পীরগাছায় খুনের বদলা খুন হলেন আওয়ামীলীগ নেতা : ১৫ জনের নামে মামলা : আটক-৪
পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগাছায় ইটভাটায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য সদরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় ১৫ ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের থানা হাজতে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
থানা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের দামুচাকলা বাজারের পার্শ্বে এমএমবি ইটভাটা থেকে ওই আওয়ামীলীগ নেতার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। পরে রংপুরের সিনিয়র এএসপি (বি-সার্কেল) সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সময় সদরুল ইসলামের সাথে থাকা মোটরাসাইকেল চালক আব্দুল জব্বার (৩৫), এমএমবি ইটভাটার নৈশ্য প্রহরী বুদ্ধি মেম্বার (৫০), আমির হামজা (৪০) ও হাজী আব্দুর রশিদ (৫৫) নামের ৪ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এদিকে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত সদরুল ইসলামের সাথে একই এলাকার আসাদুজ্জামান রুজু’র ইটভাটার আধিপত্য নিয়ে ১ বছর পূর্বে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে আসাদুজ্জামান রুজুর চাচাতো ভাই খাইরুল ইসলাম নিহত হন। এঘটনায় সদরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হলে ওই মামলায় গত ৩ ডিসেম্বর/১৪ সে আদালতে আতœসমর্পন করে। দীর্ঘ ১ বছর জেল-হাজতে আটক থাকার পর ১৪ সেপ্টেম্বর/১৫ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায় সদরুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী সন্দেহ পোষন করে বলেন, পূর্বের হত্যাকান্ডের জের ধরে সদরুল ইসলামকে খুন করে প্রতিশোধ নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় তারা এই খুনের ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, দূর্বৃত্তরা নিহত সদরুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে এবং মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন। এঘটনায় নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে এজাহারনামীয় আসামী হিসেবে আটক আমির হামজাকে গ্রেফতার এবং অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক রাখেন। তিনি বলেন, নিহত সদরুল মেম্বার পীরগাছা থানার একটি হত্যা ও নাশকতার মামলাসহ বেশক’টি মামলার আসামী এবং পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন