পীরগাছায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি জুয়েল গ্রেফতার
রংপুরের পীরগাছায় স্টুডিও ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম চুন্নু হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি মো: জুয়েল মিয়া (২৫) কে শনিবার দুপুরে উপজেলার চৌধুরানীর ইছলার হাট এলাকা থেকে পুলিশ আটক করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পীরগাছা থানার এস আই জিয়া , পি এস আই জিয়াউর রহমান ও এসআই ফজলুল করিম সহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে আটক করতে সক্ষম হন । পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃত আসামি উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের রামচন্দ্র পাড়া গ্রামের মৃত্যু আব্দুল হান্নান মিয়ার পুত্র।
গত ২৫ জানুয়ারী বুধবার রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ৫ জন আসামির মধ্যে ৪ জনকে ফাঁসির রায় দেন।দন্ডাদেশপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি জুয়েল মিয়া গ্রেফতার এড়িয়ে পলাতক ছিলেন। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ৫ আসামির মধ্যে সিরাজুল ইসলাম রায়ের সময় কারাগারে ছিলেন। আর বাকি আসামি জুয়েল, শাহীন, সুজন, আলম ওরফে আসলাম পলাতক ছিলেন। পরে তাদের গ্রেফতার করা হলেও এদের মধ্যে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি জুয়েল মিয়া পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
্রউল্লেখ্য ,রংপুরের পীরগাছা উপজেলা সদরের শহিদুল ইসলাম চুন্নুর দিনা নামের একটি ফটো স্টুডিও ছিল। ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে একই এলাকার আসামি জুয়েল চুন্নুকে মোবাইল ফোনে ডাকলে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে তার দোকানের দিকে যান। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় তার স্ত্রী নার্গিস বেগম স্বামী চুন্নুর মোবাইলে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পায়। এ ঘটনায় পরের দিন সকালে পীরগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন তিনি।
২৪ আগস্ট পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার নীলাকুঠি এলাকায় রাস্তার ধারে গলাকাটা অজ্ঞাত লাশ দেখে এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে নিহত চুন্নুর স্বজনরা মর্গে গিয়ে তার লাশ সানাক্ত করে।
এদিকে আসামি জুয়েল ও শাহীন নিহত চুন্নুর মোটরসাইকেল বগুড়ায় বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চুন্নুকে জবাই করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। পরে এ ঘটনায় নিহত চুন্নুর বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। মামলায় ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরাগ্রহণ শেষে আসামি সিরাজুল ইসলাম, জুয়েল, শাহীন, সুজন, আলম ওরফে আসলামকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরের আদেশ দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন