জাঠ আন্দোলন: হরিয়ানায় নিহত ৪, দুর্বৃত্তদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
(রেডিও তেহরান): ভারতের
বিজেপিশাসিত হরিয়ানা রাজ্যে সংরক্ষণের দাবিতে জাঠ সম্প্রদায়ের সহিংস
আন্দোলনের জেরে এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায়
প্রাথমিকভাবে পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও (শনিবার)
সকালে মিডিয়া সূত্রে প্রকাশ এই সংখ্যা বেড়ে এখন ৪ জনে পৌঁছেছে। অগ্নিগর্ভ
পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের ৮ টি জেলাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া
হয়েছে। রোহতক এবং ভিওয়ানিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বেশ
কয়েকটি জায়গায় অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি জিন্দ রেল স্টেশনে আগুন দিয়েছে।
রোহতকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্বৃত্তদের দেখামাত্রই গুলি চালানোর নির্দেশ
দেয়া হয়েছে।
জাঠ বিক্ষোভকারীরা একটি স্কুল এবং মলে
আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ঝাজ্জরে এসডিএম দফতরে ভাঙচুর করার পাশাপাশি রোহতকে একটি
অস্ত্রের দোকানে হামলা চালিয়ে সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি লুট
করেছে।
রেলওয়ে মন্ত্রক সূত্রে প্রকাশ, জাঠ
আন্দোলনের জেরে দৈনিক ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। হরিয়ানার পরিস্থিতি নিয়ে
শুক্রবার সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে দিল্লিতে। বৈঠকে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং অর্থ
মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় হরিয়ানার পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং তা
মোকাবিলা করার উপায় নিয়ে কথা হয়। তারা রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও
জানান।
রাজ্যের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রোহতক,
জিন্দ, ঝজ্জর, ভিওয়ানি, হিসার, কাইথাল, সোনিপথ এবং পানিপথে সেনাবাহিনী
অবস্থান নিয়েছে। গোলযোগপূর্ণ এলাকায় মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে
দেয়া হয়েছে।
অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির আওতায় শিক্ষা
এবং চাকরিতে সংরক্ষণ সুবিধা পাওয়ার দাবিতে হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু করেছে
জাঠ সম্প্রদায়ের মানুষজন। শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা রাজ্যের এক মন্ত্রীর
বাড়িতে আগুন দেয়ার পাশাপাশি এক এমপির বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এছাড়া
পুলিশ গাড়ি এবং বহু বেসরকারি যানবাহনে আগুন দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। সড়ক এবং রেল
অবরোধের ফলে রাজ্যে শাক-সবজি, দুধ, এলপিজি গ্যাস এবং বিভিন্ন পেট্রোপণ্যের
সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। #
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/২০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন