হবীগঞ্জে গাছের ভেতর থেকে মানুষের রক্তাক্ত হাত বের হয়েছে-muktomoncho
ইন্দোনেশিয়ায় কবর থেকে মানুষের হাত বের
হওয়ার রেশ শেষ হতে না হতেই, এবার বাংলাদেশে গাছের ভেতর থেকে মানুষের
রক্তাক্ত হাত বের হয়েছে। তবে এটাও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রান্ক কিনা সেটা নিয়ে
ব্যাপক কানাঘুষা চলছে। একজন ভিডিও আপলোডকারী তার মোবাইলে রেকর্ড করা একটি
ভিডিওতে প্রদর্শন করেছেন বাংলাদেশের কোন একটি গ্রামে বট গাছের ভেতর থেকে
মানুষের রক্তাক্ত হাত বের হয়েছে। গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সেই গাছটিকে
প্রতিদিন দেখতে আসছে। যার বাড়ির আঙ্গিনায় এই ঘটনা ঘটেছে তিনি মানুষের চাপ
সামলাতে গিয়ে গাছটির চারপাশে বেড়ার মতো দিয়েছেন। প্রতিদিন গ্রামের বিভিন্ন
স্থান থেকে উৎসুক জনতা গাছটিকে দেখতে আসছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা হবিগঞ্জের অর্ন্তগত নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি
ইউনিয়নের এন্তাবাদ গ্রামে কালিশচন্দ্র নামে এক ব্যক্তির বাড়ি একটি বট গাছের
ভিতর থেকে মানুষের রক্তাক্ত হাত সদৃশ একটি বস্তু বের হয়। স্থানীয় একজন
মহিলা জঙ্গলে পাতা কুড়াতে গিয়ে সর্বপ্রথম হাতটির দেখা পান। তৎক্ষনাৎ তিনি
ভয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তারপর কালিশচন্দ্র আগর বাতি,
মোমবাতি ধরিয়ে, এলাকাটিকে লাল নিশানা দিয়ে ঘিরে দেন। অনেকের ধারনা এখানে
জ্বিন পরী কিংবা ভূতে আছড় করেছেন। ফেসবুকে এই ভিডিওটি আপলোড হলে অনেকেই
বিশ্বাস করেন। তবে এই ঘটনাকে সম্পূর্ন সাজানো বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
তাদের মতে, এগুলো হচ্ছে নতুন করে মাজার ব্যবসা শুরু করার ধান্ধা।
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মের প্রতি স্বভাবতই দুর্বল। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে
কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতানোর পায়তারা করছে একটি চক্র।
তবে এই ঘটনা নিয়ে সন্দেহ বেশি ঘনীভূত হয়েছে এই কারনে যে, এলাকার যারা বয়বৃদ্ধ রয়েছেন তারা এ নিয়ে কোন কথা বলছেন না। তবে গ্রামের কিছু পৌঢ় জানিয়েছেন, তারা মনে করছেন বট গাছের কষ বের হয়। আর সেই গাছের ফাঁকে কেউ কোনও এক সময় পুতুল রেখেছিলো। পুতুলের হাতের উপরে কষ এসে পড়ায় সেটা জমে ঘন হয়ে এরকমের বিষয় তৈরি হয়ে থাকতে পারে। তবে যেহেতু বিষয়াটি নিয়ে কেউ কিছু ভালো ভাবে জানেনা, তাই পরিষ্কার কোন অভিমত পাওয়া যায়নি। তবে সমালোচকরা ভিডিওটি দেখে এর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে ভিডিওর শুরুতেই জড়োসরো হয়ে ঢোল, তবলা আর হারমোনিয়াম নিয়ে বসে থাকা মানে, এখান থেকেই জমজমাট ব্যাবসার শুরু বলে তারা মনে করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন