বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেনি, বরং বেড়েছে - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬

বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেনি, বরং বেড়েছে

বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেনি, বরং বেড়েছে-dw

বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এখন ১৩তম৷ আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম৷ দৃশ্যতই দুর্নীতিতে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়েছে৷ বিশ্লেষকদের কথায়, দুর্নীতি না কমার মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই৷

বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) বুধবার সারা বিশ্বে একযোগে দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০১৫ প্রকাশ করে৷ বাংলাদেশে তা প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)৷ তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এক নম্বরে আছে যৌথভাবে সোমালিয়া ও উত্তর কোরিয়া৷ দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে আফগানিস্তান ও সুদান৷ অন্যদিকে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে আছে ডেনমার্ক৷
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভুটান৷ আফগানিস্তান ছাড়া এ অঞ্চলের সব দেশই বাংলাদেশের তুলনায় কম দুর্নীতিগ্রস্ত৷
অডিও শুনুন 05:00

‘দুর্নীতিদমন কমিশন বড় দুর্নীতিবাজদের থরতে পারছে না’

রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবি-র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ‘‘সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন হলেও উন্নয়নের সঙ্গে দেখতে হবে যে দুর্নীতি কমছে কিনা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা৷ গণতন্ত্রের বিনিময়ে উন্নয়ন কতটা গ্রহণযোগ্য, সেটা নিয়েও ভাবার অবকাশ রয়েছে৷''
টিআইবি-র ট্রাস্টি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘‘যদি সংসদীয় কমিটিগুলো কার্যকর হয়, প্রশাসনযন্ত্র সংসদের জবাবদিহির মধ্যে থাকে, বিরোধী দল কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে, তাহলে অবস্থার আরও উন্নতি হতে পারে৷''
টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘স্কোরে বাংলাদেশ আগেরবারের মত ১০০-এর মধ্যে ২৫ পেয়েছে৷ আর স্কোর অধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের স্কোর৷ অবস্থানের দিক থেকেও অবনতি ঘটেছে৷ তাই সহজেই বলা চলে দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে৷''
তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমত কাজ করছে না৷ দুর্নীতিদমন কমিশন বড় দুর্নীতিবাজদের থরতে পারছে না৷ ফলে দুর্নীতি কমছে না৷ তাছাড়া সরকারের দুর্নীতি প্রতিরোধে অঙ্গীকার থাকলেও তা কার্যকর করতে দৃশ্যমান কোনো ‘ম্যাকানিজম' বা তৎপরতা নেই৷ সংসদীয় কমিটিগুলোও কার্যকরভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে না৷ তাই দুর্নীতি কমানোর সুযোগ থাকলেও তা হচ্ছে না৷''
তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতি যদি অর্ধেকে নামন যেত, তাহলে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার আরো দুই থেকে আড়াই শতাংশ বেশি হতো৷ দুর্নীতির কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সাধারণভাবে যার চাপ পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর৷''
প্রসঙ্গত, টিআই বাংলাদেশের দুর্নীতি জরিপে সাতটি জরিপ সূত্র ব্যবহার করেছে৷ জরিপগুলো হলো – বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট ২০১৪, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম এক্সিউকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে ২০১৫, বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশন ট্রান্সপরমেশন ইনডেক্স ২০১৬, ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট ‘রুল অব ল' ইনডেক্স ২০১৫, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি রিস্ক গাইড ২০১৫, ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস ২০১৫ এবং গ্লোবাল ইনসাইট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস ২০১৪-এর রিপোর্ট৷

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here