মুম্বাই:
মুম্বাইয়ে বাসা ভাড়া পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। বহু চেষ্টা তদবির করে
শেষমেশ একটা ফ্ল্যাট মিলল এক এপার্টমেন্টে। এবার হাফ ছেড়ে বাঁচলেন তরুণ
পেশাজীবী নারী মিসবাহ কাদরী। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহও পেরোলো না, তার জন্য
দুঃসবাদ। ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু কারণ কী?
কারণ তেমন কিছু নয়। তিনি মুসলিম- এই যা। ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষ বলে দিল, ‘আমরা
মুসলিমদের ফ্ল্যাট ভাড়া দেই না!’
মুম্বাইয়ের ওদালায় সাংহাই হেইটস নামের এক এপার্টমেন্টে এ ঘটনার শিকার
হয়েছেন মিসবাহ। তাকে ফ্ল্যাটটি পেতে সহায়তা করেছিলেন দুজন হিন্দু নারী।
ফ্ল্যাটে উঠার আগে ওই মহিলারা তাকে বলেছিলেন যে, হাউজিং সোসাইটিগুলো
মুসলিমদেরকে ভাড়া দিতে চায় না।
ফ্ল্যাটে উঠার সময় মিহবাহকে একটি ফরম পূরণ করতে দেয়া হয় যেখানে লেখা ছিল
মুসলিম হওয়ার কারণে যদি তিনি প্রতিবেশীদের দ্বারা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার
হন, তাহলে কর্তৃপক্ষ তার জন্য দায়ী থাকবে না।
মিসবাহ এ ধরনের লেখাকে আপত্তিকর হিসেবে মনে করলেও আগের বাসা ছেড়ে দেয়ায়
কোনো উপায় না দেখে এই শর্তেই ফরমে সাইন করেন।
কিন্তু এক সপ্তাহ পরেই কর্তৃপক্ষই তাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেয়। তার পক্ষ হয়ে
কথা বলায় তার বন্ধুদেরও বাসা ছাড়তে বলা হয়।
মিসবাহ জানান, তিনি এখন একজন মুসলিম মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় একটি ফ্ল্যাটে
উঠেছেন।
তবে হাউজিং কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘আমরা মুসলিমদেরও
থাকতে দেই। এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীকে জিজ্ঞেস করা উচিত।’
মিসবাহের এই ঘটনায় ন্যাশনাল মাইনোরিটি কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন
আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী শেহজাদ পুনাওয়ালা।
আগের এরকম একটি অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মিসবাহ জানান, একবার তাকে এক
মধ্যস্থতাকারী জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তিনি কি বোরকা পরেন? উত্তরে ‘না’ বলার
পর তিনি তাকে ফ্ল্যাট খুঁজে দিতে সম্মত হন এবং বলে দেন যেন তার মুসলিম
পরিচয় কেউ ধরতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে জিশান আলী খান নামের এক এমবি ডিগ্রিধারী মুসলিম যুবককে
তার মুসলিম পরিচয়ের কারণে চাকরি দেয়া হবে না বলে একটি মুম্বাই ভিত্তিক
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় ভারতে সংখ্যালঘুদের অবস্থা
নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
- See more at:
http://amarbangladesh-online.com/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%AD/#.VWXD91KSWXY
আমরা মুসলিমদের ফ্ল্যাট ভাড়া দেই না
মুম্বাই: মুম্বাইয়ে বাসা ভাড়া পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। বহু চেষ্টা তদবির করে শেষমেশ একটা ফ্ল্যাট মিলল এক এপার্টমেন্টে। এবার হাফ ছেড়ে বাঁচলেন তরুণ পেশাজীবী নারী মিসবাহ কাদরী। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহও পেরোলো না, তার জন্য দুঃসবাদ। ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু কারণ কী? কারণ তেমন কিছু নয়। তিনি মুসলিম- এই যা। ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষ বলে দিল, ‘আমরা মুসলিমদের ফ্ল্যাট ভাড়া দেই না!’ মুম্বাইয়ের ওদালায় সাংহাই হেইটস নামের এক এপার্টমেন্টে এ ঘটনার শিকার হয়েছেন মিসবাহ। তাকে ফ্ল্যাটটি পেতে সহায়তা করেছিলেন দুজন হিন্দু নারী। ফ্ল্যাটে উঠার আগে ওই মহিলারা তাকে বলেছিলেন যে, হাউজিং সোসাইটিগুলো মুসলিমদেরকে ভাড়া দিতে চায় না। ফ্ল্যাটে উঠার সময় মিহবাহকে একটি ফরম পূরণ করতে দেয়া হয় যেখানে লেখা ছিল মুসলিম হওয়ার কারণে যদি তিনি প্রতিবেশীদের দ্বারা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হন, তাহলে কর্তৃপক্ষ তার জন্য দায়ী থাকবে না। মিসবাহ এ ধরনের লেখাকে আপত্তিকর হিসেবে মনে করলেও আগের বাসা ছেড়ে দেয়ায় কোনো উপায় না দেখে এই শর্তেই ফরমে সাইন করেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পরেই কর্তৃপক্ষই তাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেয়। তার পক্ষ হয়ে কথা বলায় তার বন্ধুদেরও বাসা ছাড়তে বলা হয়। মিসবাহ জানান, তিনি এখন একজন মুসলিম মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন। তবে হাউজিং কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘আমরা মুসলিমদেরও থাকতে দেই। এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীকে জিজ্ঞেস করা উচিত।’ মিসবাহের এই ঘটনায় ন্যাশনাল মাইনোরিটি কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী শেহজাদ পুনাওয়ালা। আগের এরকম একটি অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মিসবাহ জানান, একবার তাকে এক মধ্যস্থতাকারী জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তিনি কি বোরকা পরেন? উত্তরে ‘না’ বলার পর তিনি তাকে ফ্ল্যাট খুঁজে দিতে সম্মত হন এবং বলে দেন যেন তার মুসলিম পরিচয় কেউ ধরতে পারে। এর আগে গত সপ্তাহে জিশান আলী খান নামের এক এমবি ডিগ্রিধারী মুসলিম যুবককে তার মুসলিম পরিচয়ের কারণে চাকরি দেয়া হবে না বলে একটি মুম্বাই ভিত্তিক কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় ভারতে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
আমরা মুসলিমদের ফ্ল্যাট ভাড়া দেই না
মুম্বাই: মুম্বাইয়ে বাসা ভাড়া পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। বহু চেষ্টা তদবির করে শেষমেশ একটা ফ্ল্যাট মিলল এক এপার্টমেন্টে। এবার হাফ ছেড়ে বাঁচলেন তরুণ পেশাজীবী নারী মিসবাহ কাদরী। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহও পেরোলো না, তার জন্য দুঃসবাদ। ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু কারণ কী? কারণ তেমন কিছু নয়। তিনি মুসলিম- এই যা। ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষ বলে দিল, ‘আমরা মুসলিমদের ফ্ল্যাট ভাড়া দেই না!’ মুম্বাইয়ের ওদালায় সাংহাই হেইটস নামের এক এপার্টমেন্টে এ ঘটনার শিকার হয়েছেন মিসবাহ। তাকে ফ্ল্যাটটি পেতে সহায়তা করেছিলেন দুজন হিন্দু নারী। ফ্ল্যাটে উঠার আগে ওই মহিলারা তাকে বলেছিলেন যে, হাউজিং সোসাইটিগুলো মুসলিমদেরকে ভাড়া দিতে চায় না। ফ্ল্যাটে উঠার সময় মিহবাহকে একটি ফরম পূরণ করতে দেয়া হয় যেখানে লেখা ছিল মুসলিম হওয়ার কারণে যদি তিনি প্রতিবেশীদের দ্বারা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হন, তাহলে কর্তৃপক্ষ তার জন্য দায়ী থাকবে না। মিসবাহ এ ধরনের লেখাকে আপত্তিকর হিসেবে মনে করলেও আগের বাসা ছেড়ে দেয়ায় কোনো উপায় না দেখে এই শর্তেই ফরমে সাইন করেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পরেই কর্তৃপক্ষই তাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেয়। তার পক্ষ হয়ে কথা বলায় তার বন্ধুদেরও বাসা ছাড়তে বলা হয়। মিসবাহ জানান, তিনি এখন একজন মুসলিম মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন। তবে হাউজিং কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘আমরা মুসলিমদেরও থাকতে দেই। এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীকে জিজ্ঞেস করা উচিত।’ মিসবাহের এই ঘটনায় ন্যাশনাল মাইনোরিটি কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী শেহজাদ পুনাওয়ালা। আগের এরকম একটি অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মিসবাহ জানান, একবার তাকে এক মধ্যস্থতাকারী জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তিনি কি বোরকা পরেন? উত্তরে ‘না’ বলার পর তিনি তাকে ফ্ল্যাট খুঁজে দিতে সম্মত হন এবং বলে দেন যেন তার মুসলিম পরিচয় কেউ ধরতে পারে। এর আগে গত সপ্তাহে জিশান আলী খান নামের এক এমবি ডিগ্রিধারী মুসলিম যুবককে তার মুসলিম পরিচয়ের কারণে চাকরি দেয়া হবে না বলে একটি মুম্বাই ভিত্তিক কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় ভারতে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন