র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ঢাকায় যুবক, রংপুরে দুই সহোদর নিহত
(রেডিও তেহরান): রাজধানী ঢাকা ও রংপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর
আগারগাঁও সঙ্গীত কলেজের পাশে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত এক
যুবক (২৫) নিহত হন। আহত অবস্থায় ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
(ঢামেক) নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর সাড়ে ৪টায় তাকে মৃত ঘোষণা
করেন। তার মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার জ্যেষ্ঠ
সহকারী পরিচালক ক্যাপ্টেন মাকসুদুল আলম জানান, ‘তালতলা এলাকায় র্যাব-২ এর
একটি দল টহল দিচ্ছিল। এ সময় সন্দেহভাজন কয়েক যুবককে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা
করতে দেখে টহল দল। তাদের থামতে বললে যুবকরা র্যাবকে উদ্দেশ্যে করে গুলি
ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ
হন।’
র্যাবের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশী পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, রংপুরে র্যাবের সঙ্গে কথিত
বন্দুকযুদ্ধে দুই সহোদর নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত পৌনে ৩টার দিকে
ক্যান্টনমেন্ট চেকপোস্টের কাছে দেশ ক্লিনিক সংলগ্ন চান হোটেলের গলিতে এ
ঘটনা ঘটে। নিহত মানিক (৩২) ও সুমন (২৭) রংপুর শহরের খলিফাতারী এলাকার আমীর
আলীর ছেলে।
র্যাব-১৩ এর উপ অধিনায়ক মেজর আশরাফ আলী
বলছেন, “ওই এলাকায় র্যাব সদস্যরা মানিক ও সুমনকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা
ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষায় র্যাব গুলি করলে তারাও পাল্টা
গুলি চালায়। গোলাগুলির মধ্যে দুই সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।”
মেজর আশরাফ বলেন, ‘দুই সন্ত্রাসীর’ ধারালো
অস্ত্রের আঘাতে র্যাবে দায়িত্বরত উপ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ও নৌবাহিনীর
লেফটেন্যান্ট ইমরান আহত হয়েছেন। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
র্যাব সদস্যরা সেখানে দুটি পিস্তল, গুলি ও ধারালো অস্ত্র পেয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহত দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী জানান।#
রেডিও তেহরান/এআর/১৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন