ব্যাগে গরুর গোশত থাকার সন্দেহে ভারতে মুসলিম দম্পতিকে মারধর
উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নির্যাতনের শিকার মুসলিম দম্পতি ( ছবি: এবিপিলাইভ.ইন)
(রেডিও তেহরান): ভারতের
মধ্যপ্রদেশে এক মুসলিম দম্পতির ব্যাগে গরুর গোশত থাকার সন্দেহ করে তাদের
মারধর করেছে হিন্দু গো-রক্ষা সমিতির কর্মীরা। ওই দম্পতি কুশীনগর এক্সপ্রেস
ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন। খিরখিয়া স্টেশনে নামতেই ওই দম্পতির পাশাপাশি আরো সাত
জনের ব্যাগ তল্লাশি করে গো-রক্ষা সমিতির সদস্যরা।
(শুক্রবার) বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রে
প্রকাশ, মুহাম্মদ হুসেন এবং তার স্ত্রী নাসিমা বানু হায়দ্রাবাদে তার এক
আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ির পথে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
পুলিশ এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিন্দু গো-রক্ষা সমিতির দুই কর্মী
হেমন্ত রাজপুত এবং সন্তোষকে গ্রেফতার করেছে। রেল পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৫৩
ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে।
গোরক্ষা সমিতির সদস্যদের হাতে নিগ্রহের
শিকার মুহাম্মদ হুসেন জানান, ‘হায়দ্রাবাদের তার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে ফেরার
পথে তাদের ব্যাগ তল্লাশির পাশাপাশি মারধর করা হয়। তার স্ত্রী নাসীমা বানু
তার ব্যাগ তল্লাশিতে বাধা দিলে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়া হয়। পরে তার
স্ত্রীকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেন এক পুলিশ কন্সটেবল।’
আক্রান্ত মুহাম্মদ হুসেন বলেন, ‘আমরা
ভারতে বসবাস করি এবং জানি কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক। আমরা কেবল ছাগলের গোশত
খাই। যে কালো ব্যাগে গোশত ছিল সেটি আমাদের নয়।’
পুলিশ বলছে, গোরক্ষা সমিতির লোকেরা দাবি করেন যে, ব্যাগে গরুর গোশত রয়েছে। যদিও পরীক্ষা করে দেখা যায় সেগুলো মহিষের গোশত।
গত বুধবার মধ্যপ্রদেশের হরদা জেলায়
খিরখিয়া স্টেশনে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। আজ (শুক্রবার) বিভিন্ন গণমাধ্যমে
এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
এর আগে গরুর গোশত খাওয়া এবং তা বাসায় রাখার মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে উত্তর প্রদেশের দাদরির বাসিন্দা মুহাম্মদ আখলাক নামে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। কেনো কোনো জায়গায় গরু জবাই করা হয়েছে বলে মিথ্যা গুজব রটিয়ে অথবা গরুর গোশত ফেলে রেখে উত্তেজনার সৃষ্টি করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/১
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন