ভারতের অস্ত্র আমদানি - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ৩০ মে, ২০১৫

ভারতের অস্ত্র আমদানি


ভারত

ভারতের অস্ত্র আমদানি-dw.de

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন তিন দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন৷ এখন প্রশ্ন হলো: ভারত বছরের পর বছর ধরে অস্ত্র আমদানি করে চলেছে কেন, আর এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা বেড়েছে কিনা৷
ফন ডেয়ার লাইয়েন যখন ভারত যাত্রা করছেন, ঠিক তখনই ভারত ফ্রান্সের কাছ থেকে ‘রাফাল' জঙ্গিজেট কেনার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শেষ করতে চলেছে৷ অপরদিকে ভারত স্বদেশেই আরো ছ'টি ডুবোজাহাজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার জন্য জলের তলায় প্ল্যাটফর্ম তৈরির দরকার পড়বে, জার্মান কোম্পানি ট্যুসেন-ক্রুপ আবার যে কাজে বিশেষভাবে অভিজ্ঞ৷

এই দু'টি ঘটনা থেকে একটি প্রবণতা স্পষ্ট হয়: ভারত বিদেশ থেকে বড় মাপের অস্ত্রপ্রণালী কিনতে আগ্রহী৷ এবং এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে৷ ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতে বড় মাপের অস্ত্রের আমদানি বেড়েছে ১৪০ শতাংশ – যার অর্থ, বিগত পাঁচ বছরে ভারত বিশ্বব্যাপী বড় অস্ত্রপ্রণালীর ক্রেতাদের মধ্যে প্রথম স্থানে৷ এই তথ্য দিয়েছে স্টকহোমের সিপ্রি সংস্থা৷
২০১০ থেকে ২০১৪ ভারতের অস্ত্র আমদানি ছিল সারা বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ১৫ শতাংশ – অর্থাৎ চীনের অস্ত্র আমদানির প্রায় তিনগুণ৷ বলতে কি, চীনের অস্ত্র আমদানি বিগত দশ বছরে প্রায় ৪২ শতাংশ কমেছে৷ বর্তমানে সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ, কিন্তু ভারত শীঘ্রই দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে যাবে, বলে বিশ্লেষকদের ধারণা৷
অবশ্য জার্মানি কিংবা ফ্রান্স ভারতের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে পড়ে না৷ বিগত পাঁচ বছর ধরে ভারত তার চাহিদার ৭০ শতাংশ মিটিয়েছে রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি করে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১২ শতাংশ, ইসরায়েলের কাছ থেকে সাত শতাংশ – এরা হলো দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে৷
সেক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে ভারতের অস্ত্র আমদানির মাত্র এক দশমিক দুই শতাংশ এসেছে জার্মানি থেকে, শূন্য দশমিক সাত শতাংশ ফ্রান্স থেকে৷ অপরদিকে রাশিয়া থেকে ভারত কিনেছে ২০১৩ সালে একটি গর্শকভ বিমানবাহী পোত, ২০১২ সালে একটি আকুলা-দুই ডুবোজাহাজ, ২০১২-১৩ সালে তিনটি তালওয়ার রণতরী, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ৩৩টি মিগ-২৯কে জঙ্গিজেট এবং ১০৫টি এসইউ-৩০এমকেআই জঙ্গিবিমান৷ এছাড়া ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১১৪টি এমআই-১৭ভি৫ হেলিকপ্টার৷
কিন্তু ভারত এই সব অস্ত্র নিজে তৈরি করে না কেন? তার কারণ, ভারতে বড় মাপের অস্ত্র তৈরির কোনো ঐতিহ্য নেই৷ প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে, যে কারণে ভারত প্রতিটি বড় অস্ত্রক্রয়ের ক্ষেত্রে ‘টেকনোলজি ট্র্যান্সফার' সংক্রান্ত একটি শর্ত রাখার চেষ্টা করে – যদিও ভারতীয় শিল্পের এই পরিমাণ প্রযুক্তি একবারে গ্রহণ করার অথবা কাজে লাগানোর মতো ক্ষমতা নেই৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দৃশ্যত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সংস্কারে আগ্রহী৷ তাঁর পরিকল্পনার ভিত্তি হলো বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে একযোগে সমরাস্ত্র ও সামরিক যানবাহন উৎপাদনের আয়োজন করা৷ এই পরিকল্পনাকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া' অভিযানের অঙ্গ করা হয়েছে৷
অপরদিকে চীন ও পাকিস্তানের মতো দুই প্রতিবেশীর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রতিরক্ষার দিকে নজর না দিয়ে উপায় নেই৷ এক বিশ্লেষকের মতে ভারত ও তার প্রতিবেশীদের মধ্যে নাজুক ভারসাম্যে ‘‘প্রতিরোধমূলক প্রতিরক্ষার'' একটা উপাদান আছে৷ বিশেষ করে পাকিস্তান, ভারত কিংবা চীনের পক্ষে পারমাণবিক শক্তি একটি বড় প্রতিরোধমূলক প্রতিরক্ষা৷


মানুষের হাতেই পৃথিবীর ধ্বংসের উপায়

পারমাণবিক যুদ্ধ

পারমাণবিক যুদ্ধে আণবিক অস্ত্রের ফলে প্রাণ হারাতে পারে কোটি কোটি মানুষ৷ তবে সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় পরমাণু যুদ্ধের প্রভাব, যাকে বলা হচ্ছে নিউক্লিয়ার উইনটার৷ এর প্রভাবে শত শত বছর ধরে তাপমাত্রা নীচে নেমে যাবে অথবা প্রচণ্ড খরা দেখা দেবে৷ বিশ্ব জুড়ে দেখা দেবে খাদ্যের অভাব৷


বায়ো টেকনোলজি বা জীব প্রযুক্তি

জীব প্রযুক্তির নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণেও মানুষের জীবন এখন হুমকির মুখে৷ যেমন একট্রোমেলিয়া ভাইরাসের কথাই ধরা যাক৷ এই ভাইরাসের কারণে জলবসন্ত হয়ে থাকে৷ গবেষণাগারে এই ভাইরাসটি তৈরি করে ইঁদুরের উপর সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ এই ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে৷

বুদ্ধিমত্তা

যে কোনো লক্ষ্য পূরণের জন্য বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো জরুরি৷ কিন্তু এমন মানুষের হাতে যদি বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ক্ষমতা থাকে , যারা পৃথিবীর মানুষের অনিষ্ঠ করতে চায়, তাহলে বিপর্যয় ঠেকানো খুব মুশকিল৷

ন্যানো প্রযুক্তি

এই প্রযুক্তিতে পদার্থকে অণু বা আণবিক পদার্থ তৈরি হয়৷ এটা অবশ্যই ক্ষতিকর নয় বরং কার্যকরী৷ সমস্যা হলো এ ধরনের জৈব প্রযুক্তিকে খারাপ ভাবে ব্যবহার করা হতে পারে৷ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হলো যে, এর সাহায্যে খুব দ্রুত এবং অল্প খরচে অস্ত্র উৎপাদন করা যায়৷

অজানা কিছু

আর একটা সম্ভাব্য বিষয় হলো – পৃথিবীতে জীবনকে ধ্বংস করতে পারে, এমন বিধ্বংসী কিছু জানিস আছে, যার অস্তিত্ব আমাদের জানা নেই৷ কিন্তু সেটা লুকিয়ে আছে৷ অজানা কিছু ঘটার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়৷

প্রতিবেদন: ওয়াইএফ/এপিবি

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here