দিল্লির কেরল ভবনে ‘বিফ ফ্রাই’বন্ধ করে দিল পুলিশ: রাজনৈতিকমহলে প্রতিক্রিয়া
(রেডিও তেহরান): 'বিফ ফ্রাই' বা ভুনা গরুর গোশত বিক্রি
করার অভিযোগে পুলিশ কেরল ভবনে রেইড করায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ
কেজরিওয়াল, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চন্ডি, সিপিআই নেত্রী বৃন্দা
কারাত,কংগ্রেস নেতা টম ভডক্কন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গতকাল(সোমবার) সন্ধ্যায় কেরল ভবনে ক্যান্টিনের মেনু বোর্ডে মালায়ালাম ভাষায় ‘বিফ ফ্রাই’ লেখা দেখে কয়েকজন হিন্দুত্ববাদী যুবক পুলিশকে ফোন করে। তারা গরুর গোশত পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে। খবর পাওয়া মাত্র দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী কেরল ভবনে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। মেনু বোর্ড থেকে ‘বিফ ফ্রাই’ কথাটি মুছে দিতে বলে পুলিশ।
(মঙ্গলবার) মেনু বোর্ডে ‘বিফ ফ্রাই’ কথাটি আর রাখা হয়নি। যদিও ক্যান্টিনের কর্মীরা জানিয়েছেন ‘বিফ ফ্রাই’ আসলে মহিষের গোশত দিয়ে তৈরি। দিল্লিতে মহিষের গোশত খাওয়া বা বিক্রি কোনটাই নিষিদ্ধ নয়।
দিল্লির কেরল ভবনে ‘বিফ ফ্রাই’বা গরুরু ভুনা গোশত পরিবেশন বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের তৎপরতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চণ্ডি বলেছেন, ‘কেরল ভবন রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউস এটা কোনো বেসরকারি হোটেল নয়। দিল্লি পুলিশের সংযম দেখানো উচিত ছিল। আমরা সরকারের কাছে চিঠি লিখে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব।’
(মঙ্গলবার) দুপুরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে একে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত বলে মন্তব্য করেন। তিনি দিল্লি পুলিশকে কেরল ভবনে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না বলে জানান। পুলিশ বিজেপি-সেনার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সিপিআই নেত্রী বৃন্দা কারাত বলেছেন, দিল্লিতে গরুর গোশতে নিষেধাজ্ঞা নেই। এরকম অবস্থায় বিজেপি’র চাপে পড়ে কেরল ভবনে হানা দেয়া বেআইনি।
কংগ্রেস নেতা টম ভডক্কন বলেছেন,‘দিল্লি পুলিশ ‘হিন্দু সেনা’র ইশারায় কাজ করছে।’
এদিকে, ‘হিন্দু সেনা’র প্রধান বিষ্ণু গুপ্তা বলেছেন,ওখানে মালায়ালাম ভাষায় ‘বিফ’ লেখা ছিল। অন্যগুলো সব ইংরেজিতে লেখা ছিল। মোদিজিকে গরু জবাই বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/জিএআর/২৭
গতকাল(সোমবার) সন্ধ্যায় কেরল ভবনে ক্যান্টিনের মেনু বোর্ডে মালায়ালাম ভাষায় ‘বিফ ফ্রাই’ লেখা দেখে কয়েকজন হিন্দুত্ববাদী যুবক পুলিশকে ফোন করে। তারা গরুর গোশত পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে। খবর পাওয়া মাত্র দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী কেরল ভবনে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। মেনু বোর্ড থেকে ‘বিফ ফ্রাই’ কথাটি মুছে দিতে বলে পুলিশ।
(মঙ্গলবার) মেনু বোর্ডে ‘বিফ ফ্রাই’ কথাটি আর রাখা হয়নি। যদিও ক্যান্টিনের কর্মীরা জানিয়েছেন ‘বিফ ফ্রাই’ আসলে মহিষের গোশত দিয়ে তৈরি। দিল্লিতে মহিষের গোশত খাওয়া বা বিক্রি কোনটাই নিষিদ্ধ নয়।
দিল্লির কেরল ভবনে ‘বিফ ফ্রাই’বা গরুরু ভুনা গোশত পরিবেশন বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের তৎপরতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চণ্ডি বলেছেন, ‘কেরল ভবন রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউস এটা কোনো বেসরকারি হোটেল নয়। দিল্লি পুলিশের সংযম দেখানো উচিত ছিল। আমরা সরকারের কাছে চিঠি লিখে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব।’
(মঙ্গলবার) দুপুরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে একে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত বলে মন্তব্য করেন। তিনি দিল্লি পুলিশকে কেরল ভবনে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না বলে জানান। পুলিশ বিজেপি-সেনার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সিপিআই নেত্রী বৃন্দা কারাত বলেছেন, দিল্লিতে গরুর গোশতে নিষেধাজ্ঞা নেই। এরকম অবস্থায় বিজেপি’র চাপে পড়ে কেরল ভবনে হানা দেয়া বেআইনি।
কংগ্রেস নেতা টম ভডক্কন বলেছেন,‘দিল্লি পুলিশ ‘হিন্দু সেনা’র ইশারায় কাজ করছে।’
এদিকে, ‘হিন্দু সেনা’র প্রধান বিষ্ণু গুপ্তা বলেছেন,ওখানে মালায়ালাম ভাষায় ‘বিফ’ লেখা ছিল। অন্যগুলো সব ইংরেজিতে লেখা ছিল। মোদিজিকে গরু জবাই বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/জিএআর/২৭
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন