শয়তানরে সাথে চুক্তি-http://www.dailynayadiganta.com - rangpur news

Breaking

Breaking News

rangpur news

This is news blog site.Here have important online newspaper.if you Concert:MD.Gulam azam sarkar. E-mail:gulamazam@gmail.com Mobil:01735632338

Windows

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

শয়তানরে সাথে চুক্তি-http://www.dailynayadiganta.com


শয়তানরে সাথে চুক্তি-

হামদি মীর

৩০ জুলাই ২০১৫,বৃহস্পতবিার, ১৮:০৩
http://www.dailynayadiganta.com

মুসলমানরো রমজানে শয়তান থকেে দূরে সরে থাক,ে অথচ ইরানরিা রমজানুল মুবারকরে শষে ও বরকতময় দশকে বড় শয়তানরে সাথে নতুন চুক্তি করছে।ে অস্ট্রয়িার শহর ভয়িনোয়, ১৪ জুলাই ইরান আমরেকিাসহ ছয় বশ্বিশক্তকিে আশ্বাস দয়িছেে য,ে তারা পারমাণবকি অস্ত্র বানাবে না এবং নজিদেরে পারমাণবকি স্থাপনাগুলো জাতসিঙ্ঘরে পরর্দিশনরে জন্য খুলে দবে।ে যার ফলে ইরানরে ওপর আরোপতি র্অথনতৈকি নষিধোজ্ঞা তুলে নয়োর সদ্ধিান্ত গ্রহণ করা হয়। ইরান ও ছয় বশ্বিশক্তরি মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরতি হওয়ার পরপরই র্মাকনি প্রসেডিন্টে ওবামার বজিয়দৃপ্ত বক্তব্য গোটা বশ্বি, এমনকি ইরানওে শোনা যায়। যার সমাপ্তি ঘটে এ বাক্যরে মাধ্যম-ে ঈশ্বর আমরেকিার ওপর অনুগ্রহ র্বষণ করতে থাকুন। এ চুক্তকিে বশ্বিরে বশেরি ভাগ দশেই স্বাগত জানয়িছে।ে ইরানরিা তো আনন্দে রাস্তায় বরে হয়ে এসছে।ে তারা ভুলে গছে,ে ইরান বপ্লিবরে নতো আয়াতুল্লাহ খোমনেি আমরেকিাকে ‘শয়তানে বুর্জুগ’ বা ‘বড় শয়তান’ বলে আখ্যায়তি করছেলিনে। ইরানদিরে একটা জনোরশেন ‘র্মাগ বার আমরেকিা’ (আমরেকিা ধ্বংস হোক, নপিাত যাক) স্লোগান দতিে দতিে কবরে চলে গছে।ে এর পররে জনোরশেন ‘র্মাগ বার আমরেকিা’ (আমরেকিা ধ্বংস হোক, নপিাত যাক) স্লোগান দতিে দতিে চুল সাদা করে ফলেছে।ে আর তার পররে জনোরশেন আমরেকিাকে আলঙ্গিন করার জন্য অস্থরি। তরুণ ইরানরিা এ চুক্তকিে নজিদেরে জন্য রহমত মনে করছ।ে আর ইসরাইল এ চুক্তটিকিে নজিদেরে জন্য বপিদ মনে করছ।ে ইসরাইলরে কষ্ট পাওয়া দখেে এ কথা বুঝে আসে য,ে উল্লখিতি চুক্ততিে শুধু আমরেকিা নয়, ইরানরেও জয় হয়ছে।ে ইরানসহ যকেোনো দশেরে সর্ঙ্কীণতার কারণে স্থায়ী দাদাগরিতিে আটকে থাকা ইসরাইলরে জন্য লাভজনক। জায়নবাদী লবি চয়েছেলি, ইরানরিা ‘র্মাগ বার আমরেকিা’ (আমরেকিা ধ্বংস হোক, নপিাত যাক) স্লোগান দয়িে যাক, যাতে ইরান ও আমরেকিার লড়াই থকেে ইসরাইল ফায়দা নতিে পার।ে ইরান তার র্অথনতৈকি উন্নয়নরে জন্য পারমাণবকি র্কমসূচি সীমাবদ্ধ করার সদ্ধিান্ত নয়িছে।ে চুক্তি স্বাক্ষরতি হয়ছে,ে কন্তিু চুক্তি বাস্তবায়ন এক বড় চ্যালঞ্জে। কছিু বশিষেজ্ঞরে ধারণা, এ চুক্তটিি বাঘরে সম্মততিে বাঘরে দাঁত তুলে ফলোর মতো। যখন বাঘরে দাঁত তুলে ফলো হয়, তখন তার ওপর কুকুরও চড়াও হয়। এ দায়ত্বি বশ্বিশক্তরি, তারা ইসরাইলকে ইরানরে ওপর আক্রমণোদ্যত হওয়া থকেে ফরিয়িে রাখব।ে কন্তিু ইতহিাসে নজর বুলালইে দখো যায়, বশ্বিশক্তরি প্রতশ্রি“তরি ওপর ভরসা করা গজবরে চয়েে কোনো অংশে কম নয়।
বশেি দূর যতেে হবে না। ১৯৭৬-এর র্মাচে অস্ট্রয়িার এ ভয়িনো শহরইে ব্যাপক র্তকবর্তিকরে পর ফ্রান্স ও পাকস্তিানরে মধ্যে নউিক্লয়িার রপ্রিসসেংি প্লান্ট-এর চুক্তি স্বাক্ষরতি হয়ছেলি এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমকি এর্নাজি কমশিন এ চুক্তকিে অনুমোদন দয়িছেলি। কমশিনে উপস্থতি র্মাকনি প্রতনিধিওি এ চুক্তরি সর্মথন করছেলিনে। কন্তিু কছিু দনি পর আমরেকিা এ চুক্তরি বরিোধতিা শুরু করে দয়ে। ১৯৭৬ সালরে আগস্টে র্মাকনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হনেরি কসিঞ্জিার পাকস্তিানরে প্রধানমন্ত্রী জুলফকিার আলী ভুট্টোকে বলনে, তনিি যনে পারমাণবকি র্কমসূচি থকেে বরিত থাকনে। নতুবা তাকে দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ বানানো হব।ে ভুট্টো আমরেকিার চাপরে কাছে নতি স্বীকারে অস্বীকৃতি জানান। তনিি পাকস্তিানরে অভ্যন্তরীণ বষিয়ে আমরেকিার নাক গলানোর প্রমাণাদি একত্র করনে এবং ১৯৭৭ সালরে জুনে লবিয়িায় ওআইসরি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কনফারন্সেে বলিি করে দনে। যার পরে ওই কনফারন্সে পাকস্তিানরে অভ্যন্তরীণ বষিয়ে বহরিাগত হস্তক্ষপেরে বরিুদ্ধে প্রস্তাব অনুমোদন কর।ে ১৯৭৭ সালরে ৫ জুলাই আমরেকিার নীরব সর্মথনে জনোরলে জয়িাউল হক ভুট্টো সরকাররে গদি উল্টয়িে দনে। এরপর পাকস্তিানরে পারমাণবকি র্কমসূচরি প্রতষ্ঠিাতাকে পাকস্তিানে ফাঁসতিে ঝুলয়িে দয়ো হয়। ইরানরে কাছে ভুট্টো নইে, যনিি নজিরে জীবন বাজি রখেে ইরানরে পারমাণবকি র্কমসূচকিে রক্ষা করবনে। ভুট্টোর সফলতা হলো, তনিি পাকস্তিানরে পারমাণবকি র্কমসূচরি জন্য ইরান ও সৌদি আরবসহ সব মুসলমি দশেরে সর্মথন র্অজন করছেলিনে। অথচ ইরানরে নতোরা অনকে মুসলমি দশেকইে নজিদেরে শত্র“ বানয়িে রখেছেনে। ভুট্টোর মৃত্যুর পর ফ্রান্স পাকস্তিানরে সাথে পারমাণবকি চুক্তি রহতি করে দয়ে। তবে এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যায় না য,ে জনোরলে জয়িাউল হক ভুট্টোকে ফাঁসতিে ঝোলানো সত্ত্বওে পাকস্তিানরে পারমাণবকি র্কমসূচকিে শক্তশিালী করনে, পছেনে ফরিে যানন।ি ভুট্টো সাহবেরে বাছাইকৃত ড. আব্দুল কাদরে খানরে মাধ্যমে পারমাণবকি র্কমসূচি অব্যাহত রাখনে। ড. আব্দুল কাদরে খান ছাড়া অন্যান্য বজ্ঞিানীও পাকস্তিানকে একটি পারমাণবকি শক্ততিে পৗেঁছাতে গুরুত্বর্পূণ ভূমকিা পালন করনে। তবে পারমাণবকি জ্বালানি তরৈরি কৃতত্বি ড. আব্দুল কাদরেকইে দয়ো হয়। এ কারণইে জনোরলে পারভজে মোশাররফরে সময়ে আর্ন্তজাতকি শক্তগিুলো ড. আব্দুল কাদরেকওে দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ বানয়িে দয়ে। ইতহিাসে এ বদনাম শুধু পাকস্তিানদিরে ভাগ্যইে রয়ছেে য,ে যে প্রধানমন্ত্রী পারমাণবকি র্কমসূচি শুরু করলনে, তাকে ফাঁসতিে ঝোলানো হয়ছে,ে যে প্রধানমন্ত্রী পারমাণবকি বস্ফিোরণ ঘটয়িছেলিনে, তাকে দশোন্তরতি করা হয়ছেলি, আর যে বজ্ঞিানী কাহুটা রসর্িাচ ল্যাবরটেরতিে পারমাণবকি জ্বালানি ও মসিাইল তরৈি করলনে, তাকে চোর বানয়িে টভিতিে উপস্থাপন করা হলো।
আল্লাহর লাঠরি আওয়াজ নইে। পারভজে মোশাররফ তার শাসনামলে ড. আব্দুল কাদরে খানকে যে অবস্থার মুখোমুখি করছেলিনে, আজ মোশাররফও ওই অবস্থার মুখোমুখি হয়ছেনে। র্পাথক্য শুধু এতটুকু য,ে ড. আব্দুল কাদরেরে সাথে দখো-সাক্ষাতে কছিু নষিধোজ্ঞা রয়ছে,ে আর মোশাররফ যখন ইচ্ছা তার পছন্দরে কোনো টভিি রপর্িোটাররে হাতে নজিরে পছন্দমতো প্রশ্ন ধরয়িে দয়িে নামর্সবস্ব সাক্ষাৎকার দতিে পারনে। আজ র্পযন্ত কোনো টভিি রপর্িোটার তাকে এটা জজ্ঞিাসা করনেনি য,ে আপনি ড. আব্দুল কাদরেরে ওপর ইরান ও লবিয়িাকে পারমাণবকি সূত্র পাচাররে অপবাদ দয়িছেলিনে; কন্তিু আপনি কার কাছে জজ্ঞিাসা করে পাকস্তিানরে সনো ক্যাম্প বদিশেী শক্তকিে দয়িছেলিনে? এখন তো কাশ্মরিি নতো সাইয়দে আলী গলিানওি সাক্ষ্য দয়িছেনে। তনিি বলছেনে, পারভজে মুশাররফ তার শাসনামলে হুররয়্যিাত কনফারন্সেরে ওপর চাপ সৃষ্টি করে বলছেলিনে, আমরা যনে কাশ্মরি সমস্যা থকেে মুক্ত হয়ে যাই। এ ধরনরে দাবি কোনো রাজনীতবিদিরে পক্ষ থকেে বলা হল,ে এখন র্পযন্ত মডিয়িায় তার চুলচরো বশ্লিষেণ করা হতো। আর বক্তব্যটি যখন একজন স্বরৈাচার সনো শাসকরে পক্ষ থকেে বলা হয়ছে,ে তখন বন্ধুভাবাপন্ন অভজ্ঞি টভিি রপর্িোটার তার সামনে ভজো বড়িাল হয়ে বসে পড়নে। তাকে এটা জজ্ঞিাসাও করনে না য,ে আজকাল শহরে শহরে এম কউি এম-এর নতো আলতাফ হোসাইনরে বরিুদ্ধে বদ্রিোহরে এফআইআর বাতলিরে আকাক্সক্ষা দাবানলরে মতো ছড়য়িে পড়ছে।ে আপনার ওপর যখন আইনভিাবে গাদ্দাররি মামলা হলো, তখন ওই বদ্রিোহী আলতাফ হোসাইনরে কাছে সাহায্য চাইলনে কনে? গাদ্দাররি মামলায় আপনার পক্ষে লড়াইরত দু’জন গুরুত্বর্পূণ উকলি ফুরুগ নাসীম ও মুহাম্মদ আলী সাইফ এমকউিএমরে সনিটের। আপনি তাদরে সহায়তা ফরেতরে ঘোষণা কনে করছনে না? মোট কথা, আলতাফ হোসাইনরে বরিুদ্ধে বদ্রিোহরে যত বশেি মামলা তরৈি হব,ে পাকস্তিানে বর্তিক তত বশেি র্দীঘ হব।ে অলগিলতিে মানুষ জজ্ঞিাসা করব,ে গাদ্দার ও শয়তান শুধু রাজনীতবিদিরো কনে হয়? পাকস্তিানরে সনো ক্যাম্প বদিশেী শক্তকিে দয়ো আর বদিশেী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কোটি কোটি ডলার দয়িে ভরে ফলো কমেন ধরনরে দশেপ্রমে?
মনে রাখবনে, শয়তান শুধু রাজনতৈকিই নয়, বরং অরাজনতৈকিও হয়। রাজনতৈকি শয়তানদরে বচিার অবশ্যই হওয়া উচতি, তবে অরাজনতৈকি শয়তানদরে কনে নয়? শয়তানদরে সাথে চুক্তি ইরানে হোক কংিবা পাকস্তিানে হোক, মুসলমানদরে সর্তক থাকা উচতি। শয়তানরে কাছ থকেে মঙ্গলরে কোনো আশা না করাই ভালো। হয় সব শয়তানরে সাথে সমঝোতা করা হোক, নয়তো সবার খােঁজখবর নয়ো হোক। তোমার শয়তান খারাপ, আর আমার শয়তান ভালো- এমন নীতি এখন পাকস্তিানে চলতে পারে না। বচিার যখন হব,ে সবারই বচিার হব।ে রাজনতৈকি শয়তানরেও, অরাজনতৈকি শয়তানরেও। যখন হবে না, তো কারোই হবে না। এক শয়তানরে সাথে যুদ্ধ আর অপর শয়তানরে সাথে চুক্তি মুসলমানদরে উপকার নয়, বরং ক্ষতি হব।ে
পাকস্তিানরে জাতীয় পত্রকিা দনৈকি জং ১৬ জুলাই, ২০১৫;
র্উদু থকেে ভাষান্তর ইমতয়িাজ বনি মাহতাব
ahmadimtiajdr@gmail.com

পাকস্তিানরে জওি টভিরি নর্বিাহী সম্পাদক

শয়তানের সাথে চুক্তি

হামিদ মীর
৩০ জুলাই ২০১৫,বৃহস্পতিবার, ১৮:০৩


520
 
0
 
0
Google
0
 
521
 

মুসলমানেরা রমজানে শয়তান থেকে দূরে সরে থাকে, অথচ ইরানিরা রমজানুল মুবারকের শেষ ও বরকতময় দশকে বড় শয়তানের সাথে নতুন চুক্তি করেছে। অস্ট্রিয়ার শহর ভিয়েনায়, ১৪ জুলাই ইরান আমেরিকাসহ ছয় বিশ্বশক্তিকে আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাবে না এবং নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো জাতিসঙ্ঘের পরিদর্শনের জন্য খুলে দেবে। যার ফলে ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার বিজয়দৃপ্ত বক্তব্য গোটা বিশ্ব, এমনকি ইরানেও শোনা যায়। যার সমাপ্তি ঘটে এ বাক্যের মাধ্যমে- ঈশ্বর আমেরিকার ওপর অনুগ্রহ বর্ষণ করতে থাকুন। এ চুক্তিকে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই স্বাগত জানিয়েছে। ইরানিরা তো আনন্দে রাস্তায় বের হয়ে এসেছে। তারা ভুলে গেছে, ইরান বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি আমেরিকাকে ‘শয়তানে বুজুর্গ’ বা ‘বড় শয়তান’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। ইরানিদের একটা জেনারেশন ‘মার্গ বার আমেরিকা’ (আমেরিকা ধ্বংস হোক, নিপাত যাক) স্লোগান দিতে দিতে কবরে চলে গেছে। এর পরের জেনারেশন ‘মার্গ বার আমেরিকা’ (আমেরিকা ধ্বংস হোক, নিপাত যাক) স্লোগান দিতে দিতে চুল সাদা করে ফেলেছে। আর তার পরের জেনারেশন আমেরিকাকে আলিঙ্গন করার জন্য অস্থির। তরুণ ইরানিরা এ চুক্তিকে নিজেদের জন্য রহমত মনে করছে। আর ইসরাইল এ চুক্তিটিকে নিজেদের জন্য বিপদ মনে করছে। ইসরাইলের কষ্ট পাওয়া দেখে এ কথা বুঝে আসে যে, উল্লিখিত চুক্তিতে শুধু আমেরিকা নয়, ইরানেরও জয় হয়েছে। ইরানসহ যেকোনো দেশের সঙ্কীর্ণতার কারণে স্থায়ী দাদাগিরিতে আটকে থাকা ইসরাইলের জন্য লাভজনক। জায়নবাদী লবি চেয়েছিল, ইরানিরা ‘মার্গ বার আমেরিকা’ (আমেরিকা ধ্বংস হোক, নিপাত যাক) স্লোগান দিয়ে যাক, যাতে ইরান ও আমেরিকার লড়াই থেকে ইসরাইল ফায়দা নিতে পারে। ইরান তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পারমাণবিক কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়ন এক বড় চ্যালেঞ্জ। কিছু বিশেষজ্ঞের ধারণা, এ চুক্তিটি বাঘের সম্মতিতে বাঘের দাঁত তুলে ফেলার মতো। যখন বাঘের দাঁত তুলে ফেলা হয়, তখন তার ওপর কুকুরও চড়াও হয়। এ দায়িত্ব বিশ্বশক্তির, তারা ইসরাইলকে ইরানের ওপর আক্রমণোদ্যত হওয়া থেকে ফিরিয়ে রাখবে। কিন্তু ইতিহাসে নজর বুলালেই দেখা যায়, বিশ্বশক্তির প্রতিশ্র“তির ওপর ভরসা করা গজবের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
বেশি দূর যেতে হবে না। ১৯৭৬-এর মার্চে অস্ট্রিয়ার এ ভিয়েনা শহরেই ব্যাপক তর্কবিতর্কের পর ফ্রান্স ও পাকিস্তানের মধ্যে নিউক্লিয়ার রিপ্রসেসিং প্লান্ট-এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন এ চুক্তিকে অনুমোদন দিয়েছিল। কমিশনে উপস্থিত মার্কিন প্রতিনিধিও এ চুক্তির সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পর আমেরিকা এ চুক্তির বিরোধিতা শুরু করে দেয়। ১৯৭৬ সালের আগস্টে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে বলেন, তিনি যেন পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকেন। নতুবা তাকে দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ বানানো হবে। ভুট্টো আমেরিকার চাপের কাছে নতি স্বীকারে অস্বীকৃতি জানান। তিনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার নাক গলানোর প্রমাণাদি একত্র করেন এবং ১৯৭৭ সালের জুনে লিবিয়ায় ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কনফারেন্সে বিলি করে দেন। যার পরে ওই কনফারেন্স পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রস্তাব অনুমোদন করে। ১৯৭৭ সালের ৫ জুলাই আমেরিকার নীরব সমর্থনে জেনারেল জিয়াউল হক ভুট্টো সরকারের গদি উল্টিয়ে দেন। এরপর পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতিষ্ঠাতাকে পাকিস্তানে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। ইরানের কাছে ভুট্টো নেই, যিনি নিজের জীবন বাজি রেখে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে রক্ষা করবেন। ভুট্টোর সফলতা হলো, তিনি পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য ইরান ও সৌদি আরবসহ সব মুসলিম দেশের সমর্থন অর্জন করেছিলেন। অথচ ইরানের নেতারা অনেক মুসলিম দেশকেই নিজেদের শত্র“ বানিয়ে রেখেছেন। ভুট্টোর মৃত্যুর পর ফ্রান্স পাকিস্তানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি রহিত করে দেয়। তবে এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যায় না যে, জেনারেল জিয়াউল হক ভুট্টোকে ফাঁসিতে ঝোলানো সত্ত্বেও পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শক্তিশালী করেন, পেছনে ফিরে যাননি। ভুট্টো সাহেবের বাছাইকৃত ড. আব্দুল কাদের খানের মাধ্যমে পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। ড. আব্দুল কাদের খান ছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞানীও পাকিস্তানকে একটি পারমাণবিক শক্তিতে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির কৃতিত্ব ড. আব্দুল কাদেরকেই দেয়া হয়। এ কারণেই জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সময়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো ড. আব্দুল কাদেরকেও দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ বানিয়ে দেয়। ইতিহাসে এ বদনাম শুধু পাকিস্তানিদের ভাগ্যেই রয়েছে যে, যে প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করলেন, তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, যে প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন, তাকে দেশান্তরিত করা হয়েছিল, আর যে বিজ্ঞানী কাহুটা রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে পারমাণবিক জ্বালানি ও মিসাইল তৈরি করলেন, তাকে চোর বানিয়ে টিভিতে উপস্থাপন করা হলো।
আল্লাহর লাঠির আওয়াজ নেই। পারভেজ মোশাররফ তার শাসনামলে ড. আব্দুল কাদের খানকে যে অবস্থার মুখোমুখি করেছিলেন, আজ মোশাররফও ওই অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, ড. আব্দুল কাদেরের সাথে দেখা-সাক্ষাতে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, আর মোশাররফ যখন ইচ্ছা তার পছন্দের কোনো টিভি রিপোর্টারের হাতে নিজের পছন্দমতো প্রশ্ন ধরিয়ে দিয়ে নামসর্বস্ব সাক্ষাৎকার দিতে পারেন। আজ পর্যন্ত কোনো টিভি রিপোর্টার তাকে এটা জিজ্ঞাসা করেননি যে, আপনি ড. আব্দুল কাদেরের ওপর ইরান ও লিবিয়াকে পারমাণবিক সূত্র পাচারের অপবাদ দিয়েছিলেন; কিন্তু আপনি কার কাছে জিজ্ঞাসা করে পাকিস্তানের সেনা ক্যাম্প বিদেশী শক্তিকে দিয়েছিলেন? এখন তো কাশ্মিরি নেতা সাইয়েদ আলী গিলানিও সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পারভেজ মুশাররফ তার শাসনামলে হুররিয়্যাত কনফারেন্সের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বলেছিলেন, আমরা যেন কাশ্মির সমস্যা থেকে মুক্ত হয়ে যাই। এ ধরনের দাবি কোনো রাজনীতিবিদের পক্ষ থেকে বলা হলে, এখন পর্যন্ত মিডিয়ায় তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হতো। আর বক্তব্যটি যখন একজন স্বৈরাচার সেনা শাসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তখন বন্ধুভাবাপন্ন অভিজ্ঞ টিভি রিপোর্টার তার সামনে ভেজা বিড়াল হয়ে বসে পড়েন। তাকে এটা জিজ্ঞাসাও করেন না যে, আজকাল শহরে শহরে এম কিউ এম-এর নেতা আলতাফ হোসাইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের এফআইআর বাতিলের আকাক্সক্ষা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। আপনার ওপর যখন আইনিভাবে গাদ্দারির মামলা হলো, তখন ওই বিদ্রোহী আলতাফ হোসাইনের কাছে সাহায্য চাইলেন কেন? গাদ্দারির মামলায় আপনার পক্ষে লড়াইরত দু’জন গুরুত্বপূর্ণ উকিল ফুরুগ নাসীম ও মুহাম্মদ আলী সাইফ এমকিউএমের সিনেটর। আপনি তাদের সহায়তা ফেরতের ঘোষণা কেন করছেন না? মোট কথা, আলতাফ হোসাইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের যত বেশি মামলা তৈরি হবে, পাকিস্তানে বিতর্ক তত বেশি দীর্ঘ হবে। অলিগলিতে মানুষ জিজ্ঞাসা করবে, গাদ্দার ও শয়তান শুধু রাজনীতিবিদেরা কেন হয়? পাকিস্তানের সেনা ক্যাম্প বিদেশী শক্তিকে দেয়া আর বিদেশী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কোটি কোটি ডলার দিয়ে ভরে ফেলা কেমন ধরনের দেশপ্রেম?
মনে রাখবেন, শয়তান শুধু রাজনৈতিকই নয়, বরং অরাজনৈতিকও হয়। রাজনৈতিক শয়তানদের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত, তবে অরাজনৈতিক শয়তানদের কেন নয়? শয়তানদের সাথে চুক্তি ইরানে হোক কিংবা পাকিস্তানে হোক, মুসলমানদের সতর্ক থাকা উচিত। শয়তানের কাছ থেকে মঙ্গলের কোনো আশা না করাই ভালো। হয় সব শয়তানের সাথে সমঝোতা করা হোক, নয়তো সবার খোঁজখবর নেয়া হোক। তোমার শয়তান খারাপ, আর আমার শয়তান ভালো- এমন নীতি এখন পাকিস্তানে চলতে পারে না। বিচার যখন হবে, সবারই বিচার হবে। রাজনৈতিক শয়তানেরও, অরাজনৈতিক শয়তানেরও। যখন হবে না, তো কারোই হবে না। এক শয়তানের সাথে যুদ্ধ আর অপর শয়তানের সাথে চুক্তি মুসলমানদের উপকার নয়, বরং ক্ষতি হবে।
পাকিস্তানের জাতীয় পত্রিকা দৈনিক জং ১৬ জুলাই, ২০১৫;
উর্দু থেকে ভাষান্তর ইমতিয়াজ বিন মাহতাব
ahmadimtiajdr@gmail.com
পাকিস্তানের জিও টিভির নির্বাহী সম্পাদক
- See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/42150#sthash.lfUwJOhe.dpuf

কোন মন্তব্য নেই:

Post Top Ad

Responsive Ads Here