সংবিধান দিবসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবিধান সংক্রান্ত মন্তব্য ফের বাড়িয়ে দিল রাজনৈতিক উত্তাপ। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই চড়িয়ে দিল সংসদের পারদও। সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটির প্রয়োজনীয়তা নিয়েই এ দিন প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজনাথ সিংহ। এই শব্দটির প্রবল অপব্যবহারই দেশের নানা অপ্রীতিকর ঘটনার কারণ। দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে সংসদে নিজের ভাষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বি আর অম্বেডকর ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি সংবিধানের প্রস্তাবনায় রাখেননি। ইন্দিরা গাঁধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দদু’টি যোগ হয় সংবিধানের প্রস্তাবনায়।’’

রাজনাথের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন বিরোধীরা। প্রধান বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, অম্বেডকর চেয়েছিলেন ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি সংবিধানের প্রস্তাবনায় রাখতে। কিন্তু, তখন পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না বলে তা করা যায়নি।
রাজনাথ এ দিন বলেন, ভারতে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটির খুবই অপব্যবহার হয়। অবিলম্বে তা বন্ধ হওয়া উচিত। ইংরেজি ‘সেকুলার’ শব্দটির হিন্দি অর্থ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ নয় বলেও রাজনাথ এ দিন দাবি করেন। তিনি বলেন ‘সেকুলার’ শব্দের হিন্দি অর্থ ‘পন্থ-নিরপেক্ষ’ বা গোষ্ঠী-নিরপেক্ষ।
সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি রাজনাথের এই দাবি নস্যাৎ করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দিতে অনুদিত সংসদের সব বিলেই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটিই লেখা থাকে।’’ ইয়েচুরি বলেন, ‘‘সংবিধান দিবস পালনের পিছনে সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণ স্পষ্ট করে দিল। আসলে আরএসএস হিন্দু রাষ্ট্র চায়। তারা কিছুতেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে মেনে নিতে পারে না।’’