বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার পর খুন করা হল এক নাবালিকাকে। সোমবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ঘটনা। ১০ বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কালিয়াগঞ্জ পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ধনকোল হাট এলাকায় দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকেন এক মহিলা। তাঁর স্বামী বেশ কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছেন। পাশের পাড়ায় লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে যাত্রার আসর বসেছিল বলে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি দেখতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছেলে ও মেয়ে একাই ছিল। যাত্রা দেখে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ফিরে তিনি বাড়িতে এসে দেখেন ছেলে একা একা কাঁদছে। দিদি কোথায় জিজ্ঞেস করায় মূক-বধির ছেলেটি তাঁকে আকারে ইঙ্গিতে বোঝায় পাশের বাড়ির বিকি রায় বাহাদুর নামে এক যুবক এসে ‘দিদি’র মুখে হাত চাপা দিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে। এর পর চিত্কার করে ভদ্রমহিলা পাড়ার লোকজন ডাকেন।
মেয়েকে খুঁজতে প্রথমে সবাই মিলে বিকির বাড়িতে যান। সেখানে তাদের খোঁজ না পেয়ে এলাকায় তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়। শেষে গভীর রাতে তাঁদের বাড়ির অদূরে একটি মুরগির ফার্মের ভেতর থেকে নাবালিকাটিকে রক্তাক্ত এবং অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।

এর পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়। সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছয়। অভিযুক্তকে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে, এই প্রতিশ্রুতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিকির মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি শ্রীম্নত সরকার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’