উৎপাদনের তুলনায় সংগ্রহ কম হওয়ায়
অসন্তোষ কৃষকেরা
খাদেমুল মোরসালিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ চলতি বোরো মৌসুমে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে ২২৭ মেট্রিক টন ধান এবং চালকল মালিকদের কাছ থেকে ৫৯৯ মেট্রিক টন চাল কেনা হবে বলে উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
কিন্তু উপজেলায় যে পরিমান ধান উৎপাদন হয়েছে সে তুলনায় সরকারের এই ধান চাল সংগ্রহের পরিমান খুবই কম বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার অধিকাংশ কৃষকেরা। ্এছাড়া মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্বে প্রকৃত কৃষকেরা খাদ্য গুদামে কতটুকু ধান চাল দিতে পারবেন তা নিয়েও আছে সংশয়।
কৃষকের সাথে কথা বলে ও উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার প্রায় ৬হাজার ৬শ ৩১মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। কিন্তু সরকার এখান থেকে ক্রয় করবে ২২৭ মেট্রিক টন ধান। কৃষকের মতে সরাসরি সরকারী খাদ্য গুদামে ধান দিতে পারলে তাদের লাভ হতো। কারণ সরকার মণ প্রতি ৮৮০টাকা দরে ধান কিনলেও ধান ব্যবসায়ীরা কিনছেন ৫৫০ টাকা থেকে ৫৮০টাকা দরে। কিন্তু সরকারের ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কম হওয়ায় লোকসানেই ব্যবসায়ীদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকেরা। বাহাগিলী ইউনিয়নের কৃষক দুলাল হোসেন জানান,সরকারী ভাবে প্রতিবার যে পরিমান ধান কেনা হয় তা আমরা জানার আগেই সংগ্রহ অভিযান শেষ হয়ে যায়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যাান মেম্বররা কৃষকদের আগে ধান চাল সংগ্রহের খবর জানতে পেয়ে খাদ্য গুদামে ধান দিয়ে আসেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুত্রে জানা গেছে,সরকারী ভাবে ধান ক্রয়ের কার্যক্রম ১৭মে থেকে শুরুর সিদ্ধান্ত হলেও এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহ শুরু হয়নি। এখন ১৬ টি বৈধ চাল কল মালিকদের সাথে চুক্তি সম্পাদনের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে আনুষ্ঠানিক ভাবে ধান চাল সংগ্রহ শুরু করা হবে।
এ ব্যাপারে
“উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান এবার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২২টাকা কেজি দরে ধান এবং চাল কল মালিকদের কাছ থেকে ৩২টাকা কেজি দরে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে উপজেলার বৈধ ১৬টি চাল কল মালিকদের সাথে চুক্তি সম্পাদনের কাজ চলছে। তাছাড়া আমি নিজেই প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সময় উপস্থিত থাকবো”।
নিতাই ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা
কিশোরগঞ্জ,(নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অংশগ্রহন মূলক পরিকল্পনা ও উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। শনিবার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ
চত্বরে বাজেট উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম শাহিন ১কোটি ৫৯লাখ ৮২হাজার ৭শ ১৭ টাকার বাজেট ঘোষনা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম,এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রোগ্রাম’র (এলজিএসপি-২) জেলা ফ্যাসিলেটর আবু হেনা মোঃ মোস্তফা কামাল ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবু সুফিয়ানসহ সকল ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যগণ প্রমূখ।
এলজিডির কর্তাব্যক্তিদের অনিয়ম- দুর্নীতি
একটি উন্নয়ন প্রকল্পে ৫০ জন প্রকৃত দুস্থ বিধাবা মহিলার
চাকুরী অনিশ্চিত
খাদেমুল মোরসালিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ কিশোরগঞ্জ উপজেলা এলজিডির কর্তাব্যক্তিদের অনিয়ম- দুর্নীতির কারণে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে ৫০ জন প্রকৃত দুস্থ বিধাবা মহিলার চাকুরী অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
রংপুর বিভাগ গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি, গাড়াগ্রাম, মাগুড়া, বাহাগিলি ও কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৫০ জন দুস্থ বিধাবা মহিলা নিয়োগের জন্য যাচাই-বাছাই করা হয় নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে। গত ১২ এপ্রিল রণচন্ডি ইউনিয়ন, ১৩ এপ্রিল মাগুড়া ও কিশোরগঞ্জ ইউনয়ন ও ১৫ এপ্রিল বাহাগিলি ইউনিয়নে কোন প্রকার ঢোল শহরত ও মাইকিং ছাড়াই ওই প্রকল্পে মহিলা নিয়োগের যাছাই-বাছাই করা হয়। কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রচার না করলেও খেটে খাওয়া চাকুরী প্রত্যাশিরা যাছাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে। অনুর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়োসীদের এ প্রকল্পে নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকেই ভুয়া ও জাল আইডি নিয়ে যাছাই-বাছাই অংশগ্রহন করে। এসব মহিলাদের মধ্যে থেকে তাৎক্ষনিকভাবে লটারী করে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ জন শ্রমিক নিয়োগের করার কথা। এদিকে কতিপয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানরা অনেক মহিলার কাছে মোটা অংকের টাকা নেয়ায় স্পটে হট্টগোল হওয়ার আশঙ্কায় লটারী হওয়া সত্বেও এলজিডির কর্তাব্যক্তিরা ফলাফল না দিয়ে তা ঝুলে রাখেন। এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউপির সাবেক সদস্য মোঃ মমিনুর রহমান জানান, বাছাইকৃত ৬নং ওয়ার্ডে ৪জন বিধবা মহিলা শ্রমিকের মধ্যে
৩জন শ্রমিকের আইডি কার্ড ভুয়া। নির্বাচন কমিশনে ভুয়া কার্ডগুলো যাচাই করে প্রকৃত কার্ডধারীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে গত ২০ এপ্রিল’২০১৩ তারিখে লিখিত অভিযোগ করেছি। এখানে প্রকৃত বিধবা মহিলা শ্রমিকের কাছ থেকে ঘুষ না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ফের ওই ওয়ার্ডে যাছাই-বাছাইয়ের ঘোষনা দিয়েছে। এ ব্যাপারে এলজিইডির কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কেরামত আলী নান্নুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা যথাযথ নিয়মে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ করব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন