মার্কিন সংবাদমাধ্যমে সমালোচিত মোদি
একটা
রাজ্যের নির্বাচনে হার। তার পরেই যে দুনিয়াটা এভাবে বদলে যাবে, হারার আগে
বুঝতেই পারেননি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। দেশে বিরোধী, শরিক, সোশ্যাল
নেটওয়ার্কিং সাইটে তো বটেই, বিদেশি সংবাদমাধ্যমেও এখন রীতিমতো খোরাকের
পাত্র তিনি। সোজাসুজি বা একটু ঘুরিয়ে, আমেরিকা হোক বা পাকিস্তান— সকলেই দায়
চাপিয়েছে তাঁর ওপরেই। আর আঙুল তুলেছে তাঁর দলের অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে দু’বার মার্কিন সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবু সেদেশের সংবাদমাধ্যমও ছাড় দিল না প্রধানমন্ত্রীকে। ওয়াশিংটন পোস্ট লিখল, গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা শাসকদলের। পশ্চিমবঙ্গ–সহ উত্তর–পূর্ব ভারতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের আগেই বিহারে থেমে গেল বি জে পি–র রথ। পতন হল মোদির, জানাল নিউ ইয়র্ক টাইমস–এর প্রতিবেদন। মোদির মন্ত্রিসভার রদবদলের ইঙ্গিত দিল ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও। বি জে পি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে তৈরি হয়েছে অসহিষ্ণুতার আবহ। এর ফলে ধাক্কা খেতে পারে ভারতের আর্থিক সংস্কার, মত আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক পুনিত মনচন্দার। বললেন, বিহারে এই হার আগামী দিনে বড়সড় ধাক্কা দেবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। মোদি সরকারকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মোহভঙ্গের প্রমাণ মিলেছিল দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে। আর গত এক বছরে কেন্দ্রে বি জে পি–র কাজের মূল্যায়ন হল বিহার ভোটে, বললেন মনচন্দা। বাহবা দিলেন বিরোধীদের। বললেন, বিরোধীরা প্রমাণ করল, জোট গড়ে শাসকদলকে হারানো অসম্ভব নয়। আমেরিকার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জর্জ আব্রাহাম আবার বিহারে মহাজোটের জয়কে গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার জয় হিসেবেই দেখছেন।
ভারতের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন নিয়ে কোনওদিনই খুব একটা মাথা ঘামায়নি পাকিস্তান, বা সেদেশের সংবাদমাধ্যম। এবার সেই পাকিস্তানও যেন বিহার ভোটের ফলের অপেক্ষাতেই বসে ছিল। কারণ বি জে পি সভাপতি অমিত শাহের একটি মন্তব্য— ‘বিহারে বি জে পি হারলে বাজি পোড়াবে পাকিস্তান’। রবিবার বিহারে বি জে পি–র হারের পর তাই পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণীর দৈনিক ‘দ্য ডন’–এর শিরোনাম, ‘মোদির বাজি কাড়ল বিহার’। প্রতিবেদনে লিখল, মোদির গরু রাজনীতি মুখ থুবড়ে পড়ল বিহারে। সমস্ত প্রাক সমীক্ষা মিথ্যে প্রমাণ করে ১৭৮ আসন দখল করল নীতীশ–লালুর মহাজোট। মুম্বই এবং পুণেতে গুলাম আলির অনুষ্ঠান বন্ধ, পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী মাহমুদ খুরশিদ কাসুরির বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজক সুধীন্দ্র কুলকার্নির মুখে কালি লেপা বা অসহিষ্ণুতা নিয়ে সরব বিশিষ্টদের বি জে পি নেতার পাকিস্তানে যাওয়ার নিদান— এই ঘটনাগুলোকে যে মোটেই ভালেভাবে গ্রহণ করেনি প্রতিবেশী দেশ, তা বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে স্পষ্ট। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল লিখল, ভারতে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অসহিষ্ণুতা আর চরমপন্থার বাড়বাড়ন্ত। তাই বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পতন হল শাসকদল বি জে পি–র। গত কয়েক মাসে এই একটিই সুখবর এসেছে ভারত থেকে, খোঁচা একটি পাক সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে। এর পর সংসদে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিল পাসও কঠিন হবে মোদির পক্ষে, লেখা হল এক দৈনিকে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে দু’বার মার্কিন সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবু সেদেশের সংবাদমাধ্যমও ছাড় দিল না প্রধানমন্ত্রীকে। ওয়াশিংটন পোস্ট লিখল, গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা শাসকদলের। পশ্চিমবঙ্গ–সহ উত্তর–পূর্ব ভারতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের আগেই বিহারে থেমে গেল বি জে পি–র রথ। পতন হল মোদির, জানাল নিউ ইয়র্ক টাইমস–এর প্রতিবেদন। মোদির মন্ত্রিসভার রদবদলের ইঙ্গিত দিল ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও। বি জে পি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে তৈরি হয়েছে অসহিষ্ণুতার আবহ। এর ফলে ধাক্কা খেতে পারে ভারতের আর্থিক সংস্কার, মত আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক পুনিত মনচন্দার। বললেন, বিহারে এই হার আগামী দিনে বড়সড় ধাক্কা দেবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। মোদি সরকারকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মোহভঙ্গের প্রমাণ মিলেছিল দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে। আর গত এক বছরে কেন্দ্রে বি জে পি–র কাজের মূল্যায়ন হল বিহার ভোটে, বললেন মনচন্দা। বাহবা দিলেন বিরোধীদের। বললেন, বিরোধীরা প্রমাণ করল, জোট গড়ে শাসকদলকে হারানো অসম্ভব নয়। আমেরিকার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জর্জ আব্রাহাম আবার বিহারে মহাজোটের জয়কে গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার জয় হিসেবেই দেখছেন।
ভারতের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন নিয়ে কোনওদিনই খুব একটা মাথা ঘামায়নি পাকিস্তান, বা সেদেশের সংবাদমাধ্যম। এবার সেই পাকিস্তানও যেন বিহার ভোটের ফলের অপেক্ষাতেই বসে ছিল। কারণ বি জে পি সভাপতি অমিত শাহের একটি মন্তব্য— ‘বিহারে বি জে পি হারলে বাজি পোড়াবে পাকিস্তান’। রবিবার বিহারে বি জে পি–র হারের পর তাই পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণীর দৈনিক ‘দ্য ডন’–এর শিরোনাম, ‘মোদির বাজি কাড়ল বিহার’। প্রতিবেদনে লিখল, মোদির গরু রাজনীতি মুখ থুবড়ে পড়ল বিহারে। সমস্ত প্রাক সমীক্ষা মিথ্যে প্রমাণ করে ১৭৮ আসন দখল করল নীতীশ–লালুর মহাজোট। মুম্বই এবং পুণেতে গুলাম আলির অনুষ্ঠান বন্ধ, পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী মাহমুদ খুরশিদ কাসুরির বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজক সুধীন্দ্র কুলকার্নির মুখে কালি লেপা বা অসহিষ্ণুতা নিয়ে সরব বিশিষ্টদের বি জে পি নেতার পাকিস্তানে যাওয়ার নিদান— এই ঘটনাগুলোকে যে মোটেই ভালেভাবে গ্রহণ করেনি প্রতিবেশী দেশ, তা বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে স্পষ্ট। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল লিখল, ভারতে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অসহিষ্ণুতা আর চরমপন্থার বাড়বাড়ন্ত। তাই বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পতন হল শাসকদল বি জে পি–র। গত কয়েক মাসে এই একটিই সুখবর এসেছে ভারত থেকে, খোঁচা একটি পাক সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে। এর পর সংসদে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিল পাসও কঠিন হবে মোদির পক্ষে, লেখা হল এক দৈনিকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন