নির্বাচনে ‘মিম’ হেরে গেলে গরুর গোশত খেতে পারবেন না: ওয়াইসি
(রেডিও তেহরান): ভারতে
গরুর গোশত নিষিদ্ধ করা নিয়ে যখন নানা তৎপরতা চলছে তখন হায়দ্রাবাদ থেকে
নির্বাচিত লোকসভার সদস্য ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এ নিয়ে নয়া মন্তব্য
করেছেন।
অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন
বা ‘মিম’ প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ‘যদি নির্বাচনে ‘মিম’ হেরে যায়
তাহলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে গরুর গোশত খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।’ ওয়াইসি
গ্রেটার হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা জিএইচএমসি নির্বাচন উপলক্ষে
সোমবার হায়দ্রাবাদে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন।
ওয়াইসি বলেন, ‘আমি আপনাদের ভয় দেখাতে
চাচ্ছি না। কিন্তু এটা সত্য যে, যদি আমরা কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরে যাই
তাহলে এখানে গরুর গোশত খেতে পারবেন না। আমাদের পরিবর্তে অন্য কেউ যদি
ক্ষমতায় আসে তাহলে হায়দ্রাবাদে বিশ্বাসের নাম করে গরুর গোশতে নিষেধাজ্ঞা
চালু হবে। এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গরীব
মানুষরা। কারণ, অত্যাধিক মূল্যের জন্য তারা খাসির গোশত খেতে পারবে না। গরুর
গোশতের ব্যবসায় সঙ্গে জড়িত মানুষদেরও পথে বসতে হবে।’
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি তার ভাষণে মহারাষ্ট্রে
গরুর গোশত নিষিদ্ধ হওয়ায় বিজেপি এবং শিবসেনার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন,
‘ওরা মহারাষ্ট্রে গরুর গোশতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু যেদিন থেকে
মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তখন থেকে গরুর গোশত রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার
সূত্র মতে, গরুর গোশত রফতানি ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিষয়ে মোদি কী
করছেন? মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার বলদ জবাই বন্ধ করেও আইন এনেছে। সেখানে বলদ
বা ষাঁড় জবাইও করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘যেভাবে মুম্বাইতে,
মহারাষ্ট্রে গরীবদের পেটে লাথি মেরে, যারা বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা করছে,
তাদের বঞ্চিত করা করা হয়েছে ওই রকমই এখানে করা হবে।’ তিনি গরুর গোশত
নিষিদ্ধ করার বিষয়টি একনাগাড়ে বিভিন্ন সমাবেশে তুলে ধরে ভোটারদের দৃষ্টি
আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন।
২০০৯ সালের নির্বাচনে মিম ১৫০ টি আসনের
মধ্যে ৪৩ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সেই সময় মাত্র ৫ টি
আসনে জিতেছিল। কংগ্রেস ৫২ টি, টিডিপি ৪৫ টি, পিআরপি ১ টি এবং অন্যান্যরা ৪
টি আসন পেয়েছিল। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি জিএইচএমসি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফল
ঘোষণা হবে ৫ ফেব্রুয়ারি।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/২৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন