সারা ভারতে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করা হবে না: বেঙ্কইয়া নাইডু
(রেডিও তেহরান): ভারতজুড়ে গরুর
গোশত নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন কেন্দ্রীয় শহর উন্নয়ন
মন্ত্রী ও বিজেপি’র সিনিয়র নেতা বেঙ্কইয়া নাইডু।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘দেশে গরুর গোশত
নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা এনডিএ সরকারের নেই। তবে রাজ্য সরকার চাইলে
স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গরুর গোশত নিষিদ্ধ করা
নিয়ে বিজেপি’র মধ্যে তীব্র মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি হিন্দি গণমাধ্যম ‘আজতক’ আয়োজিত ‘মন্থন’ নামক
অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন, ‘যদি কেউ গরুর গোশত না খেতে পেয়ে মারা যায়, তাহলে
তিনি পাকিস্তানে বা আরব দেশে চলে যান। এদেশে তার কোনো স্থান নেই। ভারতে
গরুর গোশত পাওয়া যাবে না।’
নাকভি’র এ ধরণের মন্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরেই বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমি অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা
এবং আমি গরুর গোশত খাই। আমাকে এ থেকে কেউ বাধা দিতে পারে? এজন্য আমাদের
কারো অভ্যাস নিয়ে কোনো কথা বলা উচিত নয়।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভির
বিতর্কিত মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। অর্থমন্ত্রী অরুণ
জেটলি আগেই বলেছেন, ‘দায়দায়িত্ব বুঝে সবাই কথা বলবেন, এটাই স্বাভাবিক।
প্রধানমন্ত্রীও এটা বারবার বলেছেন।’
বিজেপি’র সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট অমিত
শাহও এখন বলছেন, তাঁর দল যেসব রাজ্যে ক্ষমতায়, সেসব রাজ্যে গরুর গোশত
নিষিদ্ধ করার জন্য চাপাচাপি করবে না। এক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষের
চিন্তাভাবনা মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
তিনি বলেন, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে,
সেখানে আমরা গরুর গোশত নিষিদ্ধ করার আগে সেখানকার মানুষ কী চান, সেটা খতিয়ে
দেখব। আমরা দেশের সর্বত্র গরুর গোশত নিষিদ্ধ করব, এমন কথা বলিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভির বিবৃতিকে তিনি তার ব্যক্তিগত মত
বলে মন্তব্য করেছেন।
এতদিন দেশজুড়ে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করার যে
জল্পনা চলছিল তার অবসান ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কইয়া নাইডু এবং বিজেপি
প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ জানালেন এ রকম কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। এই
ইস্যুতে বিভিন্নমহল থেকে সমালোচনার জেরে এবং বিজেপি’র মন্ত্রীদের মধ্যে
মতবিরোধের জেরে বিজেপি আপাতত এই ইস্যু থেকে পিছিয়ে আসল বলে মনে করা হচ্ছে।#
রেডিও তেহরান/এমএএইচ/এআর/২৯
242
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন