সম্ভবত ISI-কে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পাঠানকোটে জঙ্গি হামলা, অনুমান গোয়েন্দাদের
ওয়েব
ডেস্ক: প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মী রঞ্জিতের ISI-কে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই
কী পাঠানকোটে হামলা চালাল জঙ্গিরা? আজকের ঘটনায় এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন
না গোয়েন্দারা। পঞ্জাবের ভাতিন্ডায় পোস্টেড ছিলেন রঞ্জিত। মূলত গ্রাউন্ড
ইঞ্জিনিয়র। একই সঙ্গে লিডিং এয়ারক্র্যাফটসম্যান। সুখোই, মিরাজের মতো
অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের খুঁটিনাটি জানতেন রঞ্জিত।
ফেসবুকে ISI এর এক মহিলা চরের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল।
দামিনী ম্যাকনট নামের ওই মহিলাকে বায়ুসেনার ট্যাকটিকাল অ্যান্ড কমব্যাট
ডেপ্লয়মেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট সংক্রান্ত বহু তথ্য রঞ্জিত পাচার করেন।
বায়ুসেনার গোয়ালিয়র স্কোয়াড্রন ROYAL এয়ারফোর্সের সঙ্গে যে যৌথ মহড়া
করেছিল, সেই তথ্যও রঞ্জিত ISI-কে দিয়েছিল বলে দাবি দিল্লি পুলিসের।
ট্যাকটিকাল অ্যান্ড কমব্যাট ডেপ্লয়মেন্ট এস্টাব্লিশমেন্টের মধ্যে পাঠানকোটও
পড়ে। তাই পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটির তথ্য রঞ্জিতের মাধ্যমেই ISI-এর কাছে
পৌঁছেছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। তাদের বক্তব্য, সুনির্দিষ্ট তথ্য না
থাকলে এত তাড়াতাড়ি বায়ুসেনা ঘাঁটির মতো কড়া নিরাপত্তায় মোড়া জায়গায়
হামলা চালানো সম্ভব নয়। অনুমান যদি সত্যি হয়, তাহলে গোয়ালিয়র আর ভাতিন্ডা
স্কোয়াড্রনও নিরাপদ নয়। বলছেন গোয়েন্দারা।
টার্গেট ছিল টেকনিক্যাল অপারেশনাল এরিয়ায় যাওয়া। সেই
সব জায়গায় সুখোই মিরাজের মতো আধুনিক বিমানগুলি থাকে। সেখানেই প্রাথমিক
অনুমান। অ্যালার্ট ছিল বলে NSG মোতায়েন। গরুড় কমান্ডো ফোর্স ছিল। তাদের
বাধায় টেকনিক্যাল এরিয়ায় ঢুকতে পারেনি। ISI কে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কী
হানা? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন