১০ বছরেই ৫ম বৃহত্তম পরমাণু শক্তিধর দেশ হবে পাকিস্তান!
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করা হয় দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র শাহিন-২
(রেডিও তেহরান): পাকিস্তান
২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হতে
পারে। মার্কিন বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টের প্রতিবেদনে এ দাবি করা
হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ যখন আমেরিকা সফর করছেন তখন এ
প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
২০১১ সালে পাক পরমাণু বোমার মজুদ ৯০ থেকে
১১০টির মধ্যে থাকলেও থাকলেও এখন তা বেড়ে ১১০ থেকে ১৩০-এর মধ্যে পৌঁছেছে।
পাকিস্তানের পরমাণু বোমার সংখ্যা এ হারে বাড়তে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে
দেশটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হবে। পরমাণু
ক্ষেত্রে গত ২০ বছরে পাকিস্তানের তৎপরতা এবং সাফল্যের আলোকে এ দাবি করা
হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে প্লুটোনিয়াম উৎপাদনে নিয়োজিত
চারটি পরমাণু চুল্লি এবং ইউরেনিয়াম স্থাপনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো দাবি করা হয়েছে, ভারতীয়
আগ্রাসন এবং আধিপত্য ঠেকানোর জন্য পাকিস্তান স্বল্পপাল্লার পরমাণু
বোমাবাহী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। এতে পাকিস্তানের নাসের বা হাতেফ-৯ নামের
নিরেট জ্বালানি পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের কথা তুলে ধরা হয়েছে। পরমাণু
বোমাবাহী এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা মাত্র ৬০ কিলোমিটার এবং এটি দিয়ে ভেতরের
কোনো কৌশলগত অবস্থানেই হামলা চালানো যাবে না। কিন্তু আগ্রাসন চালানোর
চেষ্টা করলে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এটি দিয়ে হামলা চালানো হতে পারে বলে
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
বর্তমানে পাকিস্তানের ছয় ধরণের পরমাণু
বোমাবাহী ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এ ছাড়া, আরো দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে
পাকিস্তান। এ সব ক্ষেপণাস্ত্র স্বল্পপাল্লার হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ
করা হয়।
এ ছাড়া, সাবমেরিন থেকে ছোঁড়ার উপযোগী
পরমাণু বোমাও তৈরি করছে পাকিস্তান। এ জন্য পাক নৌবাহিনী হেডকোয়াটার্স নেভাল
স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড বা এনএসএফসি স্থাপন করেছে বলে প্রতিবেদনে
উল্লেখ করা হয়েছে।#
রেডিও তেহরান/সমর/২২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন