মাংস বিচার-http://aajkaal.in/editorial
বি জে পি–র উগ্র কর্মী–সমর্থকেরা বোধহয় মনে করছেন, দেশের সব সমস্যার
সমাধান করে ফেলেছে প্রিয় মোদি সরকার, এখন শুধু মন দিয়ে গোমাংস খাওয়ার
বিরুদ্ধে যুদ্ধবিগ্রহ করতে হবে। বিরল বিলীয়মান প্রজাতির প্রাণীর মাংস ভক্ষণ
নিষিদ্ধ। অন্য মাংস কে খাবেন কে খাবেন না, আদৌ খাবেন কি না, তা দেখার
অধিকার এই রাজনৈতিক যোদ্ধাদের কে দিয়েছে? কেরল ভবনে কার্যত হামলার মূলে
হিন্দু সেনার এক সংগঠক। একটি রাজ্য সরকারের অতিথিশালায়, ঝাপসা অভিযোগ পেয়েই
হানা দেয় কেন্দ্রের হাতে–থাকা দিল্লি পুলিস, অরবিন্দ কেজরিওয়াল যাদের
বলেছেন বি জে পি–সেনা। দিল্লিতে বিভিন্ন রেস্তোরঁায় গরুর নয়, মহিষের মাংস
পাওয়া যায়। মোষের মাংস খাওয়া কোথাও নিষিদ্ধ নয়। এদেশে একাধিক জায়গায়
হিন্দুরা মোষ বলি দিয়ে ধর্মাচার করে থাকেন। কেরল ভবনে সেই মাংসই ছিল। গরু
নিয়েই বা হামলা কেন? ‘পবিত্র’ পাঁঠা–খাসির মাংসের চেয়ে গরুর মাংসের দাম
অনেক কম। বহু গরিব মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোটিন। বিকল্প কী ব্যবস্থা করছে
মোদি সরকার? একেবারে শীর্ষস্তরের মদত ছাড়া এই গুন্ডামি চালানো যায় না, তা
বোঝাই যায়। কী খেতে বলছে বি জে পি সরকার? ডােলর
দাম আকাশ ভেদ করে ওপরে চড়েছে। সবজির দাম গগনচুম্বী। খেতে দেওয়ার মুরোদ নেই, কিছু মানুষের খাবার কেড়ে নেওয়ার পবিত্র ব্যবস্থা! সন্দেহ নেই, গোমাংস–ভক্ষণ বিরোধী কর্মসূচি আসলে তীব্র সাম্প্রদায়িক। বিরল বিলীয়মান প্রজাতির প্রাণীহত্যা অপরাধ। এবং মনুষ্যমাংস ভক্ষণ ঘৃণ্য, পরিত্যক্ত সভ্য সমাজে। ২০০২ সালে গুজরাটে কিছু ধর্মীয় গুন্ডা যা করেছিল, তাদের অবশ্য কার্যত নরমাংসভোজী বলা যায়!
দাম আকাশ ভেদ করে ওপরে চড়েছে। সবজির দাম গগনচুম্বী। খেতে দেওয়ার মুরোদ নেই, কিছু মানুষের খাবার কেড়ে নেওয়ার পবিত্র ব্যবস্থা! সন্দেহ নেই, গোমাংস–ভক্ষণ বিরোধী কর্মসূচি আসলে তীব্র সাম্প্রদায়িক। বিরল বিলীয়মান প্রজাতির প্রাণীহত্যা অপরাধ। এবং মনুষ্যমাংস ভক্ষণ ঘৃণ্য, পরিত্যক্ত সভ্য সমাজে। ২০০২ সালে গুজরাটে কিছু ধর্মীয় গুন্ডা যা করেছিল, তাদের অবশ্য কার্যত নরমাংসভোজী বলা যায়!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন