আইএসআইএল'র সঙ্গে লড়তে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ১৫ হাজার ধর্মসেনা - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

আইএসআইএল'র সঙ্গে লড়তে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ১৫ হাজার ধর্মসেনা

আইএসআইএল'র সঙ্গে লড়তে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ১৫ হাজার ধর্মসেনা

আইএসআইএল'র সঙ্গে লড়তে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ১৫ হাজার ধর্মসেনা
 (রেডিও তেহরান): আইএসআইএল’র মোকাবিলা করতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে ১৫ হাজার ধর্মসেনাকে। আইএসআইএল ২০২০ সালের মধ্যে ভারতের উত্তর প্রদেশের দখল নেয়ার আশঙ্কায় তাদের ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে হিন্দু স্বাভিমান গোষ্ঠী। সংগঠনটির দাবি, এ পর্যন্ত ১৫ হাজার যোদ্ধা তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং তারা ধর্ম রক্ষার জন্য জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, উত্তর প্রদেশে ওই সংগঠনে শামিল করা হয়েছে ৮ বছর বয়সী শিশু সেনাদেরও। এদের সকলকে তলোয়ার এবং বন্দুক চালানো শেখানো হচ্ছে। সংগঠনের সদর দফতর গাজিয়াবাদের ডাসনার একটি মন্দির। এখানে অবশ্য কোনো মুসলমানের প্রবেশাধিকার নেই। মন্দিরের বাইরে বোর্ডে লিখে রাখা হয়েছে এখানে মুসলিমদের প্রবেশ নিষেধ। এর নেতারা দাবি করেছেন প্রতি সপ্তাহেই সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকাশ্য ট্রেনিং ক্যাম্প ছাড়াও তাদের গুপ্ত ক্যাম্পও রয়েছে। তাদের সঙ্গে পুরুষ-মহিলা এবং যুবক-যুবতীরাও রয়েছেন। এরা সকলেই শত্রুদের যেকোনো হামলার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তৈরি করা হচ্ছে।


হিন্দু স্বাভিমান সেনার নেতা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দুর্গা বাহিনীর সদস্য চেতন শর্মা জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য খুব স্পষ্ট, যুবকদের এতে যুক্ত করা। পশ্চিম উত্তর প্রদেশে আমাদের ৫০ টি ট্রেনিং ক্যাম্প রয়েছে। আমাদের সদস্যদের বয়স ৮ বছর থেকে ৩০ বছর। প্রথম ৬ মাস তাদের মানসিকভাবে শিক্ষিত করা হয় এবং তাদের গীতার শ্লোক পড়ানো হয়। হিন্দুদের মৃত্যুকে ভয় পাওয়া উচিত নয়, কারণ তাদের পুনর্জন্ম আছে। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বাচ্চারা নির্ভীক।’

৮ বছরের এক বালিকা জানায়, ‘আমি লড়াই করা এজন্য শিখছি যে, আমার মা এবং বোনকে হুমকি দেয়া হয়েছে। আমি তাদের এবং নিজেকে রক্ষা করতে চাই।’ প্রশিক্ষণে শামিল ৯ বছরের একটি বাচ্চাও একই কথা জানিয়েছে।

মিডিয়া সূত্রে প্রকাশ, ভারতীয় সেনা বাহিনীর সাবেক সেনা জওয়ান পরমিন্দর আর্য মোদি নগরের রোড়ি গ্রামে ধর্ম সেনার ট্রেনিং ক্যাম্প চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা দেশে চলা সন্ত্রাসী তৎপরতা সম্পর্কে যুবকদের ওয়াকিবহাল করাচ্ছি। পাঠানকোটের মতো হামলার বিষয়েও যুবকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। হিন্দুত্বের জন্য বিপদস্বরূপ ইসলামী মৌলবাদ সম্পর্কে তারা বুঝতে পারছে।’

তিনি চাকরিরত সময়ের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমার পোস্টিং কাশ্মিরে ছিল। দেশের অর্ধেক সেনা কাশ্মিরে থাকা সত্ত্বেও কাশ্মিরে পণ্ডিতদের উচ্ছেদ কেউ বন্ধ করতে পারেনি। এটা এমনই বিষয় যা আমাদের নিজেদেরই স্বয়ং করতে হবে।’

দাসানের ওই মন্দিরে রয়েছেন স্বামী নরসিংহনন্দ সরস্বতী ওরফে দীপক ত্যাগী। তার মতে, আইএসআইএল ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে আক্রমণ করবে। এবং এজন্য ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে লড়তে হিন্দুদের প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি। মুসলিমদের বিরুদ্ধে গালি এবং অপবাদ দিয়ে বলেন, ‘দেশে থাকা মুসলিমরা ওই সময় আইএসআইএলকে সমর্থন করবে, এজন্য হিন্দুদের এক হওয়া জরুরি। আমাদের এই রাক্ষসদের হাত থেকে নিজেদের দেশ, বোন-কন্যাদের রক্ষা করতে হবে। যদি আমরা এখনই ঐক্যবদ্ধ না হই তাহলে অনেক দেরী হয়ে যাবে।’

হিন্দুত্ববাদীদের উগ্র তৎপরতায় স্বভাবতই সংশ্লিষ্ট এলাকার মুসলিমদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। হিন্দি মিডিয়া তেহলকা জানিয়েছে, হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে চালানো শারীরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যুবকদের শেখানো হচ্ছে বিশ্বের যাবতীয় সমস্যার মূলে রয়েছে ইসলাম। এবং যারা একে বিশ্বাস করে তারা রাক্ষস বা দানব।

‘হিন্দুদের কল্যাণের নামে গড়া হিন্দু স্বাভিমান সংগঠনের উদ্দেশ্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করা। গেরুয়া করিডর নামে পরিচিত পশ্চিম উত্তর প্রদেশে গাজিয়াবাদ থেকে সাহরানপুর পর্যন্ত এরা সক্রিয় রয়েছে’ বলেও তেহলকা জানিয়েছে।#

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here