ট্রেন থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন নিখোঁজ, ব্যাপক চাঞ্চল্য
(রেডিও তেহরান): ভারতীয়
সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেন ট্রেন থেকে নিখোঁজ হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের
সৃষ্টি হয়েছে। শিখর দীপ নামে ওই সেনা কর্মকর্তা জম্মু সীমান্তে মোতায়েন
ছিলেন। তার খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়েছে। তিনি কাটিহার স্টেশন থেকে
মহানন্দা এক্সপ্রেসে এবি-১ বগিতে সফর করছিলেন। বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে
কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন ওই সেনা কর্মকর্তা।
শিখর দীপের বাবা লেফটেন্যান্ট কর্নেল
অনন্ত ছেলের ছবি নিয়ে তার খোঁজে বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করে কান্নাকাটি
করছেন। গত ৭২ ঘণ্টা ধরে রেল পুলিশ এবং সেনাবাহিনী চলন্ত ট্রেন থেকে নিখোঁজ
হওয়া সেনা ক্যাপ্টেনের সন্ধানে তল্লাশি চালালেও এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ
পাওয়া যায়নি।
পারিবারিক সূত্রে প্রকাশ, ক্যাপ্টেন শিখর
দীপ ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় কাটিহার স্টেশন থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে এসি
বগিতে ওঠেন। ওইদিন রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে তার কথাও হয়। ৭
ফেব্রুয়ারিতে তার দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। রেলের প্যান্ট্রি স্টাফ তাকে
কানপুর এবং মির্জাপুর পর্যন্ত দেখেছিলেন। ট্রেনটি দিল্লি পৌঁছলে তার
পরিবারের লোকজন স্টেশনে যান। কিন্তু ট্রেনের বার্থে পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য
জিনিসপত্র পাওয়া গেলেও ওই সেনা কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।
পরিবারের লোকজন দ্রুত তার ফোন নম্বরে কল
করলেও ওই মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ ছিল। তার এক নিকট আত্মীয় অপহরণের আশঙ্কা
প্রকাশ করে কাটিহার রেল পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছেন। রেলের এসপি জানান,
সমস্ত দিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেশের সমস্ত গোয়েন্দা এবং
নিরাপত্তা এজেন্সিকে ক্যাপ্টেন শিখর দীপের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানানো
হয়েছে এবং তাদের সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে।
পূর্ণিয়ার মহেন্দ্র পুরের বাসিন্দা ২৪ বছর
বয়সী শিখর দীপ ২ বছর আগে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ছুটিতে বাসায়
এসেছিলেন। বর্তমানে তার পরিবার কাটিহারের লালিয়াহিতে থাকে। শিখর দীপের বাবা
অনন্ত কুমার ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে
কর্মরত রয়েছেন। তিনি কাটিহারের রেলওয়ে এসপিকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার
দাবি জানিয়েছেন। রেল পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।
কাটিহার রেলওয়ে পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র
মিশ্র জানান, এ ঘটনায় ৩৬৩ ধারা মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি বলেন,
ক্যাপ্টেন শিখর দীপের ফোন ডিটেলস খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী এবং পরিবারের পক্ষ থেকে দিল্লি
ও কানপুর পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। দিল্লি এবং কানপুরে তার খোঁজে সেনা
কর্মকর্তারা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে রেল স্টেশনের
সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/১০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন