প্রিন্টের চেয়ে অনলাইন তথ্যে বেশি ভরসা - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

প্রিন্টের চেয়ে অনলাইন তথ্যে বেশি ভরসা

প্রিন্টের চেয়ে অনলাইন তথ্যে বেশি ভরসা-http://www.dw.com/


‘বাংলাদেশের মানুষ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে ভয় পান’

এভাবে মধ্যবিত্ত বাড়তে থাকলে ২০২৫ সাল নাগাদ উচ্চ ও মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩ কোটি ৪০ লাখে৷ গত এক দশকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধ ও কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী, ঊর্ধ্বমুখী ও গতিশীল হয়েছে৷
ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ফার্ম ‘বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ' বা বিসিজি এর সেন্টার ফর কাস্টমার ইনসাইটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসডি এশিয়া
বিসিজি দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভোক্তার ওপর জরিপ করে এবং তাদের ভোগের ধরণ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে৷ এতে বলা হয়, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তারা ভবিষ্যতের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী, বিদেশি ব্র্যান্ডকে মূল্যায়ন করছে এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে৷ এসব কারণে এখানে ভোগ্যপণ্যের বাজার বিশ্বের উদীয়মান ও খুবই সম্ভাবনাময় হিসাবে দেখা হচ্ছে৷

বিসিজির বাংলাদেশে কোনো কার্যালয় নেই৷ এসডি এশিয়া নামের প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমেই তারা প্রাথমিক কাজগুলো করছেন৷ এসডি এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রতিবেদনে মূলত ৬টি পয়েন্ট এসেছে৷ বাংলাদেশের মানুষ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে ভয় পান৷ এখানে তাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি আছে, ঋণ নিলে কীভাবে পরিশোধ করতে হবে৷ আবার অনলাইনের তথ্যকে তারা অনেক বেশি বিশ্বাস করেন৷ সেখানে প্রিন্ট বা অন্য কোনো মিডিয়ার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি বিশ্বাস করেন অনলাইনের তথ্যকে৷ অনলাইনে কেনাকাটা করতেও তারা অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷''
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটির সহ-রচয়িতা জারিফ মুনির বলেন, বাংলাদেশের বাজার এশিয়ার অন্যান্য দেশের বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গতিশীল, কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বেশিরভাগ বহুজাতিক ভোগ্যপণ্য প্রতিষ্ঠানের নজরে আসেনি৷ যেসব প্রতিষ্ঠান এ বাজারে অবস্থান নিতে আসবে, তারা একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরির সুযোগ পাবে৷
গবেষণায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়েছে, এই শ্রেণির ৬৮ শতাংশ ভোক্তার হাতে ইন্টারনেটযুক্ত স্মার্টফোন রয়েছে৷ নগদ অর্থের চেয়ে মোবাইল ব্যবহার করে পণ্যের মূল্য পরিশোধে এ শ্রেণির ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে৷ ৮১ শতাংশ মধ্যবিত্ত অনলাইনে পাওয়া তথ্যকেই বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে মনে করেন৷
ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস, বেসিস এর সভাপতি শামীম আহসান৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারের জন্য অনেক উপকারে আসবে৷ বিদেশিরা এদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে৷ দেশের টেলিকম খাতের ৯৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে বিদেশি কোম্পানিগুলো৷ আর অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৭০ শতাংশই বিদেশি কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে৷ এক্ষেত্রে দেশিয় উদ্যোক্তাদের আরো বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে৷ একইসঙ্গে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে৷
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭ শতাংশ বা ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে আছেন৷ ভিয়েতনামে এমন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেশটির মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৮ শতাংশ ও থাইল্যান্ডে ৫৯ শতাংশ৷ আশাবাদী হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে, জনসংখ্যার অনুপাতে এখনো কম হলেও বাংলাদেশে প্রতিবছর সাড়ে ১০ শতাংশ হারে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে৷ স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারের মতো দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ৷ ভোক্তা হিসেবে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্পর্কে বলা হয়েছে, গবেষণায় অংশ নেওয়া ৮১ শতাংশ মনে করেন তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল৷

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here