয় মজার কেন্দ্র? মীরের মন্তব্য, ‘এবার আমরা ‘মোদিখানা’ বসাব এই পাড়াতে। আর চেষ্টা করব দিদি মমতা ব্যানার্জিকে এই পাড়ায় আনতে। খবর পেয়েছি, দিদি নিয়মিত টেলিভিশন দেখেন। তাহলে মীরাক্কেল-এ আসবেন না কেন? সঙ্গে অবশ্য দেব আর শুভশ্রীকেও আমরা চাইছি। তবে যেই আসুন না কেন, এই পাড়ায় ভাড়ার ঘর নেওয়ার বাহানায় আসতে হবে তাঁদের।’
এবারের মীরাক্কেল-এ এখনও পর্যন্ত আছেন ৩৩ প্রতিযোগী, যার মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশের। এখনও পর্যন্ত, কারণ অডিশন চলছে এখনও। কাজেই শেষদিকে এই শোয়ে অংশ নিতে পারেন আরও কিছু প্রতিযোগী। এবারে প্রতি পর্বের সেরা প্রতিযোগী পাবেন ২০ হাজার টাকা এবং সপ্তাহের সেরা প্রতিযোগী পাবেন ১৫ হাজার টাকা। তবে হ্যাঁ, এই পাড়ায় রোজ যে ঘটনাগুলো নিয়ে মজা আর ইয়ার্কির ফোয়ারা ছুটবে তার মধ্যে কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোও থাকছে। কাজেই সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা-অসহিষ্ণুতা থেকে পর্দায় জেমস বন্ডের চুমু খাওয়া—সব কিছুর জন্যই তৈরি থাকুন দর্শক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন