বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো জঙ্গি নিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে: শাহরিয়ার
(রেডিও তেহরান):
পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের মাদ্রাসা প্রসঙ্গে গুরুতর
অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী
সভাপতি শাহরিয়ার কবির।। শনিবার কোলকাতার গোর্কি সদনে ‘সন্ত্রাসমুক্ত
পৃথিবীতে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কূটনৈতিক আদান-প্রদান’শীর্ষক এক আলোচনা সভায়
অসহিষ্ণুতা, সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি প্রসঙ্গ উঠে আসে।
(রোববার) মিডিয়া সূত্রে প্রকাশ, শাহরিয়ার কবির তার বক্তব্যে বলেন,
‘পাকিস্তানই সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের মূল বিপণন কেন্দ্র। সেখান থেকে
জঙ্গিরা গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে মদদ রয়েছে সৌদি আরবের। আর মাথার
উপরে আছে আমেরিকা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো জঙ্গি
নিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষার আলোয় আলোকিত
করতে হবে।’
শাহরিয়ার
কবিরের বক্তব্যের আগে অবশ্য কোলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই
কমিশনার জকি আহাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা এরইমধ্যে
ঘোষণা করেছেন, দেশের মাটি ব্যবহার করে কোনো সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ তার
সরকার বরদাস্ত করবে না। সন্ত্রাসবাদের জন্য বাংলাদেশের সব রাস্তা বন্ধ।
সন্ত্রাসের কোনো দেশ থাকে না, ভাষা থাকে না।’ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদ
সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে এ ধরণের মন্তব্য করলেও বস্তুত তার সঙ্গে সহমত পোষণ না
করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ, মাদ্রাসাকে জড়িয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেন শাহরিয়ার
কবির।
তার মতে
‘মুক্ত চিন্তার বিপক্ষেই মৌলবাদীদের যত রাগ। সেটা যে কোনো ধর্মের মৌলবাদের
ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে উপমহাদেশে অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি বাইরে থেকে আনা
হয়েছে। এটা ভারত বা বাংলাদেশের সহজাত নয়।’
গোর্কি
সদনের ওই আলোচনা সভায় বিশিষ্টদের মধ্যে রাশিয়ার ডেপুটি কনসাল জেনারেল
মিখাইল গিউসে, কূটনীতিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গীতেশ শর্মা প্রমুখ উপস্থিত
ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়েদ তানভীর
নাসরীন।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/জিএআর/৭
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন