সাহসী নারী কঙ্গনা-রঙ্গোলি-aajkaal.in
মুম্বই:
এখন তিনি বলিউড কাঁপানো নায়িকা। তাঁর জন্য পাগল হাজার হাজার ভক্ত। কিন্তু
তাঁর এই পৃথিবীতে আসাটাই পরিবারের কাছে ‘অযাচিত’ ছিল। কারণ, এ দেশের আরও
অনেক মা-বাবার মতো তাঁর মা-বাবাও চেয়েছিলেন, ছেলে হোক। গল্পটি বলিউড
তারকা কঙ্গনা রানাউতের। ‘ক্যুইন’ এবং ‘তনু ওয়েডস মনু’ ছবিতে
স্বাধীনচেতা নারীচরিত্রে অভিনয়কারী কঙ্গনা নারীদিবসে একটি ম্যাগাজিনে তাঁর
জীবনকাহিনী শোনান। জানান, তাঁর দিদি রঙ্গোলির জন্ম হওয়ার আগে একটি
পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তাঁদের মা। ১০ দিনের মাথায় সে মারা যায়। এরপর
রঙ্গোলির জন্মে তাঁরা বেশ খুশি হলেও দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে মেয়ে কঙ্গনাকে
মেনে নিতে পারেননি। এমনকি অনেক বড় হয়ে যাওয়ার পরেও বিভিন্ন পারিবারিক
অনুষ্ঠানে তাঁকে পরিবারের ‘অযাচিত সন্তান’ বলে মনে করিয়ে দেওয়া হত।
কিন্তু যতই মানসিক আঘাত পান, ছেলেরা মেয়েদের থেকে বেশি জরুরি, এটা মেনে
নেননি কঙ্গনা। জীবনে কিছু করে দেখিয়ে দেবেন, এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে বলিউড জগতে
পা রাখেন। আর এখন? সেই পরিবারের নয়নের মণি।
এ গেল কঙ্গনার গল্প। কঙ্গনা সাহসী, শক্তিশালী এবং একজন সফল নারী। কিন্তু কথিত রয়েছে, সব সফল মানুষের নেপথ্যেই আরও শক্তিশালী কারও অবদান থাকে। কঙ্গনার ক্ষেত্রে সেই মানুষ হলেন তাঁর দিদি রঙ্গোলি। রঙ্গোলি দেরাদুনের সর্বপ্রথম অ্যাসিড আক্রান্ত নারী। ২০০৬ সালে তিনি উত্তরাঞ্চল কলেজ অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। কঙ্গনা তখন সবে বলিউডে পা রেখেছেন। কয়েক মাসের মধ্যেই রঙ্গোলির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই অভিশাপ হয়ে নেমে এল পাড়ার এক যুবক। একদিন ক্যুরিয়ার সার্ভিসের নাম করে তাঁকে ঘরের বাইরে ডেকে তাঁর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারে ওই যুবক। অ্যাসিডের প্রভাবে নষ্ট হয়ে যায় রঙ্গোলির চোখ, কান এবং মুখের ত্বক। ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীও। মাসের পর মাস প্রায় ৫৭টি যন্ত্রণাদায়ক সার্জারি পেরিয়ে মোটামুটি স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তিনি। এখন রঙ্গোলি বোন কঙ্গনার সঙ্গেই কাজ করেন। সম্প্রতি দীর্ঘদিনের প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে করে সুখী হয়েছেন। ভবিষ্যতে বড় প্রোডিউসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এবং ধীরে ধীরে স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার পথে হাঁটছেন তিনি। নারীদিবসে দুই বোনের লড়াইকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ স্যাল্যুট জানান।
এ গেল কঙ্গনার গল্প। কঙ্গনা সাহসী, শক্তিশালী এবং একজন সফল নারী। কিন্তু কথিত রয়েছে, সব সফল মানুষের নেপথ্যেই আরও শক্তিশালী কারও অবদান থাকে। কঙ্গনার ক্ষেত্রে সেই মানুষ হলেন তাঁর দিদি রঙ্গোলি। রঙ্গোলি দেরাদুনের সর্বপ্রথম অ্যাসিড আক্রান্ত নারী। ২০০৬ সালে তিনি উত্তরাঞ্চল কলেজ অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। কঙ্গনা তখন সবে বলিউডে পা রেখেছেন। কয়েক মাসের মধ্যেই রঙ্গোলির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই অভিশাপ হয়ে নেমে এল পাড়ার এক যুবক। একদিন ক্যুরিয়ার সার্ভিসের নাম করে তাঁকে ঘরের বাইরে ডেকে তাঁর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারে ওই যুবক। অ্যাসিডের প্রভাবে নষ্ট হয়ে যায় রঙ্গোলির চোখ, কান এবং মুখের ত্বক। ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীও। মাসের পর মাস প্রায় ৫৭টি যন্ত্রণাদায়ক সার্জারি পেরিয়ে মোটামুটি স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তিনি। এখন রঙ্গোলি বোন কঙ্গনার সঙ্গেই কাজ করেন। সম্প্রতি দীর্ঘদিনের প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে করে সুখী হয়েছেন। ভবিষ্যতে বড় প্রোডিউসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এবং ধীরে ধীরে স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার পথে হাঁটছেন তিনি। নারীদিবসে দুই বোনের লড়াইকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ স্যাল্যুট জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন