মন্দির নির্মাণের অজুহাতে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে: বুখারী

মন্দির নির্মাণের অজুহাতে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে: বুখারী

 (রেডিও তেহরান): ভারতের ঐতিহাসিক দিল্লির জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইয়্যেদ আহমদ বুখারী অযোধ্যায় বাবরী মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের তৎপরতার নিন্দা করেছেন। তিনি বিজেপি’র সিনিয়র নেতা সুব্রামনিয়াম স্বামীর নাম না করে বলেন, ‘অযোধ্যায় বাবরী মসজিদের জায়গায় জোর করে মন্দির নির্মাণের কথা যারা বলছেন তাদের বিচার ব্যবস্থার উপরে কোনো বিশ্বাস নেই। একে অজুহাত বানিয়ে তারা দেশে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’

মাওলানা বুখারী এক বিবৃতিতে বলেছেন, যেসব লোক বাবরী মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের কথা বলছেন, তাদের বোঝা উচিত, মন্দির নির্মাণ তো দূরের কথা, সেখানে তারা একটি ইটও রাখতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘যখন মুসলিমরা বাবরী মসজিদ সংক্রান্ত মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে, তখন মন্দির নির্মাণে আগ্রহীদের এত তাড়াহুড়ো কিসের?’

মাওলানা বুখারী বলেন, ‘মন্দির নির্মাণের জন্য তাড়াহুড়ো করায় একটা বিষয় প্রমাণিত হয়েছে তাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই যে বাবরী মসজিদের জায়গায় রামের জন্মভূমি। এছাড়া তাদের কাছে এমন কোনো কংক্রিট প্রমাণও নেই যে মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।’ মন্দির নির্মাণের কথা বলে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি বিজেপির সিনিয়র নেতা সুব্রামনিয়াম স্বামী দাবি করে বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বিতর্কিত স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের ইস্যু ২০১৬ সালের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। আমি ওয়াকফ বোর্ড এবং মুসলিম নেতাদের সঙ্গে এই বিষয়টি বোঝাতে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলব।’

সুব্রামনিয়াম স্বামী সম্প্রতি অযোধ্যায় রাম মন্দির ছাড়াও মথুরায় কৃষ্ণ মন্দির এবং কাশীতে বিশ্বনাথ মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গও তুলেছেন। সম্প্রতি, রাম মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারের আয়োজনও করেন তিনি। মুসলিমদের উদ্দেশ্যে স্বামীর দাবি, ‘আমরা মুসলিমদের কাছে এক প্রস্তাব দিচ্ছি।

আমাদের তিনটি মন্দির দিয়ে দিন এবং আপনারা ৩৯ হাজার ৯৯৭ টি মসজিদ নিজেদের কাছে রেখে দিন।’ রাম মন্দির, কৃষ্ণ মন্দির এবং বিশ্বনাথ মন্দির নিয়ে কোনো সমঝোতা হতে পারে না বলেও জানান তিনি। রাম মন্দির নির্মাণ হওয়ার পরেই অন্যটির জন্য পথ খুলে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।#

রেডিও তেহরান/এমএএইচ/জিএআর/২০