অদ্ভুত মহাজাগতিক বিস্ময়, লাভজয় আর সুরার ফোয়ারা - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫

অদ্ভুত মহাজাগতিক বিস্ময়, লাভজয় আর সুরার ফোয়ারা

আগুনের ঝাঁটা নয়, সুরার ঝরনাধারা৷
নীলচে আলোর মায়া ছড়িয়ে বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে অ্যালকোহল ছড়াতে ছড়াতে এগিয়ে চলেছে সে৷ নাম ‘লাভজয়'৷ 
আসলে একটি ধূমকেতু৷ যার গতিপথের প্রতি সেকেন্ডে ছিটকে বেরোচ্ছে প্রায় ৫০০ বোতল ওয়াইনের সমমানের ইথাইল অ্যালকোহল৷ এমনকী চিনিও৷ 
‘মিষ্টি আর মায়াবী' এই ধূমকেতুকে আবিষ্কার করে তাই রীতিমতো উত্তেজিত বিজ্ঞানীমহল৷ 
মহাকাশে অ্যালকোহলের ফোয়ারা! 
বিষয়টা নেহাতই অপচয়ের বলে মনে হতে পারে৷ কিন্ত্ত, বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধূমকেতুকে আর যাই হোক অপচয় বলা চলে না৷ বরং এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে এক নতুন পৃথিবীর চাবিকাঠি৷
কেন না, যে কোনও গ্রহে প্রাণের বীজ পোঁতার ক্ষমতা আছে এই ধূমকেতুর৷ যেখানে আছড়ে পড়বে সেখানেই তৈরি হবে প্রাণ সৃষ্টির সম্ভাবনা৷ নতুন এই ধূমকেতু আবিষ্কারের পর তাই পৃথিবীর সৃষ্টিরহস্য নিয়েও নতুন ধারণা তৈরি হচ্ছে বিজ্ঞানীমহলে৷
অনেকেই বলছেন, কোটি কোটি বছর আগে হয়তো এমনই কোনও জৈব ধূমকেতুর ধাক্কায় প্রাণ সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবীতে৷ ধূমকেতুতে থাকা জৈব অণুই হয়তো প্রাণ সৃষ্টিকে ত্বরান্বিত করেছিল৷ যদিও এই তত্ত্ব এখনই মানতে নারাজ অন্য বিজ্ঞানীরা৷ তাদের মতে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণা করা দরকার৷
ধূমকেতু লাভজয়ের অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়ে ফ্রান্সের প্যারিস মানমন্দিরে৷ প্রায় এক বছর আগে৷ কিন্ত্ত, তখনও এর গুণাগুণ জানা যায়নি৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অপেক্ষা করছিলেন ধূমকেতুটি প্রবল উত্তপ্ত হওয়ার৷ বা বলা ভাল সূর্যের কাছে আসার৷ "আসলে ধূমকেতুগুলিকে দেখতে আগুনের ঝাঁটার মতো হলেও এর পৃষ্ঠদেশ হয় বরফ শীতল৷ তাছাড়া বেশিরভাগ ধূমকেতুই সূর্যের এত দূর দিয়ে যায় যে তাদের চরিত্র বিচার করা সম্ভব হয় না৷ সূর্যের কাছে এলে সৌরঝড় ও সোলার প্লাজমার সংস্পর্শে এসে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধূমকেতু৷ তখনই গ্যাস, জল ও অন্যান্য জৈব কণা নিঃসরণ করতে শুরু করে৷ তখনই সম্ভব হয় বিচার বিশ্লেষণ৷" জানাচ্ছেন, প্যারিস মানমন্দিরের নিকোলাস বিভার৷
গত ৩০ জানুয়ারি সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে লাভজয়৷ তখন অবশ্য তার নাম অন্য৷ ‘সি/২০১৪ কিউ২'৷‌ সূর্যের ধার ঘেঁষে ওই ধূমকেতু যাওয়ার সময়েই সচল হয়ে যায় তার ভিতরের সমস্ত জৈব পদার্থ৷ শুরু হয় অ্যালকোহল নিঃসরণ৷ রেডিও টেলিস্কোপে সেই ছবি তুলে তার বিশ্লেষণ শুরু করেন বিজ্ঞানীরা৷ সম্প্রতি সেই বিশ্লেষণের ফলাফল মেলে৷ বিজ্ঞানীরা জানান, প্রতি সেকেন্ডে প্রচুর পরিমাণ ইথাইল অ্যালকোহল নিঃসরণ করছে ধূমকেতু লাভজয়৷ সেই ইথাইল অ্যালকোহল যা আমাদের পৃথিবীতে বহুল পরিমাণে ব্যবহার করা হয় মদ্য পানীয়ে৷ লাভজয় থেকে নিঃসৃত ওই অ্যালকোহলের পরিমাণ প্রায় ৫০০ বোতল ওয়াইনের সমান৷ আর শুধু অ্যালকোহলই নয়৷ যাত্রাপথে এক ধরনের চিনি এবং আরও ২১ রকমের জৈব পদার্থও নিঃসরণ করছে ওই ধূমকেতু৷ এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ 
প্রতিবেদন: ঐন্দ্রিলা বসু সিংহ
তথ্যসূত্র: সংবাদ সংস্হা

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here