পাঠানকোট হামলা: এসপি সালবিন্দর সিংকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেল এনআইএ
(রেডিও তেহরান): পাঞ্জাবের
পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার তদন্তে নেমে গুরুদাসপুরের পুলিশ
সুপার সালবিন্দর সিংকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেল জাতীয়
তদন্ত সংস্থা এনআইএ। এনআইএ-র একটি দল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় সালবিন্দর সিংকে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাসায় যায়। মধ্যরাতের পর ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে
এনআইএ কর্মকর্তারা অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন।
সালবিন্দর
সিংয়ের দাবি, তিনি নতুন বছর উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর রাতে সাদা পোশাকে এক
পীরের দরগায় গিয়েছিলেন। তিনি, বন্ধু রাজেশ বর্মা এবং রাঁধুনি মদন লাল যখন
পাঠানকোট থেকে গুরুদাসপুরে আসছিলেন তখন সেনাবাহিনীর পোশাক পরা ৪/৫ জন
সসস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের অপহরণ করে। যদিও যেভাবে ওই এসপিকে জোরালো কোনো
আঘাত করা ছাড়াই সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দেয় তাতেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অপহরণ
প্রসঙ্গে মিডিয়াতে দেয়া সাক্ষাৎকার এবং এনআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া তথ্যের
মধ্যে অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহের আওতায় রয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তার সঙ্গে
অপহৃত হওয়া তার রাঁধুনি এবং এক বন্ধুর বিবৃতির মধ্যেও মিল না থাকায় ধোঁয়াশা
সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা সালবিন্দর সিং এবং তার বন্ধু রাজেশ বর্মাকে
গতকাল রাতে এনআইএ-র পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ এনআইএ-র পক্ষ
থেকে ওই দুইজনকে যেখানে তারা অপহৃত হয়েছিলেন সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
পুলিশের
ওই কর্মকর্তার দাবি, ‘সন্ত্রাসীরা তাদের গাড়ি ছিনতাই করার পর তাদের
হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে দেয়া হয়। ওরা বুঝতেই পারেনি আমি একজন পুলিশ
কর্মকর্তা। ওরা আমাকে হুমকি দিয়েছিল কাউকে সতর্ক করার চেষ্টা করলে আমাকে
অনেক বড় মূল্য দিতে হবে। আমি যা বলেছি তাতে কোনো ধোঁয়াশা নেই। আমি বেঁচে
আছি, সেটাই কি আমার অপরাধ? আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি, তাহলে আমাকে ফাঁসি
দেয়া হোক।’
তিনি
বলেন, আমি নিজেই আক্রান্ত, সন্দেহজনক নই। আমারও মারাত্মক আঘাত লেগেছে।
কোনপ্রকারে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। সাধারণ একজন শিখ মনে করেই তাকে
সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দিয়েছে।
তার
দাবি, সন্ত্রাসীরা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গাড়ি থেকে ফেলে দিলে বাধন খুলে
তাদের কবল থেকে কোনোপ্রকারে সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং বিষয়টি উচ্চপদস্থ
কর্মকর্তাদের জানান। যদিও তারা কোনো তৎপরতা না দেখানোর ফলেই সন্ত্রাসীরা
বিমানঘাঁটিতে হামলা করতে পেরেছে বলে অভিযোগ করেছেন সালবিন্দর সিং।
তদন্তকারী এনআইএ কর্মকর্তারা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/জিএআর/৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন