হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন অধীর চৌধুরী, বাংলো ছাড়ার নির্দেশ
(রেডিও তেহরান): দিল্লি
হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট অধীর চৌধুরী
এমপি। মঙ্গলবার দিল্লিতে তার দখলে থাকা সরকারি বাংলো থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
এর প্রতিবাদে অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে তাকে
উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
ডিভিশন
বেঞ্চ তার আবেদনের শুনানিতে রাজি হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে সাময়িকভাবে উচ্ছেদ
কর্মসূচি বন্ধ হয়। যদিও (বুধবার) হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে
অধীর চৌধুরীর আবেদন খারিজ করে উচ্ছেদের পক্ষেই রায় দিয়ে ওই বাংলো খালি করার
নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার
নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের এস্টেট বিভাগের কর্মীরা অধীর চৌধুরীর দিল্লির
মোতিবাগের বাংলো বাড়ির পানি এবং বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়। এমনকি তার বাড়ির
সমস্ত জিনিষপত্র বাইরে বের করে দেয় ওই কর্মীরা। এ ঘটনায় চূড়ান্ত অপমানিত হন
সাবেক কেন্দ্রীয় রেলপ্রতিমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের সংসদ সদস্য
অধীর চৌধুরী।
এই
ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তার দাবি,
‘এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় সরব হয়েছিলাম।
তাই আমার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, বিকল্প বাংলোয় যেতে
তিনি রাজি থাকলেও সেটি বাসযোগ্য করে তোলা হয়নি। এনিয়ে হুমায়ূন রোডে
বরাদ্দকৃত বাংলোটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে একাধিক চিঠি দেয়া
হলেও তা করা হয়নি।
মঙ্গলবার
কংগ্রেস কর্মীরা অধীর চৌধুরীকে বাংলো থেকে উৎখাতের চেষ্টা হওয়ায় কোলকাতায়
বিজেপি’র রাজ্য দফতরের কাছে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেসের সাধারণ
সম্পাদক কৃষ্ণা দেবনাথ এই ঘটনার নেপথ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতার হাত রয়েছে বলে
অভিযোগ করেন। তার দাবি, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরামর্শেই নরেন্দ্র মোদি
এভাবে প্রদেশ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট তথা এমপিকে অসম্মান করেছেন।’
কেন্দ্রীয়
নগরউন্নয়ন মন্ত্রক বলছে, গত ১৯ মাস ধরে অধীর চৌধুরীকে বাংলো খালি করতে বলা
হলেও তা করা হয়নি। রেল প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় তিনি ওই বাংলো পেলেও এখন
তিনি মন্ত্রী না থাকায় ওই বাংলোয় থাকার অধিকার হারিয়েছেন তিনি।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/জিএআর/৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন